আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যপ্রচ্যের বলদা জিহাদিদের জিহাদ এবং এর অর্থের উৎস

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।


আপনি যখন কোন পন্য উৎপাদন করবেন তখন সবার আগে আপনাকে দেখতে হবে এই পন্যের বাজার আছে কিনা। যখন দেখবেন বাজার নাই তার মানে সেই পন্য উৎপাদন অর্থহীন হবে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়িরা চেস্টা করেন নিজেরাই একটা কৃত্তিম বাজার সৃস্টি করতে।
যেমন চা।

বাংলাদেশে এর কোন বাজার ছিল না। বাংলাদেশের মানুষ চা চিনত না। কিন্তু আস্তে আস্তে মনুষকে চা সম্পর্কে দির্ঘদিন যাবত প্রচারনা এবং ফ্রি খাওয়ানোর মাধ্যমে চা এর একটা বিশাল বাজার সৃস্টি করা হয়। এর সাথে সৃস্টি হয় চিনি এবং দুধের একটা বিশাল বাজার।

যাই হোক আমার লেখার মুল বিষয বস্তু ইরাক ভিত্তিক সন্ত্রাসি সংগঠন Islamic State of Iraq and Syria সংক্ষেপে ISIS, আল-কায়দা এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠন এবং পাকিস্তানের তেহরিক ই তালেবান।



এই সংগঠনগুলো সৃস্টি হয় এক একসময় একটা যুদ্ধে ইসলাম ধর্মিয় চেতনা বা দেশের স্বাধিনতা রক্ষার আবেগ কে পুজি করে। প্রথমদিকে এরা বিভিন্ন সামাজিক এবং দাওয়াতি কাজের সাথে জরিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের মুল কাজ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিষেশ কিছু রাজা শাষিত দেশ ব্যতিত বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে আত্মঘাতি, গাড়িবোমা, গুলি এবং আরো বিভিন্ন পন্থায় মানুষ হত্যা করা। এবং সেটা গনহারে হত্যা করা। এসব হামলার হাত থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোও বাদ যায় না।

নারি থেকে শিশু, অসুস্থ থেকে বৃদ্ধ কেওই বাদ যায়না এদের হাত থেকে।
মুলত তাদের সৃস্টি হয় সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত এবং বাহরইন শাষন এবং শোষনকারি রাজাদের অর্থায়নে। এই সকল সংগঠনের সকল খরচ যেমন, অস্ত্র, রসদ এমনকি এদের জন্য নারি ও সপ্লাই দেয় এই রাজারা। কিন্তু কেন এত অর্থ তারা এদের পিছনে ঢালছে??

এইবার আসি প্রথম বিষয়। সারা বিশ্বে এই মুহুর্তে আমেরিকা এবং তার কিছু মিত্র দেশ অস্ত্র উৎপাদন, মজুত এবং সরবরাহে শির্ষে।

যেহেতু তাদের অর্থনিতির একটা মুল নিয়ামত হয়ে দারিয়েছে এই পন্য তাই তাদের প্রয়োজন এটি রপ্তানি করা এবং তার জন্য প্রয়োজন একটা বিশাল বাজার। কিন্তু এই বাজার আপনি কোথায় পাবেন??

উত্তর হল আপনাকে বাজার সৃস্টি করতে হবে। আর যুদ্ধ ক্ষেত্র হচ্ছে অস্ত্রের সবচেয়ে বড় বাজার। তাই প্রচুর পরিমানে অস্ত্র বিক্রির জন্য আপনার প্রয়োজন ব্যাপক ভিত্তিক একটা যুদ্ধ যেটা হবে দির্ঘস্থায়ি এবং সংঘ্তময়। আর মধ্যপ্রাচ্য হচ্ছে এর জন্য উত্তম এবং আদর্শ স্থান।



এদিকে সৌদি আরব, কাতার,কুয়েত, ইরাক এর কাছে তেল বাবদ পশ্চিমা দেশগুলো ব্যাপক পরিমান ধার দেনা জনে গেছে। তেল তো সব পুরে গেছে কিন্তু টাকা দেওয়া যাবে কিভাবে??
একটাই উপায় আর সেটা হল তাদের কে অস্ত্র দিতে হবে। এদিকে ঠিক সেই মুহুর্তে আমেরিকার অস্ত্রব্যবসা একটা বিরাট পরিমান ক্ষতি মুখে পরছিল।

