সুখি হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় বিবেক হীন হওয়া।
কাকুম ন্যাশনাল পার্কের রোমাঞ্চকর স্মৃতির জাবর কাটতে না কাটতে আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে গেলাম কুমিরের খামারে।
এখানেও আমরা যথারীতি গাড়ি এবং মানুষ উভয়ের জন্য টিকেট কাটতে হল। সৌভাগ্যক্রমে দেখলাম টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে আছেন এক ভদ্র মহিলা। তার কাছ থেকে পুরনো টেকনিক খাটিয়ে টিকেটে কিছু কনসেশন আদায় করা গেল।
উনি আবার ইন্ডিয়ানদের খুব ভাল পান। আমাদের প্রথমে ইন্ডিয়ান ভেবেছিলেন তিনি। পরে তার ভুল ভাঙ্গিয়ে বললাম- উই আর পম বাংলাদেশ, নেইবার অফ ইন্ডিয়া। তাতেই তিনি খুশী। আর টিকেটে ছাড় পেয়ে আমরা তো আরও বেশী খুশী।
তিনি আমাদের সে কুমিরের খামারটি ঘুরে দেখালেন। খামারে নাকি ৪৫ টার মত কুমির আছে। কিন্তু আমরা ৪/৫ টার বেশি দেখিনি।
শেয়াল আর কুমির ছানার গল্পের মত এ পরিসংখ্যান কিনা কে জানে। এ খামারটি ব্যক্তি মালিকানাধীন।
ওই ভদ্র মহিলাই এদের দেখা শোনা করেন। তিনি কিছু পাউরুটির টুকরো পানিতে ছেড়ে দিলেন।
পাউরুটি খেতে মাছ আসল, আর মাছ ধরতে আসল কুমির। পানিতে কুমিরের দাপাদাপি দেখলাম কিছুক্ষণ। পুকুরটির চারপাশে কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই! খুবই ভয়ানক ব্যাপার।
ভদ্র মহিলা আমাদের বললেন, তোমরা কুমিরের গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে পার। আমি তাকে বুঝালাম, এই ভুল তুমিও করতে যেওনা। এদের কোন বিশ্বাস নেই। কিছুদিন আগে আইভরিকোস্টে কুমিরের এক কেয়ার টেকারকে পানিতে টেনে নিয়ে কীভাবে তাকে খুবলে খেয়েছে কুমিরের দল সে গল্প তাকে শোনালাম।
কিন্তু তিনি তেমন কনভিনসড হলেন বলে মনে হলনা।
আমি দিব্য চোখে ভদ্র মহিলার করুণ পরিণতি দেখতে পেলাম। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কখনো ভাল নয়।
খামারের ভেতরে পর্যটকদের জন্য একটা রেস্টুরেন্ট দেখলাম। রেস্টুরেন্টটি রং বেরঙয়ের বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো।
দুনিয়ায় সাজানোর এত কিছু থাকতে জাতীয় পতাকা কেন ব্যাপারটি ঠিক মাথায় ঢুকল না।
যেমন মাথায় ঢুকেনি লেকের ঘাটে স্থাপন করা নারী পুরুষের এ মহান দুটি শিল্প কর্মের তাৎপর্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।