আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবাইকে অভিন্ন নিয়মের মধ্যে আনাই এর লক্ষ্য: তারিক আনাম

গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সমাবেশের আয়োজন করেছিল নবগঠিত ‘টেলিভিশন পেশাজীবী ঐক্য পরিষদ’। সংগঠনটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারিক আনাম খান। প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে সমাবেশ ও নতুন সংগঠন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের ভাবনাটা কীভাবে এল?
আমাদের এমনিতেই তিনটি (টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিরেক্টরস গিল্ড, আর্টিস্ট গিল্ড) সংগঠন রয়েছে। এ ছাড়া আছে চিত্রগ্রাহকদের একটি সংগঠন।

সবাই মিলে একটা অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে গেছি। এতে করে ভুগছে টিভি চ্যানেলগুলো, ভুগছি আমরা, আর হারাচ্ছি নাটকের দর্শক। নাটকগুলো হচ্ছে নাটকের মতো; যেন কোনো কিছুতেই কারও কোনো ধরনের নজরদারি নেই। কোনোভাবেই কেউ টিকে থাকতে পারছি না। নাটকের ক্ষেত্রে দিনকে দিন বাজেটও কমে যাচ্ছে।

বেশ কিছুদিন ধরে এসব সমস্যা সমাধানের পথ আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একটা সমাবেশের মধ্য দিয়ে সবার কাছে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। তারপর না হয় আন্দোলন ও সবার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সেগুলো সমাধানের একটা উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। এখানে তো আসলে কেউ আমরা কারও শত্রু নই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আছে, চ্যানেলগুলোর কাছেও দাবি আছে।

আমরা চাই চ্যানেলগুলো আরও সুন্দরভাবে বিকশিত হোক। এসব নানা বিষয়ের কথা চিন্তা করে পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের জন্ম।

গতকালের সমাবেশ কতটা সফল বলে মনে করছেন?
আমরা যে বিষয়টি নিয়ে ভাবছি, তা যে সবার ভাবনাতেই ছিল, গতকালের সমাবেশের মাধ্যমে এর প্রমাণ পেলাম। টেলিভিশনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশির ভাগ লোকজনই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। এমনকি বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরাও পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

সবাই ভেবেছেন, মিডিয়ায় যে অনিয়মটা চলছে, তা ঠিক হওয়া উচিত। এ জন্য সবাই নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেই সমাবেশে এসেছেন। আর তাই গতকালের সমাবেশ অনেকাংশে সফল হয়েছে বলেই আমরা মনে করছি।

প্রাথমিকভাবে টেলিভিশন পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের কার্যক্রম চলবে কীভাবে?
আমরা আপাতত সবগুলো সংগঠন মিলে পেশাজীবী ঐক্য পরিষদকে এগিয়ে নিয়ে যাব। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করব, যাতে বিনোদনমাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, সবাইকে যেন নিয়মের মধ্যে আনা যায়।



এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?
আমাদের অসংখ্য মেধাবী তরুণ রয়েছেন। আর এই তরুণদের অনেক ভালো কাজ করার সুযোগও আছে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের জন্য সুযোগগুলো খুবই সীমিত। আমরা সবাইকে সহযোগিতা করতে চাই। মেধাবী তরুণদের জন্য পেশাজীবী ঐক্য পরিষদকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রাখতে চাই।

আমাদের অপরাপর যেসব সংগঠন আছে, সেগুলো প্রথমে আরও বেশি কার্যকর করতে চাই। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের মিডিয়াকে সচল করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের বিনোদনমাধ্যমকে কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

দর্শকেরা আপনাদের এই উদ্যোগ থেকে কীভাবে উপকৃত হবে?
আমরা এককভাবে এটা কখনো করতে পারব না।

এর সঙ্গে জড়িত আছে বেসরকারি চ্যানেলগুলো। চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান বিভাগকেও দক্ষ করে তুলতে হবে। এখন নাটকের মান ক্রমাগত নিম্নগামী। তাই দর্শকচাহিদার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে চ্যানেলগুলোর। নাটকের জন্য বাজেট বাড়াতে হবে।

এ জন্য সব চ্যানেলকে নিজেদের তাগিদে এগিয়ে আসতে হবে। দর্শকদের যে প্রাণস্পন্দন দরকার, তা আমরা প্রতিনিয়ত হারিয়ে ফেলছি। দর্শক বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের চ্যানেলগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে দর্শকও আমাদের চ্যানেল থেকে সরে যাচ্ছে। আমরা চাই, বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যে নীতিমালা আছে, সেসব যেন ঠিকমতো মেনে চলা হয়।

এটা নিয়ে কাজ করবে টেলিভিশন পেশাজীবী ঐক্য পরিষদ। আর তাতে আমাদের দর্শকেরা লাভবান হবে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.