আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'দুই দিনের মাহি ভাতকে বলে অন্ন'

চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে দেখা করতে হলে সাংবাদিকদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া বাধ্যতা মূলক। না হলে সে যত বড় মাপের সাংবাদিকই হউক না কেনো তার সঙ্গে কথা বলা  বা ছবি তুলতে দেওয়ার প্রশ্নই উঠেনা তার। সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রতি এমনই অহমিকাপূর্ণ আচরণ করেছেন এই উঠতি নায়িকা। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে মিডিয়া জগত।

অভিনয়ে মাহি এখনও শিশুকাল পেরোয়নি।

২০১১ সালের ৫ অক্টোবর মুক্তি পায় তার প্রথম ছবি ‘ভালোবাসার রঙ’। এটি প্রযোজনা করে জাজ মাল্টিমিডিয়া। এরপর তার অভিনীত একই প্রযোজনা সংস্থার আরো কয়েকটি ছবি মুক্তি পায়। তার অভিনীত ছবি গুলো দর্শক মোটামুটি গ্রহন করে। এতেই নিজেকে সুপার স্টার ভাবতে শুরু করে ‘সি’ গ্রেডের এই নায়িকা।

 

গত রবিবার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এফডিসি গিয়েছিলেন চলচ্চিত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে। বিভিন্ন ফ্লোর ও এফডিসির আঙিনায় চলছিলো একাধিক ছবির শুটিং। তিন নম্বর ফ্লোরে অনন্তর ‘মোষ্ট ওয়েলকাম টু’, ৮ নম্বর ফ্লোরে ইফতেখার চৌধুরীরর ‘ওয়ান ওয়ে’, ২ নম্বরে সৈকত নাসিরের ‘দেশ দ্য লিডার’ এবং কড়ই তলায় নজরুল ্ইসলাম খানের ‘রানা প্লাজা’।   এসব ছবির শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন, অনন্ত, বর্ষা, বাপ্পী, মাহি, ববি , সাইমন, পরী সহ অনেকে। সবাই সাংবাদিকদের সঙ্গে  আন্তরিকভাবে কুশল বিণিময় ও আলাপচারিতা করছিলেন এবং ছবি তুলতে দিচ্ছিলেন।

কিন্তু  ঊঠতি নায়িকা মাহি করে বসলেন অসৌজন্যমূলক আচরণ। তার সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে জানতে চান পূর্বে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছে কিনা। ছবি তুলতে গেলে তাতেও বাধা দেন এবং তাচ্ছিল্যের সঙ্গে জানিয়ে দেন যত বড় মাপের সাংবাদিক হউক না কেনো তার সঙ্গে দেখা বা ফোনে কথা বলা কিংবা ছবি তুলতে হলে আগে অ্যপয়েন্টমেন্ট না নিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন তার ধারে কাছে না ঘেঁষে।  

এমন আচরনে হতবাক হন সংবাদকর্মীরা। তাদের কথায় সাংবাদিকদের প্রচার প্রচারনার কারনেই মাহি আজ নায়িকার তক্তে বসেছেন।

অথচ সাংবাদিকের সঙ্গেই আজ অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। চলচ্চিত্রকাররাও তার আচরণে চরম অসন্তুষ্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নির্মাতা আক্ষেপ করে বলেন, আসলে চলচ্চিত্রে আসতে হলে এখন বংশ মর্যাদা,নাম, পরিচয়, শিক্ষা বা যোগ্যতা লাগেনা। গড ফাদার পেলেই হলো, সহজে খ্যাতি আর অর্থ বিত্তের মালিক হওয়া যায়। এদের মান সম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই।

ফলে অন্যের মান সম্মান এরা বুঝবে কি করে।  

নির্মাতাদের কথায় মাহি হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট প্রযোজনা সংস্থার নায়িকা। ওই সংস্থার ছায়ায় থেকে সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে র্দুব্যবহার করার দুঃসাহস দেখিয়ে যাচ্ছে সে। কিছুদিন আগে তার বিরূপ আচরণে নায়ক সায়মন একটি চলচ্চিত্রে তার সঙ্গে কাজ করা থেকে সরে দাড়াঁতে বাধ্য হন। মাহির এমন স্বেচ্ছাচারিতার ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান চলচ্চিত্রকাররা।

তারা বলেন, দুই দিনের মাহি ভাতকে বলে অন্ন। এভাবে অতীতে কেউ এগুতে পারেনি, মাহিও পারবেনা। তার ভবিষ্যত অন্ধকার। সবচেয়ে বড় কথা হলো সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার হচ্ছে এক অন্যের পরিপূরক।   এই চির সত্যিটি  স্বল্প শিক্ষিত নায়িকা মাহি বুঝবে কি করে।

 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।