আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

PEOPLES RECEIVER: গোয়েবলসকে যতই গালি দেই, তার থিওরিতে ভর দিয়েই দাঁড়িয়ে এযুগের প্রচারণা কৌশল

Set sail, ye hearts~ into the sea of hope..

রাজনৈতিক দল বা আদর্শের প্রতিযোগিতা বা ঢাল তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ – দুই জায়গাতেই প্রতিপক্ষকে কাবু করতে যে অস্ত্রটা সবচেয়ে মোক্ষম, তা হলো প্রচারণা। খুব পরিচিত একটা গল্প দিয়ে শুরু করি, অনেককাল আগে দূরের দেশে এক প্রতাপশালী রাজা ছিলেন। তার রাজ্য ছিলো, রাণী ছিলো, অগণিত প্রজা ছিলো, কিন্তু তবু তার মনে দুঃখ, তার কোনো সন্তান ছিলো না। যাহোক, বহুদিন নিঃসন্তান থাকার পর সেই দুঃখের অবসান হলো, রাজার ঘর আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হলো। সন্তান জন্মের খবর শুনে রাজা তো মহাখুশী।

আদেশ দিলেন এই মহা সুখবর যেন ঢেরা পিটিয়ে পুরো রাজ্যে জানান দেয়া হয়। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখতে এসে ঘটলো ভজঘট, পুত্রসন্তান হয়েছে ঠিক আছে, কিন্তু তার গায়ের রঙ একটু কালো। তা দেখে রাজার মুখও কিছুটা কালো হলো। তবে অন্দরমহল থেকে বের হয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজা আদেশ দিলেন এই খবরটা যেন সারা রাজ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়। উজির তো আগে থেকেই ঢেরা পেটানোর লোক এনে দাড় করিয়েছেন, তাদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হলো।



এরপরই ঘটলো ঘটনা, প্রথম গ্রামে খবর রটলো রাজার ছেলে হয়েছে, গায়ের রঙ একটু কালো। পরের গ্রামের মানুষ শুনলো, রাজার ছেলে হয়েছে, কিন্তু তার গায়ের রঙ একেবারে কুচকুচে কালো। এরপরের গ্রামের লোক শুনলো, রাজার ছেলের গায়ের রঙ কাকের মতো কালো। তারপর পুরো রাজ্যে রটে গেলো, কোনো এক অজ্ঞাত অভিশাপে রাণীর পেটে একটি মৃত কাকের বাচ্চা জন্ম নিয়েছে।

প্রাচীনকালের রাজারা কানকথার এই মহা গুরুত্ব সম্পর্কে খুব একটা অবগত ছিলেন কিনা জানি না, তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই পরাশক্তিগুলো কানকথা বা প্রপাগান্ডার এই গুঢ রহস্যের কথা টের পেয়ে গিয়েছিলো।

সাম্রাজ্যবাদের পতন তখনো শুরু হয়নি, কিন্তু সিংহাসনে আসীন রাজা বাদশারা ঠিকই টের পাচ্ছিলেন, সামনে এমন দিন আসছে যখন বন্দুকের নল দিয়ে মানুষকে শোষন করা যাবে না। তাদেরকে সকাল বিকাল আনুগত্যের বড়ি গিলিয়ে শান্ত রাখতে হবে।

তখন থেকেই ব্রিটেন সহ প্রভাবশালী শক্তিগুলো প্রচারযন্ত্রের নিয়ন্ত্রনের দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করে। যখনকার কথা বলবো এখন সেটা তিরিশের দশকের ইউরোপে, ততদিনে অ্যাডলফ হিটলারের উত্থান হয়ে গেছে, তার নেতৃত্বে নাৎসী পার্টি বসেছে ক্ষমতায়। ধীরে ধীরে বহির্বিশ্বে প্রভাব খাটাতে শুরু করেছে জার্মানী।

ঠিক এমন একটা সময়ে, ১৯৩৩ সালে প্রপাগান্ডা মন্ত্রী হিসেবে হিটলারের মন্ত্রীসভায় যোগ দেন জোসেফ গোয়েবলস



এই প্রপাগান্ডা মন্ত্রীর দায়িত্ব ছিলো দুইটা,

দেশের ভেতরে হিটলারের কট্টর নাৎসীবাদের প্রতিষ্ঠা করা।

আর দেশের বাইরে এই নাৎসীবাদকে খুব মহান আদর্শের মোড়কে মুডিয়ে তা প্রচার করা।


ইতিহাস বলছে এই দুইটা দায়িত্বই তিনি খুবই নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করেছিলেন। তবে প্রথম দায়িত্বটা, অর্থাৎ দেশের ভেতরে নাৎসীবাদের প্রসার করতে গিয়ে তিনি যে কৌশল অনুসরণ করেছিলেন, সেটা তাকে এতোটাই খ্যাতি এনে দিয়েছে যে, হিটলার কে জার্মানী কোথায় এসব না জানলেও, প্রপাগান্ডা চালানোর সময় এখনো সবাই গুরু মানে এই ‘গোয়েবলস’ কে।



