জিয়াউর রহমানের শাসনামল ছিল গণতন্ত্রের স্বর্ণযুগ। আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দেশবাসীকে অলিখিত বাকশালী শাসনে অন্তরীণ করছে। আমরা একদলীয় গণতন্ত্রের শিকার হয়েছি। কিন্তু গায়ের জোরে যারা ক্ষমতায় বসেছেন তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
৯৫ শতাংশ মানুষ প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দেয়নি। জনমত উপেক্ষা করে তাদের ক্ষমতায় থাকার সাধ পূরণ হবে না। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা ও পেশাজীবীরা এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ জোট বানরের পিঠা ভাগাভাগি করে সংসদকে বিরোধী দলবিহীন করেছে। এই সংসদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
হারানো গণতন্ত্রকে আমাদের উদ্ধার করতে হবে। তিনি বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা অতীতেও বাকশাল কায়েম করেছে। এখনো সেই পথে হাঁটছে তারা। ৫ জানুয়ারির প্রার্থীবিহীন, ভোটারবিহীন নির্বাচন করে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। অনেক কেন্দ্রে ভোটই পড়েনি।
৯৫ ভাগ জনগণ নির্বাচন বর্জন করেছে। এই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি যে সঠিক ছিল, এই নির্বাচনের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামল ছিল গণতন্ত্রের স্বর্ণযুগ। অল্প সময়ে সুশাসনের জন্য তিনি দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম অক্ষয়, অজেয় হয়ে থাকবে।
বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা একদলীয় গণতন্ত্রের শিকার হয়েছি। সরকারি দল বিরোধী দল একাকার হয়ে গেছে। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক বলেন, যারা মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে, জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। তারা আবারও ক্ষমতায় এসেছে। কে মাঠে নামল আর না নামল আজ সেটা দেখার বিষয় না। এই অপশক্তিকে পরাভূত করতে আমাদের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিম বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছেড়ে দেব না। আজকে কথা বলছি, হয়তো কালকে কথা বলতে পারব না। গ্রেফতার হতে হবে, খুন হতে হবে। তাই বলে এক মুহূর্তের জন্য লড়াই থেমে যাবে না। পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচারী সরকার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, এ সরকারও হবে না।
আজকের দিনে আমাদের একজন জিয়াউর রহমানের প্রয়োজন। আমাদের হতাশ হলে হবে না। আরও বেশি উদ্যম ও শক্তি নিয়ে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোস্তাহিদুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, প্রবীণ সাংবাদিক ড. মাহফুজউল্লাহ, বিএফইউজের (একাংশের) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
-নিজস্ব প্রতিবেদক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।