তথ্যপ্রযুক্তির সুবাতাস ছেয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশেও। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে তৃতীয় বিশ্বের লোকজন যতটা ভীত পশ্চিমা বিশ্বের লোকজন ঠিক ততটাই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। তবে বর্তমান প্রেক্ষপটে এই ভয় পাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কেটে গেছে। আয়ত্ত করছে প্রযুক্তির ব্যবহারকে। আগ্রহ দেখাচ্ছে বিজ্ঞানের সৃষ্টিকে।
তারপরও উন্নত বিশ্বের মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি নির্মাণ ও ব্যবহার করে তৃতীয় বিশ্বের কাছে দেবতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। তারা তাদের মেধা, মনন ও সৃষ্টিশীলতা দিয়ে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও রাষ্ট্র হিসেবে নাম লিখাচ্ছে গিনেস বুকে। কিন্তু তাদের এ সফলতার পেছনে যাদের বেশি অবদান তারা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের এই দরিদ্র ও প্রযুক্তি ব্যবহারে শঙ্কিত জনগোষ্ঠী। অনেক দেরিতে হলেও আজ তার কিছুটা পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। বুঝতে পারছে প্রযুক্তির বিশালতা ও গভীরতাকে।
দারিদ্র্য বিমোচনে তথ্যপ্রযুক্তির অবদান যে অপরিসীম তার হাজারো দৃষ্টান্ত বিদ্যমান। মাইক্রো-সফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের নামই ধরুন। বিল গেটসের নাম আমরা প্রথমে জানি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। এই প্রযুক্তির নির্মাতা মাইক্রোসফটের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছ থেকে হাজার হাজার বিলিয়ন ডলার উপার্জন করে আজ বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। প্রযুক্তি তাকে স্তরগত ভিন্নতা দিয়েছে।
দিয়েছে হিমালয়সম প্রতিপত্তি। গভীরভাবে চিন্তা করলে বিলগেটসের এই পরিবর্তন ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক- সর্বোপরি জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তিকে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছালেই তৈরি হবে সমৃদ্ধ নেটওয়ার্ক। * ইনফো ডেস্ক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।