“In a gentle way, you can shake the world.”
ইসলামি শরীয়া ইংরেজী নববর্ষ, বা ইসলামী নয়, এমন কোন ধরনের উৎসবে শুভেচ্ছা জানানোর অনুমতি দেয় না। এমনকি কোন অমুসলিম বা কাফের একজন মুসলিমকে শুভেচ্ছা না জানানো পর্যন্ত কোন মুসলিমের তাকে শুভেচ্ছা জানান অনুচিত।
কিন্তু কেন?
এখানে আরবদের ইতিহাসটা জানা ও তাদের মানসিকতা বোঝাটা খুব জরুরী।
আরবীয় পেনিনসুলায় পৌত্তলিক বেদুইনদের পাশাপাশি ইহুদি ও খ্রিস্টানরা বসবাস করে আসলেও, কেবল মাত্র ব্যবসায়ী ইহুদিরাই ছিল বনেদী ধনী। সুদের ব্যবসায়ী ইহুদিদের কৃপণতা ও নির্মমতার জন্য আড়ালে ঘৃণা করলেও, বিপদে তারাই ছিল এক মাত্র অবলম্বন।
তার উপরে, close knit group ইহুদিদের ধর্মে বলা হয়েছে ইজরাইল হল আল্লাহ্র promised land; ইহুদিরা হল আল্লাহ্র selected ও chosen people.
খ্রিস্টান ও মুসলিমরা সবসময় এই কারনে হীনমন্যতায় ভুগেছে। কিন্তু সার্বজনীন ধর্ম হওয়ায় খ্রিস্টান ও মুসলিমরা নিজেদের selected ও chosen people হিসেবে দাবী করতে পারেনি।
আর এই কারনেই ইসলাম সবসময় চেষ্টা করেছে ইহুদিদের থেকে আলাদা হতে। বিশেষ করে মক্কার অধিকার পাওয়ার পর থেকে, যখন মুসলিমদের প্রথম একটা বিশেষ পরিচয় তৈরি হয়।
ইহুদিরা ধনী, আরবরা গরীব; একটা সুক্ষ্ম ঈর্ষা সবসময় ছিল।
সেজন্যই প্রয়োজন হয় false pride তৈরির। আত্মাভিমান তৈরির জন্য; নিজেদের বিশেষ করে তোলার জন্য। false pride তৈরির মানসিকতা থেকে বিভিন্ন হাদিসও এসেছে।
আজ ১৪০০ বছর পরে এটা মেনে চলা যদিও বেশ হাস্যকর। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।