যা বলছিলাম, যদিও হিটলারের নাৎসী পার্টি জনসমর্থন নিয়েই বসেছিলো ক্ষমতায়, কিন্তু তা ক্ষমতায় বসে থাকার মতো স্থায়ী কোনো ম্যান্ডেট ছিলো না।

আর বিরোধী পক্ষের অবস্থানও ছিলো বেশ পোক্ত, হিটলার বেশ ভালোই জানতেন এসব। আর পুরো ইউরোপ তার যে পরিকল্পনা সেটা বাস্তবায়ন করতে হলেও দেশের ভেতরের খুঁটি গুলোকে শক্ত করা চাই। মন্ত্রী হিসেবে সেই কাজটাই সুসম্পন্ন করেছিলেন গোয়েবলস।

প্রথমেই যেটা করা হলো, বন্ধ করে দেয়া হলো বিরোধী দলের সকল প্রচার-প্রকাশনা।

এরপর নাজিবাদী পত্রিকাগুলো রেখে একে একে বন্ধ করে দেয়া হয় বাদবাকী সমস্ত পত্রিকাও। পুড়িয়ে দেয়া হয় ইহুদী কবি-সাহিত্যিক থেকে শুরু করে সমস্ত অ-নাৎসীবাদী বই আর শিল্পকর্ম। আর সেই খালি জায়গায় নাজিবাদে উদ্বুদ্ধ কবি সাহিত্যিকরা নতুন উদ্যমে লিখতে শুরু করে কবিতা গান, গল্প উপন্যাস। এমনকি বাচ্চাদের জন্যে মজার মজার কমিকও ছাপা হতে শুরু করে সেই প্রেস থেকে। (আরবি হরফে বাংলা লেখা আর তাবেদার সাহিত্যিকদের দিয়ে হিন্দুয়ানী প্রভাব থেকে বাংলা সাহিত্যকে মুক্ত করার এই চেষ্টা আমাদের দেশেও হয়েছিলো পাকিস্তানী আমলে)

সাহিত্যের জগত তো উদ্ধার হয়ে গেলো, এবার শুরু হলো রাজনীতি।

নীতিটা খুবই সিম্পল — দেশের জনগণের খুব বড় যে অংশটা, তারা কিন্তু রাজনীতি নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায় না, তারা পত্রপত্রিকা পড়ে, রাজনীতি নিয়ে হালকা আলাপ আলোচনা করে, আর ভোটের সময় আসলে ভোট দিয়ে যায়। সেই বড় অংশটাকে যদি বিপক্ষে রাজনীতি করা সচেতন ক্ষুদ্র অংশ থেকে আলাদা করা যায়, তাহলে তাদেরকে ধরতে খুব একটা বেগ পাওয়ার কথা না।

ঠিক সেই কাজটাই করা হলো। গোস্টেপো নামের এক পুলিশ বাহিনী গঠন করা হলো যাদের কাজ ছিলো এইসব সক্রিয় নাৎসীবিরোধী অংশকে খুজে বের করা।

কিন্তু যে বড় অংশের কথা বললাম, আমজনতা, তাদেরকে কি দিয়ে ঠান্ডা করা হলো?

এটা দিয়ে,



না, কোনো বোমাটোমা গোছের কিছু না এটা, সাধারন একটা রেডিও।



তখনকার সময়ে তো আর ফেসবুক-ব্লগ ছিলো না, যে একটা পেইজে হাবিজাবি লিখে জুকারবার্গের হাতে দশ ডলার ধরিয়ে দিলেই দেশজুড়ে বড়সড় দাঙ্গা বাধিয়ে দেয়া যাবে। আবার টেলিভিশন ছিলো না, তাই ছিলো না মাঝ রাতের টকশো, ব্রেকিং নিউজ। (আহ! কি শান্তির জীবন ছিলো সে যুগের মানুষের!) যোগাযোগের বেশ বড়সড় মাধ্যম বলতে ছিলো শুধু রেডিও। একই সাথে দূরে বসে অন্য দেশের বাতাসে খবর পৌছে দেয়ার জন্যে ওই রেড়িওই ছিলো একমাত্র ভরসা।

