.....
ভারতে এংলো ইন্ডিয়ান নাম একটি জাতি আছে । যাহারা ইউরোপিয়ান কিম্বা ইউরোপিয়ান - ভারতীয় শঙ্কর জাত । কলকাতার "ব ব্যারাক " অঞ্চলে এদের দেখা যায় । বাংলাদেশে এদের অস্তিস্ব আছে কিনা জানি না । তবে ভারতে এরা কয়েক লক্ষ আছে ।
ইংরেজ রা এই দেশ ছেড়ে যাবার সময় দেশটির ভাগ বাটোয়ারা করে ,যেমন মুসলিম দের জন্য পাকিস্তান ,আর বাদবাকি ভূমি খন্ডটা বাদবাকি সমস্ত জাতি দের জন্য ।
এখানেই শেষ হয় নি । এর পরেও ইংরেজদের আমাদের জন্য চিন্তার শেষ ছিল না । তারপরেও যাতে ভারতের সখ্যালঘু যারা আছে তাদের জন্য সংরক্ষণ এর ব্যবস্থা করে গেছে । যেমন এই এংলো ইন্ডিয়ানরা কোনো নির্বাচনে না জিতেই জাতীয় সংসদে দুটি আসন নিতে পারে ।
সেই ধারা এখনো চলছে । এটা ইংরেজদের অবদান । নিজেদের জ্ঞাতি ভাই দের জন্য কত চিন্তা ।
একই প্রস্তাব ইংরেজরা পার্সিদের কেও দিয়েছিল । পারসী বা পার্সিরা তখন জবাব দিয়েছিল "আপনারা (ইংরেজ ) আসার অনেক আগেই আমরা এই দেশে এসেছি ।
এই দেশ আমাদের । গত সহস্র বছরের ইতিহাসে আমরা এখানে কোনো অত্যাচারের মুখোমুখি হই নি । সুতরাং আমাদের জন্য আপনাদের চিন্তা না করলেও চলবে "
কিন্তু কথা হলো এই পার্সি কারা ?
এরা হলো জরাথুস্তের অনুগামী এবং অগ্নি উপাসক এবং ইরানের আদি বাসিন্দা । শ্রদ্ধেয় ব্লগার ইমন জুবায়ের অনার এই পোস্টে পারসীদের ইতিহাস তুলে ধরেছেন Click This Link । যাই হোক তিনি ছিলেন বিখ্যাত ব্লগার ,আমার সে দায় নেই ।
তাই ইতিহাস কে স্পষ্ট ভাষায় বলা যাক ।
পারসী রা ইরানের আদি বাসিন্দা । ইরানে আরবদের আক্রমনের পর ইরান কে দারুল ইসলাম বানানোর পরিকল্পনা হতে থাকে । সুতরাং পার্সিরা নিজেদের বাচবার জন্য ভারত অভিমুখে যাত্রা করে । তারা গুজরাতে গিয়ে সেখানকার মহারাজের কাছে আশ্রয় ভিক্ষা করে এবং সেই সাথে একটি শর্ত ও রাখে ।
তারা যে পবিত্র অগ্নি সাথে করে এনেছে তার প্রায় ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো পার্সি নয় এমন আসতে পারবে না । মহারাজ শর্ত মেনে নেয় ,এবং সেই থেকে পারসী রা ভারতে শান্তিতে বসবাস করছে ।
পার্সি রা হলো প্রতিভাবান এবং কর্মঠ একটি জাত । টাটা ,ভাবা(হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা ) এরা সবাই পার্সি । বলতে গেলে ইহুদিরা আমেরিকায় যে রোল প্লে করে ভারতে তা পার্সিরা করে ।
এখানে আরো একটি চিত্তাকর্ষক ঘটনা -বিংশ শতাব্দীর মাঝের দিকে মুম্বাই তে পারসী ব্যবসায়ী দের সাথে স্থানীয় ইংরেজ দের বিবাদ হয় । তারা মুম্বাই ছেড়ে চিনের সাংহাই তে চলে যায় । যাবার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েও যায় -তারা সাংহাই কে মুম্বাই এর থেকেও ভালো নগরী পরিনত করবে । এবং সেই সময় বেশ কিছু রুশিয়ান ইহুদি রাও সাংহাইতে বসবাস শুরু করে । সাংহাই এর বর্তমান চিত্রটা আপনাদের সামনে ।
