আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Hidden genocide?

কেন জানি না, আজ পর্যন্ত একটা বৌদ্ধ ভিক্ষু বা বৌদ্ধ ছাত্র কেও পেলাম না বার্মার রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সমবেদনা দেখাতে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে রামুর ঘটনার প্রতিবাদে মানব বন্ধন হয়েছে। এমনকি রামুর ঘটনায় বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত রামুতে ছুটে গেছেন। যেইখানে শেখ হাসিনা রামুতে ছুটে যান আর সেইখানে বার্মার সামরিক শাসক ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের কে লাত্থি মেরে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আজকে যে ৩০ টা বছর ধরে ৪ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে শরনার্থী হিসাবে আছে, প্রতিদিন নাফ নদী পার হয়ে কুকুর প্রজাতি জাতির বংশধর বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত হয়ে বার্মার মুসলমানরা এক কাপড়ে বাংলাদেশে আসছে; কই কখনো কি বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীলদেরকে নেট জগতে বা বাস্তব জগতে আমরা প্রতিবাদ করতে দেখছি এই বার্মার বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে।

আপনি হয়ত বলবেন বার্মার ব্যাপারে তারা কেন প্রতিবাদ করবে ? ভাই যেহেতু বার্মার মুসলমানদের সর্বশেষ আশ্রয় স্থল হচ্ছে বাংলাদেশ, আর রোহিঙ্গাদের কারনে কক্সবাজার এলাকায় কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে তাই রোহিঙ্গা সমস্যাটাও এখন বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়ে গেছে। আর তাই আমাদের সকল বাংলাদেশীর উচিত রোহিঙ্গাদের কাছে এসে দাঁড়ানো। আর তাছাড়া রোহিঙ্গারা আমাদের প্রতিবেশি। আচ্ছা রামুতে কি কোন বৌদ্ধ মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে ? এর উত্তর না। আচ্ছা রামুতে কি কোন বৌদ্ধ কে হত্যা করা হয়েছে ? এর উত্তর না।

আচ্ছা রামুর ঘটনায় কি কোন বৌদ্ধ বাংলাদেশ ত্যাগ করে বার্মায় গিয়ে শরনার্থী হয়েছে ? এর উত্তর না। কিন্তু আজকে ৪০ টা বছর ধরে আরাকানে প্রায়ই যেটা হয় সেটা হল সুন্দর সুন্দর রোহিঙ্গা মুসলিম মেয়েদের কে বার্মার সেনাবাহিনী এসে ধরে নিয়ে যায়। ১ মাস ২ মাস এই এই সুন্দর সুন্দর রোহিঙ্গা মুসলিম মেয়েদের কে তারা ভোগ দখল করে তারপর ইচ্ছা হলে তাদের কে হত্যা করে ফেলে বা অনেকে দয়া পরবশ হয়ে এই রোহিঙ্গা মেয়েদের কে নিজ গ্রামে দিয়ে যায়। সারা জীবন এই রোহিঙ্গা মেয়েরা একটা কলঙ্ক বয়ে নিয়ে বেড়ায়। এই যে আজকে ৪০ বছর ধরে বার্মার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মেয়েদের কে ধর্ষন করছে তাদের কে ঘর থেকে প্রকাশ্যে উঠিয়ে নিয়ে সেনা বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে এসে ভোগ দখল করছে এর কোন বিচার নাই।

আর দাঙ্গার সময় রোহিঙ্গা মুসলমানদের কে বৌদ্ধ কর্তৃক হত্যা করা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। রোহিঙ্গারা কার কাছে বিচার দিতে যাবে। বার্মায় কোন আইন আদালত কোর্ট কাচারী আছে নাকি ? মগের মুল্লুক এই শব্দ টা তো বার্মা থেকেই এসেছে। আজকে ৪০ বছর রোহিঙ্গারা কোন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা পায় না, রোহিঙ্গা ছেলে মেয়েরা কোন সরকারী স্কুল কলেজে ভর্তি হতে পারে না। এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কি হতে পারে? আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি আল জাজিরা চ্যানেলে প্রচারিত “Hidden genocide” এই অনুষ্ঠান টা দেখতে পারেন।

তাইলেই বুঝবেন বৌদ্ধ ধর্ম কত বড় মানবতার ধর্ম। আসলে আমি এই সব কাজের জন্য বৌদ্ধদের দোষদেই না। তবে, খুব কষ্ট পাই যখন দেখি বার্মার এত বড় বড় প্যাগোডার বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও রোহিঙ্গা নির্যাতনে অংশ নেয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।