তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বুধবার ঢাকার আদালতে পাঠানো হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন সেলিমা রহমানকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আটক করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহবুবকে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিলনকে একইদিন দুপুরের পর বারিধারায় জয়নুল আবদিন ফারুকের ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে ধরে ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ।
মিলনের সঙ্গে বিএনপির সংসদ সদস্য নাজিমউদ্দিন আহমেদকে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সেলিমা, মাহবুব ও মিলনকে গত ৪ জানুয়ারি রমনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে বোমা ছোড়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা ওই বোমা হামলায় উস্কানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিরোধী দলবিহীন ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের।
ওই লক্ষ্যে ডাকা হরতাল ও অবরোধের মধ্যে ভোটের আগের দিন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে বোমা ছোড়া হয়। ওই ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে যে মামলা করে, তাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হল বিএনপির তিন নেতাকে।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিমা রহমান। নিজের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনের পরই আটক হন তিনি।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১৮ জোটের আন্দোলনের মধ্যে বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা বর্তমানে কারাবন্দি। তাদের বিরুদ্ধেও বোমাবাজি ও গাড়ি পোড়ানোর মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও আ স ম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, হাফিজউদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও মাহবুবউদ্দিন খোকন।
এছাড়াও রয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নসিরউদ্দিন, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাবেক সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, বর্তমান সাংসদ শাম্মী আক্তার, এবং চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।