যে কথা সেই কাজ, শুরু হয়ে গেলো রেডিও নিয়ে গবেষনা।

জার্মানীর নয়নের মণি ‘ফুয়েরার’ নিয়মিত হাজির হতে শুরু করলেন (এখন জিজ্ঞেস কইরেন না যে এই ফুয়েরার টা আবার কে। জার্মানীর লোকজন হিটলারকে আদর করে ফুয়েরার বলে ডাকতো) পার্টির সবাই তো খুব খুশি, কিন্তু খালি গোয়েবলস এর মুখে হাসি নাই। তার মনের মধ্যে খচখচ, প্রচার হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সবার কাছে তো পৌছানো যাচ্ছে না! গোটা দেশে রেডিওর সংখ্যা তো হাতেগোণা, তখনো রেডিওর দাম সাধারণ মানুষের নাগালে আসেনি।

জোড়াতালি মার্কা একটা সমাধান দেয়া হলো, রাস্তার মোড়ে মোড়ে রেডিও ফিট করা হবে, আর থাকবে সব রেস্টুরেন্ট,বার আর পাবলিক প্লেসে। ফুয়েরারের ভাষণের সময় সেগুলো চালিয়ে দেয়া হবে।

তাহলে তো সবাই শুনতে পারবে। প্রস্তাব মন্দ না, গোয়েবলস মাথা নাড়লেন। আর গোয়েবলস মাথা নাড়ার মানেই হলো কাজটা ততক্ষণে হয়ে গেছে।



কিন্তু ওই যে বললাম, গোয়েবলস এর চিন্তা ভাবনাই সম্পুর্ণ আলাদা। জার্মানির বড় রেডিও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আর বিজ্ঞানীদের সাথে ঘন্টাখানেক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তিনি ঘোষনা দিলেন সম্পূর্ণ নতুন এক রেডিও নির্মান করতে যাচ্ছে জার্মানি।

সেটা হবে এমন দামের যেন সবাই কিনতে পারে, আর তার নাম হলো, “Peoples Receiver”। (খটমটে জার্মান ভাষাতে এই রেডিওর কি জানি একটা নাম দিয়েছিলো তারা, সেটা আর বললাম না। )

তো..যেই বলা সেই কাজ, ১৯৩৩ সালের শেষদিকেই বাজারে চলে আসলো সেই অবাক বস্তু। দাম ছিলো ৪০ মার্কের মতো। (আরও ৪০ মার্ক গুনলে ঝকঝকে তকতকে একটা মডেল পাওয়া যেতো, তবে জিনিষ তো একই) এই রেডিওর মডেল নাম্বার দেয়া ছিলো ৩০১, অর্থাৎ ৩০শে জানুয়ারি নাৎসী পার্টির ক্ষমতায় আসীন হওয়ার দিন।





এটা সেই রেডিওর একটা পোস্টার। (লেখা আছে, পিপলস রিসিভার দিয়ে জার্মানীর মানুষ ফুয়েরারকে শুনছে। )

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ ছবিটার কথা মনে আছে? ওই যে, টিভি দেখলে গুনাহ হয় বলে চেয়ারম্যান তার গ্রামে টিভি আমদানী নিষিদ্ধ করলো, এরপর চেয়ারম্যানের এক সহচর ‘হালাল টেলিভিশন’ নামক এক আজব বস্তু উদ্ভাবন করে??

এবার আসি সবচেয়ে মজার বিষয়ে, সেটা হলো, এই রেডিও দিয়ে শুধু নাজি চ্যানেলই ধরা যেতো। আর কিছু না। অবশ্য সেটা মানুষের জন্যে খুব বড়সড় একটা সমস্যা ছিলো না।

কারণ একই সাথে আইন করে বিদেশি চ্যানেল শোনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঘোষনা করে দেয়া হয়েছিলো। কে দুই মিনিট বিদেশি রেডিও শুনতে গিয়ে নিজের মুন্ডুখানা হারাবে! (সশ্রম কারাদন্ড থেকে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত শাস্তি দেয়া হতো, আর সেটা বেশ দ্রুতই হতো। নাজিদের কাছে আপনি নিশ্চই দয়া মায়া বা আপিল-রিভিশনের সুযোগ আশা করবেন না। )

অন্য সাধারণ রেডিওগুলোতে যেমন লংওয়েভ/শর্টওয়েভ ধরার ব্যাবস্থা থাকে, এই পিপলস রিসিভারে তা ছিলো না। শুধু লংওয়েভ ধরার নব ছিলো।

আর ডায়ালে জার্মানির স্টেশনগুলো মার্ক করা ছিলো। (পাশের ছবিতে সেসময়ের দুই নব-ওয়ালা একটি সাধারন রেডিও দেখা যাচ্ছে। )

তারপরও অতি উৎসাহী কোনো জার্মান যদি কেরামতি দেখিয়ে এই সস্তা পিপলস রিসিভার দিয়ে বিদেশি স্টেশন ধরার চেষ্টা করে??



