রোববার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় আগের মতোই স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সৈয়দ আশরাফ।
তবে তার সঙ্গে গত মন্ত্রিসভায় থাকা মহীউদ্দীন খান আলমগীর, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, সাহারা খাতুন, শামসুল হক টুকুর মতো অনেকেই নতুন সরকারে স্থান পাননি।
বঙ্গভবনে নতুন সরকারের শপথের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে আশরাফ বলেন, “যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি, তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ”
৪৯ সদস্যের নতুন সরকারে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর মধ্যে ২৩ জনই নতুন। এর পাশাপাশি প্রবীণ নেতাদের বেশ কয়েকজনও স্থান পেয়েছেন নতুন সরকারে।
“এবার যারা নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন, তারাও যদি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারেন তবে তাদেরকেও অব্যাহতি দেয়া হবে,” বলেন আশরাফ।
বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচন বাতিল করে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিএনপি নেতারা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির উদ্দেশে বলেন, “আসেন কথা বলি। বিদেশিদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। ”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল এই নির্বাচন ঠেকাতে হরতাল-অবরোধ ডেকেছিল। ভোটের পরও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে তারা।
বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আশরাফ বলেন, “এখনি সব সংঘাত বন্ধ করতে হবে। তার পরে সমঝোতা।
যখনি সমঝোতা তখনি নির্বাচন। ”
জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “জামায়াতের জন্য একটা সুযোগ আছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করে নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করতে পারে। ”
এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে অধিকাংশ দেশের প্রতিক্রিয়ায় বিষয়ে মন্ত্রী আশরাফ বলেন, “আমরা কোনো দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলিনি, ‘আমাকে স্বীকৃতি দাও’। বাংলাদেশ এখন কোনো বটমলেস বাসকেট (তলাবিহীন ঝুড়ি) নয়।
এখানে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।