একদিন, এক বছর, এক যুগ নয় লক্ষ বছর ধরে, উচু নিচু সিড়ি বেয়ে এই তান্ত্রিকতার বিচিত্র যাত্রা আজ অব্দি চলমান। বিভিন্ন ধর্মের আজব বাহনের মাধ্যমে এর জয় যাত্রা। যদিও ধর্ম নিছক শুধু বাহনের কাজ করে থাকে, এবং এই শুদ্ধ তান্ত্রিকতার রুপ বৈচিত্রতার পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, অলঙ্করণ ইত্যাদি করেই তার দায়িত্ব শেষ। এই তান্ত্রিকতা সাধারন মানুষের জীবনে কখনও বিশ্বস্থ্য বন্ধু হয়ে দেখা দিয়েছে আবার কখনও অবিশ্বাষের রোষানলেও পড়েছে। কিন্তু তার যাত্রা আজও থেমে নেই।
আজ আমি এর বিষয় কিছু উল্লেখ্য যোগ্য বিষয় উপস্থাপন করার ইচ্ছা পোষন করছি। বিশেষ করে তাদের জন্য যারা বলে তন্ত্র মন্ত্র সব ভাওতা বাজি, মিথ্যা -
অবিশ্বাসীদের জন্যঃ
আমাদের সকলের পরিচিত বিশ্বখ্যত ব্যক্তি যাদুকর জুয়েল-আইচ নাকি ঘোষনা করেছেন পৃথিবীতে অলৌকিক বলে কোন কিছু নেই, কেউ যদি তা প্রমান করতে পারে তবে তাকে লক্ষ টাকা পূরুষ্কার প্রদান করা হবে। আবার ভারতের বিখ্যাত ব্যক্তি “অলৌকিক নয় লৌকিক” গ্রন্থের প্রনেতা জনাব প্রবীর ঘোষ-ঘোষনা করেছেন যে, কেউ যদি কোন ভাবে কোন অলৌকিক কিছু করে দেখাতে পারে তাকে লক্ষ টাকা পুরুষ্কার দেওয়া হবে। তাদের ভাষায়-হোমিও প্যথি, তন্ত্র, মন্ত্র, ইত্যাদি সমস্ত কিছুই ভুয়া। তাদের কোন দোষ ধরা বা তাদের সাথে টক্কর দেওয়ার সাধ্য আমার মত ক্ষুদ্র প্রানীর সাধ্য নয়।
তারা তাদের গন্ডিতে যা দেখেছে তার জন্য তাদের ওপেনিয়ন অবশ্যই ঠিক আছে। এই বাংলাদেশেই সাইনবোর্ড/লেবেল ধারী এমন অসংখ্য ব্যক্তি আছে যাদের বৃহদাংশই ঠক, ভন্ড, যোচ্চর টাইপের, প্রথমত আমি যতটুকু বুঝি এটা একটা গোপন শক্তির বিদ্যা এই বিদ্যা যতক্ষন গোপন থাকে ততক্ষন শক্তি যখন সে বলে বেড়ায় বা চড়াও করে বেরায় যে আমি অমুক আমি অমুক বিদ্যায় পারদর্শি তখন তার শক্তি অবশ্যই কমতে বাধ্য। আমি পেশায় একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (ডিপ্লোমা)। আমি নিজেই এই তন্ত্র মন্ত্রের নিয়ে দির্ঘ্যকাল ঘাটাঘাটি করেছি, বহু বই কিতাব ডকুমেন্টরী নারাচারা করেছি, একটি সময় দেখেছি আসলেই শক্তি অবিনশ্বর, প্রতিটি শব্দের, বস্তুর, পদার্থের একক শক্তি আছে । ধর্মের সাথে এর তেমন কোন সর্ম্পক্য নেই তবে প্রতিটি ধর্ম একে নতুন এক রুপ দান করেছে মাত্র।
ধর্ম নিয়ে অনেকের সংসয় আছে কিন্তু এই বিশ্বচরাচর সৃজনে যে একক কোন শক্তির ঈঙ্গিত আছে তা এক বাক্যে সকলেই মেনে নেওয়ার কথা। ।
আমরা বর্তমান সময় প্রতিনিয়ত ধোকাবজীতে পড়ে আছি- কারন বেশ কিছু অনেক পুস্তক থেকে পড়ে এবং নিজে কিছু চেষ্টা করে যতটুকু বুঝেছি- তা হলো বর্তমান সময় আমাদের কে অত্যাধুনিক ট্যকনিকের মাধ্যমে বেশ কিছু স্থানে “কোয়ন্টাম মেথড” প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। যেখান থেকে অনেকেই গ্রাজুয়েশন করে বের হয়। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেকের সাথে কথা বলে দেখেছি তারা অনেকেই সতন্ত্র ভাবে তাদের শক্তি সর্ম্পক্যে অবগত নয় বা ব্যবহার বিধি সর্ম্পকে অজানা।