এরকম এক টানাপরেন এর সময় তামাম দুনিয়ার এবং আমেরিকার বেবাক যায়গা থুইয়া টুইন টাওয়ারে হামলা হইলো। এবং সামান্য একটা প্লেন এর ধাক্কায় একটা প্রচন্ড শক্ত এবং ভুমিকম্প সহনিয় স্থাপনা মুরমুর করে ভেঙে পরে গেল।

কেও একটা প্রশ্ন তুলল না একটা পেসেঞ্জার প্লেন এত বড় বিষ্ফোরন করল কেন??

শুরু হল আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমেরিকার সৈন্য গুলি করে এম১৬ রাইফেল দিয়া আর। আর আলকায়দা গুলি করে একে৪৭ এর আমেরিকান ভার্সন দিয়া। মজার বিষয় হল দু্ইটারই ম্যানুফ্যকচারার ইউএস। একটা লেবেল সহ আর একটা লেবেল ছারা।

একটা ইস আর্মির সপ্লাই আর একটা আল-সৌদ এর সাপ্লাই।

এর পর শুরু হল জিহাদিদের আত্মঘাতি বোমা হামলা, গাড়িবোমা হামলা, রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা হামলা। বুকে বাধার বোমার নির্মাতা ইউকে, । রকেট লাঞ্চার এর নির্মাতা জার্মানি। রাতের বেলা দেখার জন্য বিষেশ চশমা যার নির্মাতা আমেরিকা।

এদের কে মারার জন্য মোতায়েন করা হর বিশেষ সৈন্যবাহিনি যাদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র যার নির্মাতা আম্রিকা।

আর টাকা??

সেটা তো মিটানো হচ্ছে তেলের দেনা পাওনার থেকে। মিলিওন মিলিওন ডলার ভাউচার হচ্ছে সৌদি থেকে রপ্তানি হওয়া তেল এবং গোল্ড এর পাওনার বিপরিতে আমেরিকা এবং ইউ এর তৈরি অস্ত্র দিয়ে। তেল যাচ্ছে জাহাজে করে আর তার বিপরিতে বিমান ভরে অস্ত্র আসছে। সেগুলো সাপ্লাই হচ্ছে ইরাক, সিরিয়া, মিশর এর মত দেশগুলোতে।

মারা যাচ্ছে হাজার হাজার নিরিহ মানুষ।

আর রাজারা ??
হে হে হে....... তাদের হারেমে রেয়েছে ডজন ডজন সুন্দরি বউ। যাদের নিয়ে তেনারা একসাথে রাত্রি যাপন করেন। আবার মাঝে মধ্যে হলিউডি, বলিউডি, মিশরি পর্নস্টার দের নিয়েও চলে রাতভর মাস্তি।

শুনলাম কিছুদিন আগে এক সৌদি প্রিন্স এর সাথে ৩০ মিনিট সময় কাটানো বাবদ ৩ মিলিওন ডলার নিয়েছেন এক হলিউডি অভিনেত্রি।



আমি ডেম শিওর আমেরিকা সৌদি থেকে পাওয়া এই চেকটাও যেকোন একটা অস্ত্র কারখানায় পাঠাইছে মুল্য পরিশোধের জন্য। আর সেই অর্থদিয়া তৈরি অস্ত্র দিয়া বিড় মুজাহিদরা জিহাদ করতেছে সিরিয়াতে। হাজার হাজার মুসলমান মাইরা ইসলামি রাস্ট্র কায়েম করতেছে।

বাংলাদেশের বলদা মুজাহিদরা দেখি মাঝে মইধ্যেফেসবুকে স্টাটাস দেয় আজকে আল-কায়দার এত জন মুজাহিদ সিরিয়াতে শহিদ হয়েছেন।
আরে হালার্পো যাইয়া চেক কর ওর বুকের মধ্যে ঢুইকা আছে আম্রিকার তৈরি গুলি আর ওর হাতে আইটকা আছে আম্রিকার তৈরি একে৪৭।

যার যোগানদাতা সৌদি আরব।

খেলাটাই বুঝলিনারে মামা। খেলাটাই বুঝলিনা। বলদই রইয়া গেলি।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.