রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স এলাকায় ট্রাফিক ব্যারাকের পাঁচ তলা ভবনের ছাদ থেকে উদ্ধার হওয়া কবিরাজ নান্নু মুন্সির মস্তক আজ বুধবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজারবাগ জামে মসজিদের সামনের পুকুর থেকে মস্তকটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সদস্য শওকতের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের একটি পুকুর থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পূর্ব) সহাকারী কমিশনার জুয়েল রানার নেতৃত্বে একটি টিম মস্তকটি উদ্ধার করে। পরবর্তী সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে সুরতহাল করার পর তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় পুলিশ কনস্টেবল শওকতকে।
এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন কনস্টেবল শওকত। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরো দু'জনের কথা পুলিশকে জানান তিনি।
জানা গেছে, নান্নু বিএনপি কর্মী ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দা সদস্যরা ধারণা করছেন, কনস্টেবল শওকত হোসেনের স্ত্রী সঙ্গে কবিরাজ নান্নু মুন্সির গড়ে ওঠা অবৈধ সম্পর্কের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আনুমানিক ৩৫ বছর নান্নু মুন্সির মস্তকবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহতের শরীরের একাধিক স্থান, হাত ও বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বাসরোধে অচেতন করার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে জবাই করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডিবি, র্যাব, সিআইডিসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।