বীরভূমের লাভপুরে গ্রামের সালিশি সভার রায়ে এক আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুরু করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবম-সহ তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে বীরভূমের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিজেএম) গ্রামে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতেও বলেছে এই বেঞ্চ। রাজ্য সরকারের কাছেও একটি পৃথক রিপোর্ট তলব করেছে শীর্ষ আদালত৷
আজ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় পদস্থ অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন। সেখানে লাভপুরের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের উপায় খোঁজার চেষ্টা হবে। সালিশি সভাকে নিষিদ্ধ করার পথেই সরকার এগোচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
এদিকে, প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশে খাপ পঞ্চায়েতের কারণে লাভপুরের মতো অসংখ্য ঘটনাতেও সর্বোচ্চ আদালত এমন পদক্ষেপ নেননি। প্রায় তিন দশক আগে ভাগলপুর জেলে বন্দিদের অন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে মামলা দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দেয়। বিশিষ্টজনদের মতে, পঞ্চায়েতের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে একাধিক জনস্বার্থের মামলায় শীর্ষ আদালত বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছে। খাপ পঞ্চায়েতের ছাঁচ দেশের অন্যত্রও ছড়াচ্ছে দেখেই সুপ্রিম কোর্ট উদ্বিগ্ন। সেই কারণেই জেলা বিচারককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত।
তবে বোলপুর আদালতে মামলা চলা সত্ত্বেও শীর্ষ আদালত জেলা জজকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলায় আইনজীবীদের অনেকেই বিস্মিত। কেননা, বিচারাধীন মামলা দ্রুত শেষ করতে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্ত্ত আদালতের মামলা রুজু করার নজির নেই। তবে ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে জাতীয় কর্তব্য হিসাবে সম্ভবত সুপ্রিম কোর্ট এমন পদক্ষেপ করেছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।