এই ইহুদিরাও একসময় ভারতবর্ষে এসেছিল । ইসরাইলের সংবিধান থেকে কোট করছি "আমরা যখন আশ্রয়হীন হয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এবং কেউই আমাদের আশ্রয় দিচ্ছিল না তখন একমাত্র ভারতবর্ষ আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল । "এটা একটা অভিনব ব্যাপার কোনো সংবিধান এ এভাবে অন্য দেশের উল্লেখ আছে কিনা জানা নেই । এটা তাদের জায়ানিস্ট মনোভাবের পরিচয় বলেই মনে করি । তবে ইসরাইল গঠন হবার পরে বেশির ভাগ ইহুদি ভারত ছেড়ে ইসরাইল চলে যায় ।
এখনো ভারতে প্রায় হাজার পাচেক মতো ইহুদি আছে যারা গুজরাতে বসবাস করে ।
এবার ভারতে মুসলিম আক্রমনের ইতিহাস । এই ইতিহাসটা শিক্ষনীয়
অতীতে গান্ধার প্রদেশ বলে যে জায়গাটা ছিল সেটার এখন নাম "নর্থ ইস্ট ফ্রন্ট অফ পাকিস্তান "।
অর্থাৎ তালিবান অধিকৃত অঞ্চল । মালালা যে অঞ্চলের মেয়ে ।
তো গান্ধার এক সময় পুরো ভারতের মতই হিন্দু ছিল ,তরপর জৈন হলো ,তারপর আবার হিন্দু হলো ,তারপর বৌদ্ধ হলো ,তারপর আবার হিন্দু হলো আর এখন ইসলাম ।
এই ঞ্চলের মানুষেরা হলো গ্রিক এবং ভারতীয় দের সংকর । এদের স্থাপত্য কলাও গ্রিক এবং ভারতীয় মিশ্র । যা গান্ধার স্থাপত্য কলা নামে খ্যাত । এই অঞ্চলের আদিবাসী দের আরো একটি সুনাম আছে ,তা হলো যুদ্ধবাজ ।
এই অঞ্চলের লোকেদের ব্যাপক অর্থে পাঠান বলা হয় ।
কয়েকজন বিখ্যাত পাঠান -
মুম্বাই এর সমস্ত গ্যাং ষ্টার ,তালিবান নেতা থেকে শুরু করে শাহরুখ খান ,সালমান খান ,আমির খান এবং বুম বুম আফ্রিদি এরা সবাই পাঠান ।
আমার এত কথা বলার উদ্যেশ্য হলো ধর্ম ,সমাজ ব্যবস্থা যাই পরিবর্তন হোক না কেন ,জাতি গত চরিত্র কখনো পরিবর্তন হয় না ।
তো মহম্মদ ঘড়ি (পাকিস্তানের ব্যালাস্টিক মিসাইল গুলি এনার নামে ,ওই যে বল্লাম জাতি গত চরিত্র ) এই পাঠান দের সাথে নিয়ে সেই সময় গুজরাট রাজস্থানের রাজা পৃথ্বিরাজ চৌহান কে আক্রমন করেন । প্রথম বার পরাজিত হয়ে ফিরে যান ।
তো এই পৃথ্বিরাজ চৌহান আবার কাশ্মীরের রাজকুমারী সংযুক্তা এর সাথে প্রেম করতেন । এবং এটা কাশ্মীরের রাজার না পসন্দ ছিল । তো দ্বিতীয় বার যখন মহম্মদ ঘড়ি আক্রমন করেন ,তখন কাশ্মীরের রাজা বিশ্বাস ঘাতকতা করে । এবং পৃথ্বিরাজ চৌহান পরাজিত হন ।
ইন্টারেষ্টিং ফ্যাক্ট - আজও কাশ্মীরের মেয়ে কে কোনো বাইরের রাজ্যের ছেলে বিয়ে করলে সেই মেয়ের কাশ্মিরে আর জায়গা হয় না ।
এবং এটা ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারায় নিশ্চিত করা হয়েছে । যার জন্য কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী অমর আম্দুল্লাহ এর বোন ও যখন বাইরের রাজ্যের ছেলেকে বিয়ে করে তখন সেও তার বাপের বাড়ির সমস্ত সম্পত্তির উপর অধিকার হারায় |
কাশ্মীরের মুখ্য মন্ত্রী ও তার বোন ।
আগেই বলেছিলাম জাতিগত চরিত্র !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।