গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী এই পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও বিএনপি প্রস্তুত। তবে তার আগে আলোচনার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়া।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে খালেদা বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট কোনো স্থায়ী জোট নয়। ”
তাহলে তিনি জোট ভাঙছেন কি না জানতে চাইলে খালেদা বলেন, “এই মুহূর্তে আমি এটা পারছি না। তবে যখন সময় আসবে তখন আমি দেখব।
”
১৯৯৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গাটছড়া বাঁধার পর প্রথমবারের মতো তাদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের বিষয়ে খালেদার এমন বক্তব্য এলো।
২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার জন্য আহ্বান জানানো হলেও অনড় থাকেন খালেদা।
সর্বশেষ ভোটের পরদিন গত ৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো বিএনপিকে সংলাপে আসার আাহ্বান জানান। তবে এজন্য জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার পাশাপাশি ‘সহিংসতা বন্ধ’ করতে বলেন তিনি।
ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর শর্তের বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে খালেদা বলেন, জামায়াতকে নিয়ে তো আওয়ামী লীগও সরকারে গেছে।
বিএনপি তাদের রাজনীতির বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে এবং কারো দ্বারা নির্দেশিত হবে না।
অবশ্য একই দিনে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে খালেদার বক্তব্যটি প্রকাশিত হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।