আগ্রহ মোর অধীর অতি— কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা।
আমি কাঁদি তোমার বিরহে। । তুমি আমার বৃহস্পতি, আমার ধ্যান- আমার সাধনা তুমি।
। আমার সৃষ্টি তুমি। ।
যখন একটা গল্প লিখি, গল্পের কাহিনী এগিয়ে চলে আমি উত্তেজনা অনুভব করি। অনেক সময় উত্তেজনায় ঘেমে যাই।
চরিত্র গুলো আমাকে তাড়া দেয়, তারা তাদের পরিণতি দেখতে চায় আমার কাছে। আর তাড়াতাড়ি করে লিখতে যেয়ে আমার হাত কাঁপতে থাকে। তখন হাত পা গুটিয়ে বসে থাকি। নিজের মনকে নিজেই সান্তনা দেই, বলি আমি কেন মন খারাপ করছি। এই চরিত্র গুলোকে তো আমি চিনিনা।
এরা আমার আপন কেউ না। তাহলে কেন আমি মন খারাপ করছি?
কিন্তু কোন কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারিনা। চশমার কাঁচ ঘোলা হয়ে ওঠে আমার। আমি উঠে বারান্দায় চলে যাই। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি।
গায়ের শার্ট খুলে ঘাড়ে ফেলে নেই। তারপরও গায়ের ঘাম শুকাতে পারিনা। আমার চোখের সামনে আমার গল্পের চরিত্র গুলো খেলা করতে থাকে। তারা আমার কাছে কইফয়েত চায়। আমি হতবাক হয়ে চেয়ে থাকি।
কোন সমাধান দিতে পারিনা আমি।
আমার চরিত্র গুলো আমার কাছে আমার ছোট বোনটার মত প্রিয়। ওদেরকে প্রুতি নিয়ত প্রাণ দিতে যেয়ে আমি যে কি পরিমাণে আনন্দ পাই, তা নব্য জাতক সন্তানের পিতার চাইতে কোন অংশে কম নয়।
সৃষ্টির আনন্দ যে কি জিনিস, তা যে করে, সেই জানে। হোকনা আমার সন্তানটা একটু অসুন্দর।
তাতে কি? তারপরও ওরাই তো আমার অহংকার। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।