আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদায় সুচিত্রা দি





নিয়তি

ফিকে হয়ে আসে পূর্ণিমার উজ্জ্বল জোছনা
রূপালী আলোকছটা মিলিয়ে যায় একসময়
বুঝি ধূসর হয়ে যাওয়াটা চিরন্তন নিয়ম
রংধনুর কোন রং আর অবশিষ্ট থাকেনা।

সবুজের স্বপ্নীল চোখ স্বপ্ন খোঁজে ফেরে না আর
ঢেউ ওঠে না আর গঙ্গাজলে
স্মৃতিগুলো একদিন ঝাপসা হয়ে আসে
পথে হয়ে যায় দেরি
তবু এ পথ অনন্ত নয়।

একদিন শেষ হয়ে যায়
বদ্ধ কপাট সেদিন খুলে যায়
শেষ হয় অন্তবাস।

নিজেকে লুকিয়ে রাখার প্রচেষ্টার ইতি হয়
সবার সামনে এসে বিদায় নিতে হয়।

থেকে যায় যুগ যুগ ধরে স্বর্ণাক্ষরে
যৌবনের লাল -নীল -শাদা
চোখ ধাঁধানো আলোক জ্যোতি
রূপালী ফিতায় মেকি বিরহ - ভালবাসা-যৌবন
থেকে যায় দারুণ প্রত্যয়ে সুরক্ষিত।



সেগুলোর মৃত্যু নেই
সেগুলি মানব ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকে ।

-----------------------------------
‍দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন আর নেই। চলে গেছেন দূর অজানার অচীন দেশে। অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন অনেক আগেই। বাংলাদেশে জন্ম নেয়া এই কিংবদন্তীর অভিনয়ে মুগ্ধ হননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।

সাদাকালো সময়ের অভিনেত্রী হয়েও এই সময়কার আধুনিক তরুণ তরুণির কাছে তিনি হয়ে ওঠেছেন দারুণ ভাল লাগার একজন। সময়কে পিছনে ফেলে জায়গা করে নিয়েছেন চিরকালীন এক শ্বাশ্বত অবস্থানে । ডাগর ডাগর চোখ, নিস্পাপ চেহারা ,চমৎকার অভিনয়ে তিনি হয়ে ওঠেছিলেন অনন্য।




১৯২৯ সালে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের পাবনার মেয়ে রমা দাশগুপ্ত পরে সুচিত্রা নাম নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রীতে পরিণত হন। উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো আজও বাঙালির হৃদয়ে অমলিন।



সুচিত্রা অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চলচ্চিত্র- শাপমোচন, সাগরিকা, পথে হলো দেরি, দীপ জ্বেলে যাই, সবার ওপরে, সাড়ে চুয়াত্তর, সাত পাকে বাঁধা, দত্তা, গৃহদাহ, রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত ইত্যাদি। হিন্দি চলচ্চিত্র আঁধিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।

শিল্পপতির ছেলে দীবানাথ সেনকে বিয়ে করেন সুচিত্রা, মুনমুন তাদের একমাত্র সন্তান।

তার অভিনিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শেষ কোথায়’ (১৯৫২ )। হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেও সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন এই অভিনেত্রী।



‘দেবদাস’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৫৫ সালে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে এসে ‘আঁধি’ ছবিতে রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নেন সুচিত্রা।

‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৩ সালে ‘মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভালে’ সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পান তিনি। ভারতীয় কোনো অভিনেত্রীর জন্য সেটিই ছিল বড় মাপের প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

১৯৭৮ সালে ‘প্রণয় পাশা’ ছবিতে সর্বশেষ অভিনয় করেন জনপ্রিয় এই নায়িকা।

এরপর আকস্মিকভাবেই অভিনয় জীবনের ইতি টেনে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারনেনি।

২০০৫ সালে সুচিত্রাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হলেও ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দিল্লি যেতে রাজি হননি তিনি। ফলে তাকে আর পুরস্কারটি দেয়া হয়নি।

কলকাতায় তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, সেখানে মেয়ে ও দুই নাতনি রিয়া সেন ও রাইমা সেন ছাড়া গুটিকয়েক পারিবারিক বন্ধেই কেবল প্রবেশাধিকার পেত।




মৃত্যু হয়েছে তার। তারপরও তিনি থাকবেন অগণিত ভক্ত হৃদয়ে তার কর্ম মাঝে । গভীর শোক প্রকাশ করছি তার মৃত্যুতে ।

তথ্যসূত্র:-View this link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.