সোমবার রাতে ব্রুকলিনের ৫৪৬ ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউতে নিজের বাসভবনের বেসমেন্টে মহিউদ্দিন মাহমুদ দুলালের (৫৭) গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়।
এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
দুলালের বাড়ির বেসমেন্টে ভাড়া থাকতেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাসেল (২৫)।
তবে ঘটনার পর থেকে তার কোনো সন্ধান মিলছে না।
দুলালের ছোট ভাই ওই এলাকার বাসিন্দা হানিফ মাহমুদ আকবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত ১২টায় খবর পেয়েই গিয়ে বেসমেন্টের সিঁড়ির গোড়ায় দুলাল ভাইয়ের লাশ দেখতে পাই। এরপর পুলিশ এসে সবকিছু বন্ধ করে দেয়। ”
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের রহমতপুরের কারগিল গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. হোসেনের বড় ছেলে দুলাল ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। স্ত্রী এবং ৩ সন্তান নিয়ে তিনি থাকতেন।
বাড়ির নিচ তলায় গহনার দোকান দিয়েছিলেন দুলাল। বছর দেড়েক আগে দোকান তুলে দিয়ে তা ভাড়া দেন ‘পিপল এন টেক’ নামে একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার টেস্টিং টেইনিং ইনস্টিটিউটককে।
তবে এই ইনস্টিটিটিউট দিয়ে যাওয়া যায়, সেই রকম বেসমেন্টে স্থাপন করেছিলেন ‘চেক-ক্যাশ’ করার ব্যবসা। সেখানেই খুন হলেন দুলাল।
‘পিপল এন টেক’র প্রকৌশলী আবু হানিফ বলেন, রাত ৮টা নাগাদ তাদের লোকজন ছিল সেখানে।
পিপল এন টেকের ব্যবস্থাপক মিসবাহকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আবু হানিফ বলেন, “আমার ইনস্টিটিটিউটে সার্ভিলেন্স ক্যামেরা রয়েছে। সুতরাং হত্যাকাণ্ডের তথ্য হয়ত সেখান থেকে পাওয়া যেতে পারে।
“তবে বেসমেন্টে ঢোকার আরেকটি দরজা রয়েছে। তা আমার ক্যামেরার আওতায় কি না, জানা নেই।
”
নিহত মহিউদ্দিন দুলাল
দুলালের লাশ পুলিশ পাহারায় সিটি মেডিক্যাল এক্সামিনারের দপ্তরে নেয়া হয়েছে।
দুলালের বড় ছেলে জিতু থাকেন লংআইল্যান্ডে। তিনি একটি ডানকিন ডোনাটের ব্যবস্থাপক।
অন্য দুই ছেলে হামিদ ও কুতুবউদ্দিন এখনো পড়াশোনা করেন।
ব্রুকলিনে বাংলাদেশিদের পরিচিত মুখ দুলাল হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে গভীর রাতেই সেখানে জড়ো হন প্রবাসীরা।
এর মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি কাজী আজম, সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এন আমিন, মুজিবুল মাওলা এবং সেক্রেটারী মহিউদ্দিন হাসান, সিএমবিবিএর সাবেক সভাপতি আব্দুর রব চৌধুরী, সাবেক সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারি, বর্তমান সভাপতি ফখরুল হক এবং সেক্রেটারি এল আলী প্রমুখ।
খুনিকে ধরতে পুলিশকে সহায়তার জন্য তারা প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।