খ্রিস্টান ধর্মে পাদ্রী ও নানদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ। সেখানে ইতালির একজন নান সন্তান প্রসব করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। সন্তান প্রসবের পর তিনি দাবি করেছেন, তিনি তার গর্ভধারণ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।
বিয়ে নিষিদ্ধ থাকায় পাদ্রী ও নানদের অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে গুঞ্জন আছে। শনিবার প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০০ পাদ্রীর পদমর্যাদা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন।
তবে ওই নান কার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে এ শিশুর জন্ম দিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। ৩১ বছর বয়সী ওই নান অবশ্য দাবি করেছেন, হঠাৎ পেটে ব্যাথা ওঠার পর তিনি হাসপাতালে যান। সেখানেই জানতে পারেন তার পেটে সন্তান। তিনি এ গর্ভধারণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির রিয়েতি শহরে।
রিয়েতির মেয়র সিমোন পেট্রাঙ্গেলি ওই নারীর ‘ব্যক্তিগত বিষয়’ নিয়ে ঘাটাঘাটি না করতে জনগণ ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচ্য নান অবশ্য বর্তমান পোপের নামানুসারে তার সন্তানের নাম রেখেছেন ফ্রান্সিস। ইতালির আনসা বার্তা সংস্থাকে মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া ওই নান বলেছেন, “আমি জানতাম না যে আমি গর্ভবতী। আমার শুধু পেটে ব্যথা হচ্ছিল। ”
তিনি রিয়েতি শহরের নিকটবর্তী একটি খ্রিস্টান উপাসনালয়ে কাজ করছিলেন।
তার সঙ্গে কাজ করা নানরা এ খবর শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সূত্র: আইআরআইবি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।