আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পটিয়ায় বালুর স্তুপের নিচে তরুণের গলিত লাশ

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার এয়াকুবদণ্ডী এলাকায় বালুর স্তুপের নিচ থেকে আশরাফুল আলম অপু (১৬) নামে এক তরুণের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে সাতদিন আগে নিখোঁজ হয়েছিল।   রবিবার গভীর রাতে পুলিশ ‍লাশটি উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন, সন্ত্রাসীরা এক কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে তাকে অপহরণ করেছিল। মুক্তিপণ না দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়।

তবে পটিয়া থানার ওসি মফিজ উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য অপেক্ষা না করেই মেরে ফেলেছে। এতে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পড়ালেখা ছেড়ে আশরাফুল আলম অপু সম্প্রতি বখাটে, মাদকসেবীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন।

এ ঘটনায় তার দু’বন্ধুকে গ্রেপ্তার কর‍া হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও এক মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

জানা গেছে, আশরাফুল আলম অপু পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের নয়ারহাট এলাকার মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে।

অপু’র মামা নূরুল আবছার জানান, অপু পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ালেখা করত।

তবে পটিয়া থানার ওসি জানান, লাশ উদ্ধারের পর তারা পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, অষ্টম শ্রেণীতে পরপর দু’বছর ফেল করায় অপু নবম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেনি। এরপর এক বছর ধরে সে স্কুলেও যায়নি। বর্তমানে সে স্কুলের অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে আছে।

অপু’র মামা নূরুল আবছার জানান, গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে অপু একটি মেহেদি অনুষ্ঠানে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তার আর খোঁজ মিলছিল না। এর মধ্যে তার মা পারভিন আক্তারের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করে অপুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায় অজ্ঞাত লোকজন। মুক্তির জন্য এক কোটি টাকা দাবি করে তারা। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি পটিয়া থানায় একটি জিডি করেন অপু’র বাবা।

রবিবার দুপুরে টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে যায় অপুর পরিবারের লোকজন। কিন্তু টাকা নিতে সেখানে কেউ আসেনি। এরপর রাতে অপু’র মায়ের মোবাইলে এবং পটিয়া থানার ওসিকে টেলিফোনে অপু’র লাশ এয়াকুবদণ্ডী এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মের পেছনে বালির স্তূপের নিচে রাখা আছে বলে জানানো হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে লাশটি পাওয়া যায়।

ওসি মফিজ উদ্দিন বলেন, লাশটি গলিত অবস্থায় পোকায় খাওয়া।

মনে হচ্ছে, চার-পাঁচদিন আগেই তাকে খুন করেছে। কিভাবে খুন করেছে, লাশের শরীর দেখে সেটিও বোঝা যাচ্ছে না।

ওসি জানান, ২৫ জানুয়ারি জিডি দায়েরের পরই অপুর দু’বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা কিছু তথ্য দিয়েছে।

শীঘ্রই খুনের রহস্য উদঘাটনের আশা করছেন ওসি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।