আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা... চির উন্নত মম শীর
যে দেশটার মূলই ভাষা সে দেশের বিরোধিতা যারা করেছিল আমরা ধরেই নেই তারা ভাষাটার ও বিরোধিতা করবে সেটাই তো স্বাভাবিক তাইনা ?
জী ভাই, আমি রাজাকার গোলাম আজমের কথাই বলছি।
কয়েক বছর ধরে রোল উঠেছে গোলাম আজম নাকি ভাষা সৈনিক, যে লোকটা মুক্তিবাহিনীকে শত্রুবাহিনী আখ্যায়িত করে বলেছিল সেই লোকটাই নিজেকে ভাষা সৈনিক দাবী করে বসল!!!
“জামায়াত কর্মীরা রাজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলা দেশে' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না। জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না। "
(দৈনিক সংগ্রাম, ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)
ঘেঁটে দেখা দরকার দাবী গুলো কি কি; খোঁজ পাওয়া গেল একটা সূত্রঃ
১৯৪৮ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে গোলাম আযম রাষ্ট্রভাষা ও পূর্ব পাকিস্তানের সামগ্রিক দাবী সম্বলিত ঐতিহাসিক ‘অভ্যর্থনা স্মারকলিপি’ প্রদান করেন।
১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) জি.এস. ছিলেন গোলাম। ৫২ সালের তমুদ্দুন মজলিসের ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকে তিনি না কি এই কাজ সম্পাদন করেছেন। এমন কি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তিনিই প্রথম স্মারক লিপি দিয়েছেন বলে তার দাবি। একই সাথে সেই সময়কার ডাকসু নেতা হিসেবেও নিজেকে পরিচয় দিতে পিছপা হন না তিনি।
এই বিষয়ে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন বলেছেন, জামাতের সাবেক আমীর গোলাম আযম ভাষা সৈনিক ছিলেন না।
বরং তিনি ছিলেন উর্দুর পক্ষে। আবদুল মতিন বলেন, পাকিস্তানের একজন রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছেন, ভাষার দাবি সম্বলিত মানপত্র পাঠ করেছেন বলে অনেকে মনে করেন গোলাম আযম ভাষা সৈনিক। আবদুল মতিনের মতে, সে বক্তৃতা গোলাম আযম নিজের ইচ্ছায় বাংলাতে দেননি, ডাকসু নেতা হিসেবে কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের যে সিদ্ধান্ত ছিল তা বাস্তবায়ন করেছেন মাত্র। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আরে ভাই যিনি পাকিস্তানের পক্ষে থাকেন, তিনি কিভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে থাকেন? তিনি কিভাবে উর্দুর বিরোধিতা করেন? তাকে যারা ভাষা সৈনিক বলেন, তারা এটা ভাবলেই পারেন।
শেষ মেষ গোলাম নিজেই বোমাটা ফাটান পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুরে ১৮ই জুন ১৯৭০ এক সংবর্ধনা সভায়
"উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা।
৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় আমি তাতে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু তা ভুল হয়েছিল। "
(দৈনিক পাকিস্থানের ১৯শে জুন ১৯৭০)
তখনকার পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) বাংলা ভাষাকে সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি আদায়ের পরও যে লোক উর্দুকে তার ভাষা মনে করে - তাকে ভাষা সৈনিক হিসাবে প্রচার সত্যই কৌতুকের জন্ম দেয়।
আশা করি এই লেখা সব বিভ্রান্তি দূর করবে।
যে লোক সরাসরি বলে
“উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা”
যে লোক সরাসরি বলে
“"কেবলমাত্র দেশপ্রেমিক জনগনের সাহায্যে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করা যেতে পারে।
”
যে লোক সরাসরি শ্লোগান দেয়
"দুষ্কৃতিকারীরা দূর হও" "মুসলিম জাহান এক হও" "পাকিস্তানকে রক্ষা কর"। "পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আযম জিন্দাবাদ। " "পাকিস্তানের উৎস কি- লাইলাহা ইল্লাল্লাহ। " "মিথ্যা প্রচার বন্ধ কর। " "ব্রাক্ষ্মবাদ নিন্দাবাদ, সাম্রায্যবাদ মূর্দাবা”।
সে আর যাই হোক ভাষা সৈনিক হতে পারে না...
দেশে আজ এক গণআন্দোলন চলছে। রাজাকার জামাত শিবিরের বিচারের দাবীতে গণ আন্দোলন,
চলছে আন্দোলন বিরোধী অপপ্রচার
জানুন দেশের ইতিহাস
ভেঙে দিন ভুল গুলো
তথ্যই হোক মুক্তির পথ
আসুন একবার সমস্বরে বলি
গ – তে গোলাম আজম
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।