রেডিও কেনার সময় ডায়ালে এই ট্যাগ লাগানো থাকতো। খুবই ঠান্ডা ভাষার সতর্কবাণী। ইংরেজিতে অনুবাদ করলে কথাটা দাঁড়ায়,

“Think about this: Listening to foreign broadcasts is a crime against the national security of our people. It is a Fuehrer Order punishable by prison at hard labor.”

অল্প সময়ের মধ্যেই এই রেডিও জার্মানীকে গ্রাস করে ফেললো।

বাইরের জগত সুস্থ স্বাভাবিক চিন্তাধারা, মুক্তচিন্তা, সঙ্গীত এসবকিছু বাদ দিয়ে মানুষ বাধ্য হলো শুধু ফুয়েরারের ভাষণ শুনতে। চোখ-কান নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক দেহে জন্ম নেয়া জার্মানীর নাগরিকরা পরিনত হতে থাকলো অন্ধ-বোবা-কালা জাতিতে। আর তার পেছনে মূল ভূমিকা যতটা না হিটলারের নাৎসীবাদ, তার চেয়ে বেশী গোয়েবলসের প্রচার কৌশল, Peoples Reciever নামের এই মিথ্যাযন্ত্র।

জার্মানীর ব্যাপারে সেসময় একটি কবিতা খুব জনপ্রিয় হয়েছিলো। তার অনুবাদ অনেকটা এরকম,

“Dear God Make me mute and dumb,
that to Dachau, I don’t come.
Dear God stuff up both my ears,
So neither one a clear word hears.
Dear God Make me deaf and blind
stop up my nose, befog my mind
In every way just let me show
Our world is wonderful, I know
Unseeing, deaf and mute and mild,
I am my Adolf’s dearest child.”


অল্পকথায় এই ছিলো মহান ‘ফুয়েরার’ অ্যাডলফ হিটলার আর তার তুখোড় মন্ত্রী জোসেফ গোয়েবলস এর নাৎসী বিপ্লবের বাতাস ধরে রাখার থিওরি।

একটা মিথ্যাকে দশবার বলা হলে সেটা সত্যের মতো শোনায়। আর জার্মানীর মানুষ সেই মিথ্যাই দিনে সহস্রবার করে শুনতো এই আজব বাক্স দিয়ে। এই বিষয়ে এক বক্তৃতায় গোয়েবলস বলেছিলেন, “It is no exaggeration to say that the German revolution in the form it took, would have been impossible without the airplane and the radio..”

বেশ অনেক বছর পরে, ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে যখন এই সবের বিচার হচ্ছে, তখন হিটলারের মন্ত্রীসভার আর একজন মন্ত্রী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে হেন কোনো পদ্ধতি নাই, হেন কোনো প্রযুক্তি নাই – যেটা হিটলার তার জনগনের উপর প্রয়োগ করেননি।

তবুও তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। কিভাবে হবে? তথ্যের মুক্ত প্রবাহ বন্ধ করে মানুষকে শোষন করে কেউই রক্ষা পায়নি কখনো।

আজ পৃথিবীতে নাৎসীবাদ বিলুপ্ত হয়েছে, কিন্তু অবশেষ হিসেবে রয়ে গেছে গোয়েবলসের অনুসারিত প্রপাগান্ডা নীতি আর সেসময়ের কিছু বিকল ‘মিথ্যাযন্ত্র’

(গোয়েবলসের পরিনতি না বলে শেষ করলে মনে হয় পোস্টটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, মিত্রবাহিনীর হাতে জার্মানীর পতন যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, হিটলার অবরুদ্ধ অবস্থায় আত্বহত্যা করার আগে গোয়েবলসের হাতে ক্ষমতা অর্পন করে ছিলেন। নির্দেশ দিয়েছিলেন পিছু হটে আবার আক্রমন করার। গোয়েবলস দায়িত্ব পেয়ে বলেছিলেন, ফুয়েরারের নির্দেশ তার জীবদ্দশায় আমি কখনো অমান্য করিনি, কিন্তু আজ করছি, যা হবার হবে,আমরা পিছু হটবো না। একটা সময় তিনিও সপরিবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

অবশেষে, আত্বসমর্পনের আহবান ফিরিয়ে দিয়ে ছয় সন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষপ্রয়োগ করে নেতার মতোই আত্বহননের পথ বেছে নেন নাৎসী সরকারের এই কুখ্যাত মন্ত্রী। )



--
আগের পোস্ট:
১-২-৩! ইনস্ট্যান্ট কফির মতো বাসার ছাদে হয়ে যাক ইনস্ট্যান্ট বারবিকিউ পার্টি!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।