জীবণের অনুভূতি গুলো সব ছোটগল্পের মত । শেষ হইয়াও হয় না শেষ । পূর্ণতারও কিছু অপূর্ণতা থেকে যায় ।
শীতে যারা কাঁপছো, সারাদিন রোদ পোহাচ্ছো। গোসল তো দুরে থাক, ঠান্ডার ভয়ে বাথরুমের আশেপাশে দিয়েও যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছো।
টানা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ ধরে গোসল না করার জন্য যারা মা-বাবার বকুনি, প্রেমিক/প্রেমিকার উপহাস, ছোট/বড় ভাই-বোনদের ঠাট্টার পাত্রে পরিনত
হয়েছো। মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। কী করি, কী করি বলে মাথার চুল ছিঁড়ে টাকলা হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
দাড়াও!
আমি থাকতে তোমাদের ইন্দুর
মারা বিষ খেতে হবে না, তোমাদের
জন্য আছে সুখবর!!
'হাফ গোসল' দাও,
লজ্জা থেকে রক্ষা পাও!!!
* হাফ গোসলের নিয়মাবলীঃ
¤প্রথমে চুলে শ্যাম্পু দিয়ে মাথাটা ধুয়ে ফেলো। (এটুকু করতেই হবে! নয়ত
ফ্রেশনেসটা আসবে না।
তাছাড়া এতে করে মাথা ভার ভার, ব্যাথা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
¤এবারে দুই হাত(কাঁধ পর্যন্ত) ও দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো।
¤সবশেষে পুরাতন কাপড়-চোপড় ভিজিয়ে নতুন এক সেট কাপড় পড়ে বাথরুম থেকে কাঁপতে কাঁপতে বের
হয়ে রোদে গিয়ে বসো (এতে করে কেউ
সন্দেহ করবে না)।
ব্যাস হয়ে গেল হাফ গোসল, ইজ্জত বাঁচানোর গোসল!
বিঃদ্রঃ
>যারা আগে থেকেই এই পদ্ধতি ফলো করেন, তারা চুপ থাকেন।
>এই পদ্ধতি অনুসরণের ফলে কেউ চুলকানি, বিখাউজ, দাউদ, একজিমা জাতীয় মান হানিকর রোগ ফান্দাইলে তার দায়ভার আমার নয়।
ষ্টেশনে মলম পাওয়া যায়, গ্যারান্টি তারাই দিবে।
>এই পদ্ধতি শুধুমাত্র নাদান বাচ্চা পোলাপাইন ও কতিপয় অলস মাইয়াদের জন্য। কেউ ভুলেও ভাইবোনা যে আমি এই পদ্ধতি অনুসরণ করি।
ক্লেয়ার ? কে ক্লেয়ার না, বলো ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।