আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থার্টিফাষ্ট নাইট উদযাপন - হাদিস অনুসারে এটি কেয়ামতের একটি নিদর্শন ।

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে সবচে বেশি যে ফেতনাটি আজকাল চোখে পড়ছে, তা হচ্ছে পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুসরণ । ইহুদী-খৃষ্টানদের প্রচার-কৃত কৃষ্টি-কালচার এবং ফ্যাশনের শতভাগ বাস্তবায়ন । নবী করিম (সাঃ) বর্ণনা করে গেছেন যে, তার উম্মতদের একদল লোক আচরণ, অভ্যাস ও জীবনাচারের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট ইহুদী-খৃষ্টান জাতিকে হুবহু অনুসরণ করবে ।

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- "কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না আমার উম্মত পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির হুবহু অনুসরণ শুরু করবে । এমনকি তারা যদি একহাত সামনে গিয়ে থাকে, আমার উম্মতও যাবে । এক গজ পেছনে গিয়ে থাকে, আমার উম্মতও তাই করবে । সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, 'পারস্য ও রোম জাতির মত ?' জিজ্ঞেস করা হলে নবীজী (সাঃ) বললেন - তা না হলে আর কাদের মত ?' (বুখারী) অন্য আরেকটি হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেছেন- "অবশ্যই তোমরা পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির হুবহু অনুসরণ শুরু করবে । তারা যদি একহাত সামনে গিয়ে থাকে, তোমরাও যাবে ।

একগজ পেছনে গিয়ে থাকলে তোমরাও তাই করবে । এমনকি তারা যদি কোন সাপের গর্তে প্রবেশ করে থাকে , তোমরাও সাপের গর্তে প্রবেশ করবে । সাহাবারা আরজ করলেন- ইহুদী-খৃষ্টানদের মত ? নবীজী (সাঃ) বললেন, তা না হলে আর কাদের মত ?' (বুখারী-মুসলিম) ওলামাগণ এই হাদিসদ্বয়ের ব্যখ্যায় বলেন, এখানে হাত, গজ , সাপের গর্তে প্রবেশ দ্বারা মূলতঃ তাদের পরিপূর্ণ এবং অন্ধ অনুসরণই বুঝানো হয়েছে । আজকে আমরা এই হাদিসেরই প্রতিফলন দেখছি আমাদের সামাজিক জীবনে । আমরা আধুনিকতার নামে পাশ্চাত্য তথা ইহুদী-খৃষ্টানদের অন্ধ অনুকরণই করছি ।

বিবাহপূর্ব অবৈধ সম্পর্ক, বেপর্দা চলাফেরা, মদ্যপান এবং নিউ ইয়ার উদযাপন এর সবই তাদের অনুসরণ করে করা হচ্ছে । এগুলো আমাদের কোন উপকার তো করছেনা বরং আমাদের আল্লাহ তায়ালার থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে । আধুনিকতার মানে হওয়া উচিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চ্চা , শালীনতা বোধের চর্চ্চা এবং ধর্মীয় নীতি মেনে চলে জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করা । কারণ এই জীবন একদিন শেষ হয়ে যাবেই । তারপর সবাইকে আল্লাহপাকের নিকট ফিরে যেতে হবে ।

হাশরের ময়দানে মানুষ তার বিশ্বাস ও কর্মফল নিয়েই উঠবে । আর শয়তান তো মানুষকে মন্দ ও অশ্লীলতারই নির্দেশ দেয় । আজ আমরা ধর্ম থেকে দূরে গিয়ে যেই আধুনিকতার অনুসরণ করছি একটু ভেবে দেখছিনা যে তা প্রকৃতপক্ষে ইহা আমাদেরকে কি দিচ্ছে । এসবের মাধ্যমে যে আমরা পারষ্পরিক অবিশ্বাস ও অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করছি এবং যার পরিণতি কোন সময়ই ভালো হয়না তাও আমাদের বুঝে আসছেনা । আমরা যেন অনেকটা সুন্দর গ্লাসে করে কেউ আমাদের বিষ দিল আমরা তাই পান করছি আর ধর্মকে উপরের দিক থেকে কালো আবরণ দেখে দূরে সরে গিয়ে ভিতরের মিষ্টি মধুর শরবত থেকে নিজেদের বন্চিত করছি ।

আপনি বিষ জেনে পান করুন আর না জেনে পান করুন তার বিষক্রিয়া ঠিকই হবে । যতই ভূলে থাকতে চান না কেন - মৃত্যু থেকে মুক্তি নেই । সুতরাং একমাত্র বুদ্ধিমান ব্যাক্তিরাই চোখ কান খোলা রেখে মাথা খাটিয়ে চলে আর বোকারা অন্ধের মত অনুসরণ করে নিজের ধ্বংস ডেকে আনে । "তোমরা সেদিনকে ভয় কর, যে দিন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না, কারো কাছ থেকে বিনিময় গৃহিত হবে না, কারো সুপারিশ ফলপ্রদ হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্তও হবে না । " (সূরা বাকারা - ১২৩) আমাদের কি সেই ভয় আছে ? আমরা কি এতই নিশ্চিন্ত হয়ে গেছি যে আমাদের কে ধরা হবে না ? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।