অবশ্য বিকেএসপির দুই নম্বর মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডে এত বড় লিড পেয়েও আনন্দে নেই গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। মঙ্গলবার ১ উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করা ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন এগিয়ে আছে ৬২ রানে।
ইস্ট জোনকে এমন শক্ত জায়গায় পৌঁছে দেয়ার কৃতিত্ব নাজিমউদ্দিন ও নাফিস ইকবালের। দলকে ১৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দিয়েছেন দুজনে।
আরাফাত সানির বলে মোহাম্মদ শহীদের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৬৩ রান করেন নাফিস।
নাজিমের দুর্ভাগ্য, আহত হয়ে শতকের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরতে হয়েছে। তার ১৫৫ বলে ৯৭ রানের দারুণ ইনিংসটা ১০টি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো।
দিন শেষে মুমিনুল হক ৪১ ও তামিম ইকবাল ২৮ রানে অপরাজিত। সব সময় উদ্বোধন করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন তামিম।
এর আগে ৬ উইকেটে ৪২৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে অলআউট হওয়ার আগে ৪৭৫ রান করে সেন্ট্রাল জোন।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন শামসুর ও ইলিয়াস সানি। মঙ্গলবার দিনের পঞ্চম ওভারে ইলিয়াসকে (৩৭) মুমিনুল হকের ক্যাচে পরিণত করে ১১২ রানের এই জুটি ভেঙ্গে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
পরের ওভারে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে শাহাদাত হোসেনকে (১) ফেরান এনামুল হক জুনিয়র।
এরপর আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে যান ২২৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা শামসুর। ২৮৬ বলের চমৎকার ইনিংসটিতে ছিল ২৭টি চার ও ১০টি ছক্কা।
৯৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দেশের অন্যতম সেরা পেসার মাশরাফি জানিয়ে দিয়েছেন, বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলতে তিনি প্রায় প্রস্তুত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইস্ট জোন: ৩০৩ (লিটন ৭৯, নাজিম ৫৭; মাহমুদুল্লাহ ৪/৬৭) ও ২৩৪/১ (নাজিম ৯৭*, নাফিস ৬৩, তামিম ২৮*, মুমিনুল ৪১*; আরাফাত ১/৪১)
সেন্ট্রাল জোন: ৪৭৫ (নাফীস ২৩, শামসুর ২৬৭, মার্শাল ৪, মেহরাব ১২, মাহমুদুল্লাহ ১, রকিবুল ২২, হাসান ৯৪, সানি ৩৫, শাহাদাত ১, আরাফাত ০*, শহীদ ০; মাশরাফি ৩/৯৮, আলাউদ্দিন ২/১০৪, এনামুল ২/১১৪, অলক ১/২৭, আরাফাত ১/৬৪)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।