মঙ্গলবার রাতে মণিরামপুর উপজেলার হাজরাইল ঋষিপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।
লোকলজ্জা ও হামলাকারীদের ভয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘটনাটি এতদিন প্রকাশ না করলেও শুক্রবার থানায় অভিযোগ করার পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
এর আগে নির্বাচনের দিন (রোববার) যশোরের অভয়নগরের চাপাতলা গ্রামের মালোপাড়ায় অন্তত দেড়শ বাড়ির আসবাবপত্র, ঘরের চালা, ধান-গমের গোলাসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর ও তছনছ করে নির্বাচন বিরোধীরা।
পরে তারা ৪/৫টি বাড়িতে আগুন দেয় এবং বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় ভয়ে মালোপাড়ার নারী-পুরুষ-শিশু গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বাঁচে।
মণিরামপুর থানার ওসি মীর রেজাউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে মুখ বাঁধা ৫/৬ জন দুর্বৃত্ত ঋষিপল্লীর একশ’ গজ ব্যবধানে দুটি বাড়িতে হানা দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে পুরুষদের জিম্মি করে দুই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
শুক্রবার সকালে ওই দুই গৃহবধূ থানায় অভিযোগ করেছেন। দুপুরে মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশের ভয়ে পলাতক নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
ঘটনার শিকার এক গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, মুখে কাপড় বাঁধা কয়েকজন লোক অস্ত্রের মুখে তার শ্বশুর ও স্বামীকে বেঁধে তার ওপর নির্যাতন চালায়।
অপর নারীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার পর পল্লীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঋষিপল্লীর যুবকরা রাত জেগে এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, মাগুরা, জামালপুর, জয়পুরহাট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। সে সময় সংখ্যালঘু পরিবারের অনেকে ধর্ষণের শিকার হন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।