সদা সহাস্য থাকিবা......
কি, শিরোনাম দেখে টাশকি খাইছেন? টাশকি খাওয়ার কিছু নাই। এমন শিরোনামই এমন টুনি গল্পের জন্য প্রযোজ্য।
পেরিন - নামটা কেমন যেন না একটু। হ্যঁ এটা আমার এক ক্লাশ মেটের নাম। যখন ক্লাশ টেনে পড়তাম, সে আমার ক্লাশমেট ছিলো কোচিং এ।
ছেলে-মেয়ে একসাথে কোচিং করতাম - ইউরেকা কোচিং।
আমি সব সময়ই দরজার কাছের বেঞ্চে বসতাম যাতে ক্লাশ শেষ হয়ে আগে বের হতে পারি। অপরদিকে পেরিন বসতো ঠিক আমার পাশের সারির বেঞ্চে। ওই সময় ক্লাশের ইংরেজীতে বেশী নাম্বার পেতাম বলে বাবুল স্যার (আই এম বাবুল পাঠোয়ারী) আমাকে ডাকত ইংলিশ ম্যান।
তো ঘটনা হলো একদিন ক্লাশ শুরুর আগে বেঞ্চে বসবো এমন সময় হঠাৎ করেই পেরিন বেঞ্চ থেকে মাটিতে পরে গেলো।
পরে যাওয়ার শব্দ হলো, আমি ছিলাম কাছে, আমি গিয়ে ধরলাম। ওমা হেতি তো অজ্ঞান অইয়া গেছে গা। সাথে সাথেই অন্য মেয়েরা এসে ওকে ধরে ওঠালো, ক্লাশের টেবিলের উপর শোয়ালো। শুরু হয়ে গেলো ক্যাচর ম্যাচর হই-হুল্লা। বাবুল স্যার এসে বলল, ওই কি অইছে রে??
আমি বললাম, "স্যার পেরিন।
শী হেজ বিন ফল ডাউন বাই ঠাস। "
এই কথা বলতেই স্যার হাসি শুরু করলো আর যে কয়জন আমার এই মহান উক্তি শুনেছে তারাও হাসি শুরু করলো। পরে পেরিনকে মাথায় পানি ঢেলে কিছুটা সুস্থ্য করে অন্য দুইজন মেয়েকে সাথে দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছিলো। তারপর থেকেই আমাকে ডাকা হতো শী হেজ বিন ফল ডাউন বাই ঠাস। কোচিং এ এই নামেই আমি পরিচিতি পেয়েছিলাম।
একসময় সবার ডাকা-ডাকিতে বিরক্ত হয়ে ওই কোচিং ছেড়ে দিই।
পেরিন নামের কারণ ও খ্রিষ্টান ছিলো। সে ছিলো শারিরিকভাবে ডিজএবল। ডান পা তে শক্তি পেতো না। তাই স্ক্র্যাচ নিয়ে আসতো।
আর সেদিন বাম পা যখন তুলে বেঞ্চের ভিতরে নেবে এমন সময় স্ক্র্যাচ তার বার রাখতে পারেনি। তাই পরে গিয়েছিলো।
আজ হটাৎ করে মনে পরলো তাই লিখে দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।