বসুন্ধরা সিটিতে গিয়াছিলাম সস্ত্রীক আনন্দভ্রমনে। কেননা, ঢাকায় বিনা টিকিটে এসির বাতাস খাইবার আর ঘুরিবার সুযোগ আর কোথায় পাইবো বলেন?
সকল তলা ঘুরিয়া অবশেষে আট তলায় গিয়া ঠেকিলাম। বিবিধ খাবারের ভীড়ে হালকা কিছু খুঁজিতেই চোখ পড়িলো 'গোলা' নামক টাটকা প্রস্তুত বরফ কুচির প্রতি। ভাবিলাম ইহার কথা কতই না শুনিয়াছি...খাইলে নাকি ক্যান্সার হয়, কিডনি নষ্ট হয়! স্ত্রীকে সাক্ষী রাখিয়া দুর্জনের মুখে ছাই দিয়া একখানা 'গোলা'র অর্ডার দিলাম। 'গোলা' বিক্রেতা বেশ কায়দা করিয়া কি একখানা মেশিনে বরফ কুচি করিল, বোতল হইতে লাল, নীল রঙ মারিল...ব্যাস হইয়া গেল 'গোলা'।
আমি কামড়াইয়া খাইতে গেলে স্ত্রী বলিল, এইভাবে নয়...ইহা এইভাবে চুষিয়া চুষিয়া খাইতে হয়। আশেপাশে তাকাইয়া দেখিলাম আরও কিছু ললনাও উহা বেশ আয়েশ করিয়া চুষিতেছিল!
একখানা বেশ করিয়া চোষা দিতেই মুখ রঙের গন্ধে ভরিয়া গেল। ভাবিলাম, হইতেই পারে...আমার আইসক্রীম খাইয়া অভ্যাস। আমি ফ্লেবারের আশায় চুষিতেই থাকিলাম। রঙের দুর্গন্ধ ততই প্রকট হইতে লাগিল।
অবশেষ অর্ধেক চুষিয়াই ডাস্টবিনে ছুড়িয়া ফেলিলাম। পাবলিক পয়সা দিয়া কিনিয়া কিভাবে এইগুলা খায় বুঝিবার পারিলাম না। নিজে খাইলেও হইতো...সন্তানদের কি করিয়া খাওয়ায়? সকল অভিবাবকদের 'গোলা' খাওয়া বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। নতুবা ইহা কি চীজ তা তাহারা কখনোই বুঝিতে পারিবেন না।
আসুন জেনে নেই এই 'গোলা' আসলে কি?
এই গোলা আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হইতেছে মাছের বাজারের বরফ, চিনির তৈরি ঘন রস এবং ক্ষতিকারক রং।
যে রঙ ব্যবহার করা হয়, এর কোনটিই খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার উপযোগী ফুড কালার নহে। বরং বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে ব্যবহৃত কাপড়ের রঙ। বরফকুচির ওপর বিভিন্ন রঙের যেই চিনির রস ওেয়া হইয়া থাকে তাহা বিভিন্ন মিষ্টির দোকান থেকে সংগ্রহ করিয়া লওয়া। রসগোল্লা বিক্রি শেষ হলে যে অবশিষ্ট রস থাকে উহা তাহাই।
কাজেই, পয়সা দিয়া খাইবেন যখন ভালো কিছু খান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।