শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “আজ আমাদের শপথ নিতে হবে- এই নব্য বাকশালী চেতনার জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করতে আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ভোটবিহীন নির্বাচনে জবর দখলকারী গণতন্ত্র-বিরোধী-শক্তিকে পরাভূত করতে হবে। ”
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ‘জাতীয় ঐক্যের’ সরকার ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ ব্যবস্থাকে ‘একদলীয় শাসন’ আখ্যায়িত করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এ দিনটিকে পালন করে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে ।
দিনটি উপলক্ষে দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিরাপদ নয়।
“তৎকালীন সময়ে তারা সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করে এক প্রকার গায়ের জোরেই এক অগণতান্ত্রিক মধ্যযুগীয় আইন পাস করেছিল।
এর মাধ্যমে মানুষের বাক, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়। চারটি প্রকাশনা ছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয় সব সংবাদপত্র। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণ শক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দিয়েছিল। ”
এরপর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহী-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়’ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রর অগ্রযাত্রা’ শুরু করেন বলেও বিবৃতিতে দাবি করেন খালেদা।
তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের বিপদ টের পেয়ে এবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে।
”
৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘তামাশার নির্বাচন’ আখ্যায়িত করে খালেদা বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে এখন একক কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে বিভোর হয়ে সরকার দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করছে না। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।