শনিবার নিউ ইয়র্কের এস্টোরিয়ার পিএস ১১২ এ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারর্ফমিং আর্টসের (বিপা) পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ পরিবেশনা নিয়ে আসেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আমেরিকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা ছেলে-মেয়েদের পরিবেশনায় বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগানিয়া নৃত্য-গীতে অভিভূত হন প্রবাসী বাঙালিরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাত্তরের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একে একে শিক্ষক পরিচিতি, পুরস্কার ও সনদ বিতরণ, ছোটদের কবিতা পাঠ ও সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘আমার পরিচয়’, বিজয় দিবসের বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘লেখা আছে অশ্রুজলে’ এবং বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘জয় বাংলা’ পরিবেশিত হয়।
প্রথমেই নিলোফার জাহানের নির্দেশনায় কবিতা ও গান নিয়ে ‘আমার পরিচয়’ মঞ্চস্থ হয় বিপার শিশু শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে।
এরপর পিনাক পাণি গোস্বামীর তবলার ছন্দে সৈয়দ শামসুল হক ও নাজিয়া জাবীনের স্বাধীনতা নিয়ে কবিতা আবৃত্তি হয়। কবিতার ফাঁকে ফাকেঁ দলীয় কণ্ঠে তিনটি রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে শোনান তারা। মিলনায়তন ভর্তি দর্শক-শ্রোতা বার বার করতালি দিয়ে ক্ষুদে শিল্পীদের অভিনন্দন জানান।
বিপার তবলার শিক্ষক পিনাক পাণি গোস্বামীর প্রশিক্ষণ ও পরিচালনায় ‘তবলা লহড়া’র ছোট হাতের ছন্দ সবাইকে দুলিয়ে দিয়ে যায়।
এরপর সেলিমা আশরাফের নির্দেশনায় ‘লেখা আছে অশ্রুজলে’ অন্যান্য পরিবেশনার সঙ্গে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো স্প্রিপ্টে অ্যানি ফেরদৌসের কোরিওগ্রাফিতে পরিবেশিত হয় নৃত্যানুষ্ঠান ‘জয় বাংলা’।
জাগরণের গানের সঙ্গে পরিবেশিত নৃত্যের ফাঁকে ফাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাষণ থেকে অংশ বিশেষ বাজিয়ে শোনানো হয় ।
প্রায় অর্ধশতাধিক শিল্পীর গান, নাচ আর কবিতায় বার বার ফিরে আসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, শিহরণ জাগায় বাঙালির জাগরণের সুর।
১৯৯৩ সালে নিউ ইয়র্কে বিপার যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯৪ সালে নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করার লক্ষ্যে মাত্র ৬ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়।
বিপার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সেলিমা আশরাফ অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পরিচয় করিয়ে দেন।
অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজক কোহিনূর আখতার সুচন্দা অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।
তিনি বলেন, “আমার খুবই ভালো লাগছে। বাংলাদেশ থেকে এত দূরে এসেও বাংলা সংস্কৃতির চর্চা চলছে। নতুন প্রজন্ম এ সব শিখে আমাদের দেশকে পাশ্চাত্যে মহিমান্বিত করছে। ”
এজন্য বিপার কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিপার সভাপতি নিলোফার জাহানের সমাপনী বক্তব্য ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।