অথচ এই কোয়ন্টামের অতিত অনেক বিশাল, কোন ব্যক্তি যদি সতন্ত্র ভাবে কোয়ান্টাম ব্যবহার করে তবে হয় সে কোন মহামানব হবে নতুবা মহা শয়তান হবে (নিশ্চিত), সে হবে অকল্পনিয় শক্তির অধিকারী। কিন্তু আমাদের কে যে ভাবে কোয়ন্টামের শুরু করা হয় তা প্রথমেই আমাদের স্বতন্ত্র শক্তিকে রুখে দেয় এবং অন্যের সাম্যক শক্তির ছটা হিসেবে কাজ করে যেতে হয়। । এটা কি বলবো ধোকাবাজী নাকি চালাকি। এমনও হতে পারে যে সমাজে অস্তিরতা সৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই এমনটা করা হয়।
।
আপনি যদি তন্ত্র, মন্ত্র, দোওয়া ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে অবিশ্বাষ করেন তবে আপনাকে আমি বলবো কয়েকটি জিনিস একটু পরিক্ষা করে কারন গুলো বলুন-
o আপনি একটি ফলবান গাছে (যে গাছের ফলে পোঁকা ধরেছে) দুইটি সুদ খোর ও একটি ঘুষ খোর ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে লিখে গাছে ঝুলিয়ে দিন কয়েকদিনেই দেখবেন সকল পোঁকা চলে গেছে। কিন্তু কেন ?
o আপনি পছন্দ করেন কথা বলতে চান কিন্তু অপরপক্ষ আপনাকে পছন্দ করে না বা কথাও বলে না এমন কারও মাথার তিনটি চুল সংগ্রহ করে আপনার মাথার তিনটি চুল সহযোগে একটি মোমবাতীর (দিয়াশালাই/ম্যাচ দিয়ে জ্বালান)আগুনের সামনে বসে যে কোন কালী মন্ত্র ১০৮ বার উচ্চারন করে তা আগুনে পুড়ীয়ে দিন। সেই ব্যক্তি আপনার সাথে তাৎক্ষনিক সুন্দর আচরন সহ আপনাকে ভদ্রভাবে উপস্থাপিত হবে। কিন্তু কেন ?
o আপনার ঘনিষ্ট কোন বন্ধু, বান্ধবী, প্রেমীকাকে আপনার ব্যবহৃত রুমালটি উপহার দিন সে কয়েকদিনের মধ্যে তার সাথে আপনার সর্ম্পক্যের ব্রেক আপ হবে।
কিন্তু কেন?
o আপনার পা, হাত বা কোমর মচকে গেছে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছেন, আপনি উল্টো জন্মেছে (সাধারনত সন্তান জন্মগ্রহন করে প্রথমে মাথা পরে পা কিন্তু অনেক সময় প্রথমে মাথা বেড় হয়) এমন কাউকে দিয়ে সেখানে তিনটি লাথি মারিয়ে নিন, সর্ব্বচ্য তিন দিনেই তা বিনা ঔষধেই সেরে যাবে। কিন্তু কেন ?
o আপনি যতই আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তি হউন না কেন, আপনি পরপর কয়েকদিন রাত্রের বেলা মুখে পানি নিয়ে কুলী কুলী করে বাসার/ঘরের বাইরে ফেলুন আপনার কয়েকদিনের মধ্যে আপনার আর্থিক সমস্যা দেখা দেবে। কিন্তু কেন ?
o যে সকল শিশু রাত্রে ঘুমের ঘোরে চমকে চমকে উঠে তাদের বালীশের নিচে এক টুকরো কাচা লোহার কোন অস্ত্র বা ফিটকিরি রেখে দিন সে শান্তিতে ঘুমাবে। কিন্তু কেন ?
এমনি অসংখ্য ঘটনা আমাদের একটু হের ফেরের কারনেই ঘটে থাকে বা আমরা ঘটাতে পারি এর কোন ব্যখ্যা সায়েন্স দিবে কি ?
টাইটানিক জাহাজ ধ্বংসের ঠিক ১০০ বছর পূর্বের একটি উপন্যাস “টাইটান” যে উপনাস্যের হুবহু ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটে টাইটানিক জাহাজে। কিন্তু কেন ? শুধুই কি কাকতালিয় ?
