মেয়েঃ একটা গল্প শুনাবে?
ছেলেঃ শুনবে?
মেয়েঃ অবশ্যই।
ছেলেঃ পছন্দ হবে?
মেয়েঃ আগে শুনিই না।
ছেলেঃ এক দেশে ছিলো এক রাজা। তার ছিলো এক রানী। রাজা রানীকে অনেক ভালোবাসতো ।
তারপর হলো কী একদিন….
মেয়েঃ এই থামো। এতো পুরনো গল্প শুনবো না।
ছেলেঃ আচ্ছা তাহলে অতি আধুনিক এক গল্প শুনো। সৌরজগতের বাহিরে একটি গ্রহ আছে। তার নাম “কেপলার”।
সেই গ্রহটি পৃথিবীর মতই। সেই গ্রহের উন্নত প্রানীরাও মানুষদের মতই। কিন্তু এক উল্কাঝরে সেই গ্রহের সকল প্রানী মারা যায় । কেবলমাত্র দুটো “এনার” ছাড়া।
মেয়েঃ এনার কী?
ছেলেঃ কেপলার গ্রহের উন্নত প্রানীদের বলা হত এনার।
যাই হোক পৃথিবীর মানুষেরা যেমন অক্সিজেন ছাড়া বাচতে পারে না তেমনি এনাররাও “সোরার” ছাড়া বাচে না।
মেয়েঃ সোরার আবার কী?
ছেলেঃ ওফস এতো প্রশ্ন করো।
মেয়েঃ আর করবো না।
ছেলেঃ সোরার হচ্ছে অক্সিজেনের মত এক উপাদান। তো সেই দুই এনার ছিলো দম্পতি।
একে অপরকে অনেক ভালোবাসতো। উল্কাপাতের ফলে কেপলার গ্রহে সোরারের সংকট হলো। তারা সিলিন্ডার সোরার ব্যাবহার করছিলো। কিন্তু দ্রুতই সিলিন্ডার শেষ হয়ে আসছিলো। আর মাত্র পাচটি সোরার সিলিন্ডার বাকি।
তারপরেই তারা মারা যাবে। তারা একে অপরকে এতোটাই ভালোবাসতো যে একে অন্যের মৃত্যু দেখতে চাচ্ছিলো না। তাই পুরুষ এনার এবং মেয়ে এনার মনে মনে চিন্তা করলো আত্বহত্যা করার। কিন্তু তারা তাদের চিন্তা একে অপরকে বলল না। অবশেষে মেয়ে এনারটি নিজের হাতের শিরা কেটে আত্বহত্যা করলো।
মেয়েঃ মেয়েটিই কেনো মারা গেলো? ছেলেটি কেনো নয়?
ছেলেঃ পৃথিবীর সকল প্রেমকাহিনীতেই ছেলেরা মারা যায়। আর কেপলার গ্রহের প্রেমকাহিনীতে মারা যেতো মেয়ে এনাররা।
মেয়েঃ গল্প কি শেষ?
ছেলেঃ হ্যা।
মেয়েঃ খুব সুন্দর হয়েছে গল্পটি। গল্পটি শুনে তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি।
ভালোবাসবে আমায়?
ছেলেঃ না।
মেয়েঃ কেনো?
ছেলেঃ সকল প্রেমই যে সফল হবে এমন নয়। আর পৃথিবীর প্রেমকাহিনীতে প্রেমিকেরা প্রেমে বিফল হয়ে মারা যায়। আমি মরতে চাই না। আমি ভালবাসতে চাই।
মেয়েঃ তো আমাকে ভালোবাসো।
ছেলেঃ আমি ভালোবাসবো বৃষ্টিকে,পাখির কিচিরমিচিরকে,শীতের কুয়াশাকে, নদীর স্রোতকে ।
মেয়েঃ আমি বৃষ্টি হবো,করবো পাখির মত কিচিরমিচির করে গান,হবো শীতের কুয়াশা,ঢেউ খেলাবো তোমার বুকে নদীর স্রোতের মত।
ছেলেঃ চলো ফুচকা খাই।
মেয়েঃ চলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।