আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৌঁছেনি রুস্তম, শুরু হয়নি উদ্ধারকাজ

বরিশাল থেকে রওনা হয়ে আসা উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম কখন ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে- সে বিষয়েও কিছু বলতে পারেননি তারা।

সোমবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী ঘাটের অদূরে পালের ডাঙ্গা এলাকায় ঢাকাগামী একটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় আংশিক ডুবে যায় রাঙ্গাবালি থেকে আসা এম ভি শাথিল-১।

পাড়ের কাছে এক-তৃতীয়াংশ ডুবে থাকা লঞ্চটি থেকে স্থানীয়রা ৩৫ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করেছেন বলে পটুয়াখালী নৌবন্দরের উপপরিচালক মো. বদরুল আলম জানিয়েছেন।

তবে এখনো বহু যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া এলাকাবাসীর ধারণা।

স্থানীয়রা দাবি করেছেন, রাঙ্গাবালি থেকে আসা শাথিলে শতাধিক যাত্রী ছিল।

অবশ্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিমুল হকের দাবি, লঞ্চটিতে বেশি যাত্রী ছিল না।

সন্ধ্যায় ৬টায় দুর্ঘটনার পর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেলেও ডুবুরি না থাকায় রাতে কাজ শুরু করতে পারেননি তারা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রসাশক অমিতাভ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রুস্তম কোথায় আছে তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

এরপর রুস্তমের সাহায্যকারী টাগবোটের মাস্টার গোলাম ইউনুস আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেনর, ৭টা ৪৫ এ তিনি দশমিনার ধূলিয়া এলাকা পার হচ্ছিলেন। সেখান থেকে দুর্ঘটনাস্থলে কখন পৌঁছাতে পারবেন তা বলতে পারবেন বেলা ১১টার পর।

এদিকে দীর্ঘ সময় পরও উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

উদ্ধার কাজে থাকা স্থানীয়রা রাতেই বলেছিলেন, সাথিলের ডুবে থাকা কেবিনগুলো খোলা যাচ্ছে না, যার ভেতরে যাত্রীরা আটকা পড়ে থাকতে পারে।

পটুয়াখালী লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা রাতে ঘটনাস্থলে থাকলেও ডুবন্ত লঞ্চের পাহারায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো দপ্তরের কর্মকর্তাদের সেখানে দেখা যায়নি।

পটুয়াখালী নৌবন্দরের উপপরিচালক মো. বদরুল আলম জানান, আঁচল লঞ্চটি পটুয়াখালী ছেড়ে যাওয়ার সময় ঘাটের দিকে আসছিল শাথিল। তবে সেটি ঘাটে না ভিড়ে আঁচলের পেছন এগোতে থাকে।

এর উদ্দেশ্য ছিল মাছের ঝুড়ি ওই লঞ্চে তুলে দেয়া। এক পর্যায়ে শাথিলের দড়ি আঁচলের পাখায় পেঁচিয়ে গেলে ছোট লঞ্চটি ডুবতে শুরু করে।

এর পরপরই স্থানীয়রা ট্রলার-নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়ে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।