পিরামীডের মমি রহস্য- যা আজ অব্দি অভিসপ্ত হিসেবে পরিচিত অনেকেই কোন না কোন ভাবে এর অভিসাপের স্বিকার এর অসংখ্য ইতিহাস আছে, বিস্তারিত জানতে একটু নেট ঘাটলেই এমন ভুরী ভুরী পাওয়া যায় ।
কিন্তু কেন ? সবি কি নিছক দুর্ঘটনা ?
প্রতিটি মানুষ, আপনি নিজেই একটু খেয়াল করুন মাসের নির্দিষ্ট একটি দিন বা সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিন বা কোন নির্দিষ্ট সংখ্যার সাথে রয়েছে আপনার তিক্ত বা মধুর সর্ম্পক্য । কিন্তু কেন ?
আপনি ঘুমের মধ্যে প্রতিদিনই কিছু না কিছু স্বপ্ন দেখেন । কিন্তু কেন এই স্বপ্ন বা কোথা থেকে আসে এ গুলো ? আবার কিছু স্বপ্ন সত্যি হয়ে যায় কখনও কখনও সেটা কিভাবে হয় ?
কেন আমাদের মনের মাঝে ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা বা শুভ কাজের আচ অনেক সময় হয়ে থাকে ?
এমন কত রহস্যই না আমাদের মাঝে বিরজমান । কিন্তু আমরা প্রতিনিয়তই তা দৃষ্টি গোচর করি না।
আমার এক নানী আছে যাকে দেখতাম সে যদি কোন শিশু অত্যাধিক কান্নাকাটি করে তবে তাকে কিছু পড়ে একটি বা দুটি ফু দিয়ে দিলেই একদম শান্ত হয়ে যেত।
আবার আমার গ্রামের এক চাচা সর্ম্পকের এক ব্যক্তি কারও গলায় মাছের কাটা বিধলে, কিছু পড়ে গলার বাইরে এক বা দু মিনিট আঙ্গুল ঘুরাতো ব্যাস কাটা উধাও কোন কিছুই খেতে হতো না।
এমন’ই অসংখ্য ঘটনা আপনি নিজেই দেখতে পাবেন একটু চোখ, কান খোলা রাখুন আপনার চারপাশেই। ।
আমরা এই প্রকৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ প্রকৃতি আমাদের নিয়ন্ত্রন করে, বর্তমানে প্রকৃতির কিছু অসামজস্যতা আছে ঠিকই কিন্তু প্রকৃতি আমাদের তেজ্য করে দেয় নি ।
আমাদের ৯/১১ টি গ্রহ আমাদের প্রত্যেক মানুষের জীবনকে ঘিরে রেখেছে ।
প্রত্যেকেরই রয়েছে অসম্ভব শক্তিপূঞ্জ একটি চন্দ্র বিশাল সমুদ্রের জলরাশীকে উথাল পাথাল করে দেয়, সে তুলনায় কি আমরা নেহায়েত ক্ষুদ্র প্রানী নই। ।
আমার এই লেখার অর্থ এটা নয় যে আপনারা সবাই স্বাভাবিক জীবন যাত্রা বাদ দিয়ে সকলে গিয়ে কোন তান্ত্রিকের দাঢ়ে ধর্ণা দেন। আমার উদ্দেশ্য কিছু লোক চোখ বন্ধ করে বলে দেয় এ সবি মিথ্যা এটার কোন সত্যতা নেই ভুয়, ভন্ডামী তাদের সামনে কিছু তুলে ধরা এবং এটা প্রমান করা যে এই লাক্ষ বছরের ঐতিহ্য আমাদের শুধুই ভন্ডামী সেখায় নি। এর মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজন মেটানোর কিছু অবশ্যই দিয়েছে।
যার অনেক আছে অসম্ভব শক্তি ধারন করে। যে কেউ এর যথার্থ প্রয়োগ করলে এর হিত এবং বিপরীত দুই ধরনের ফলাফল অবশ্যই পাবে। । কেউ হয়তো এটা ব্যবহার করে মন্দ উদ্দেশ্য নিয়ে আবার কেউ শুভ/ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে । ।
আজ এ পযুন্তই ভবিষ্যতে এ বিষয় আর কিছু লেখার ইচ্ছা আছে এবং আমাদের তৈরী একটি সাইড আছে যেখানে এ বিষয়ে কিছু তথ্য উপাত্ত দেওয়া আছে। । ধন্যবাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।