আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘর-জামাই কাহিনী

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি
একজন গরীব লোক যদি ধনীর মেয়ে বিয়ে করে এবং তারই বাসস্থান ও ভরণ-পোষনে স্বামী অনুগৃহীত হয়, তাহলে সে স্ত্রী পায় না বরং পায় একজন শাসক। আর তখন সেই জামাইয়ের অসম্মান, অনাদর ও অশান্তির কথা সীমা অতিক্রম করে যায়।

আমাদের সমাজে ঘর-জামাই প্রসঙ্গে যে সকল প্রবাদ প্রচলিত আছে তা এ কথারই বাস্তবতা প্রমাণ করে।

যেমন বলা হয়-------------------

"ঘর-জামাইয়ের মান নাই"
"ঘর-জামাইরাই বদ হয়"

"ঘর-জামাই উড়নচন্ডেই হয়।
কারন ধন-মাল তার নিজের কামাই তো নয়"।



"আহমক নম্বর ছয়
যে পরের বাড়ী ঘর-জামাই রয়"

"ঘর-জামাইয়ের পোড়ার মুখ
মরা-বাঁচা সমান সুখ"

"বাইরের জামাই নুরুল আলম, ঘরের জামাই নুরু
ভাত খেয়ে নাও নুরুল আলম, ভাত খেসেরে নুরু"

"রুয়ের মুড়ো কাষ্ট মুড়ো দাও আমার পাতে
আড়ের মুড়ো ঘৃত মুড়ো দাও জামাইয়ের পাতে"

সুতারাং এমন সংসারে যে সুখ নেই তা বলাই বাহুল্য।

۞۞ কারা ঘর-জামাই থাকে ۞۞

১. সাধারনতঃ কোন নিরুপায় অথবা আদরলোভী/অর্থলোভী যুবকই ঘর-জামাই গিয়ে থাকে।

২. নিজের পরিবারের সাথে রাগ করে অনেকে বউকে নিয়ে শশুর বাড়ীতে গিয়ে ঘর জামাই থাকে।

৩. বিয়ের সময় শর্ত সাপেক্ষে অনেকে ঘর জামাই হয়।

৪. শশুর-বাড়ীর বিশাল সম্পত্তিতে ভাগ বসিয়ে অনেকে ঘর-জামাই হয়।




۞۞ প্রতারক ঘর জামাই থেকে সাবধান ۞۞

বিভিন্ন জেলা থেকে দিনমজুররা আমাদের এলাকায় প্রতিবছর কাজ করতে আসে। তারা মাসের পর মাস বিভিন্ন বাড়ীতে কাজ করে। প্রথমে সততা দিয়ে সকলের মন জয় করে নেয়। তারপর দরিদ্র কোন পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করে ঘর-জামাই হিসেবে বসবাস করে। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই কোন একদিন উধাও হয়ে যায়--------অসহায় পিতা-মাতা তার কন্যাকে নিয়ে দুঃখের সাগরে ভাসতে থাকে।




 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।