এ রকম প্রবাদ প্রায় সব ভাষা এবং সব সংস্কৃতিতেই আছে। ইংরেজিতে ‘কোল উইল টেক নো আদার হিউ’, বাংলায় ‘কয়লা ধুলেও ময়লা ছাড়ে না’, গ্রামগঞ্জ বাংলাদেশে ‘জাত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না মরলে’। আরেকটা প্রবাদ হচ্ছে কুকুরের লেজ সাত বছর চোঙ্গায় ভরে রাখলেও সোজা হয় না। মাঝে মাঝে আমার সন্দেহ হয় এই সুপ্রাচীন প্রবাদগুলো তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের বর্তমান আওয়ামী লীগের কথা মনে করেই।
আওয়ামী লীগ দল আর তাদের নেত্রীর রাজনীতির পোস্টমর্টেম করলে যে ফলাফল বেরিয়ে আসবে, সেটা রীতিমতো উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশকে এরা বংশানুক্রমিক জমিদারি মনে করে। যুগের পরিবর্তন হয়েছে, সুতরাং মুখে হলেও মাঝে মাঝে গণতন্ত্রের কথা বলতে হবে। অথচ গণতন্ত্রের ভাষা এরা জানে না। আসলে তাদের মুখে গণতন্ত্র আর হৃদয়ে বাকশাল। তাই এরা বিরোধী দলকে, বিশেষ করে বিএনপি এবং সে দলের নেত্রীকে অবিরাম গালাগাল করছে, কদর্য ভাষায় টিটকারি আর বিদ্রƒপ করছে।
ওরা ৫ জানুয়ারি একটা নির্বাচন করেছে। সংসদের মোট ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে পাঁচ জানুয়ারির দিন দশেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ ও এদের মিত্ররা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গেছে। নির্বাচনের আগেই সংসদে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছে। প্রকৃত প্রস্তাবে যা ঘটেছে তা হচ্ছে এই যে, এই কেন্দ্রগুলোর চার কোটি ৯০ লাখ মানুষকে তাদের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনী তামাশা হয়েছে অবশিষ্ট ১৪৭ আসনে।
নির্বাচন কমিশন তিন দিনের হিসাব-নিকাশ শেষে ঘোষণা দিয়েছে যে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে এসব কেন্দ্রে; কিন্তু কমিশনের এই হিসাবকে দেশ-বিদেশে কেউ বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে না। যাদের কথা ও বিচার-বুদ্ধিকে বিশ্বাস করা যায় তাদের সবাই বলছেন যে, কোথাও ১০-২০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। বহু ভোটকেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আর কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা সবাই বলেছেন, এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য কিংবা বিশ্বাসযোগ্য নয়। শুধু দিল্লির পঙ্কজ শরণ ছাড়া।
পঙ্কজ জানেন যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে গদিতে রাখতে হবে, নইলে ভারত আরো যা যা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে নিতে চায় সেগুলো পাওয়া যাবে না। সত্যি বটে, বাংলাদেশের সড়ক, রেল ও নদীপথ এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর বিনামূল্যে ব্যবহারের অধিকার ভারত এরই মধ্যে আদায় করে নিয়েছে। বাংলাদেশের কয়লা ব্যবহার করে এবং সুন্দরবনসহ আমাদের পরিবেশ ধ্বংস করে ভারতের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজটা এখনো সমাপ্ত হয়নি। অভিন্ন নদীগুলোর উজানে যে আরো বাঁধ তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে তার বিরুদ্ধে সরকারি প্রতিবাদ হলে চলবে না। বিদেশী কূটনীতিকেরা একবাক্যে বলছেনÑ এটা কোনো কাজের কথা নয়, শিগগিরই এমন একটা নির্বাচন করতে হবে দেশের মানুষ যেটা গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বসমাজ যেটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করতে পারবে।
বিশেষ কিছু তাৎপর্য
এর একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে। ভারত বৃহৎ দেশ। ভেতরে ভেতরে দারিদ্র্য, অস্পৃশ্যতা ও গ্যাংরেপ যতই তার রাষ্ট্র কাঠামোতে ঘুণ ধরাচ্ছে, বাইরের ফুটানি দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। সে বছরে বহু বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র কিনেছে রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অঢেল বিলাসসামগ্রী এখন আমদানি করছে ভারতীয় নতুন ধনীরা।
ভারতের মধ্যবিত্তের অঢেল কালো সম্পদের কিছুটাও লুট করে নেয়া এখন বিদেশী ব্যবসায়ীদের বড় লক্ষ্য। রফতানিকারকেরা তো বটেই, বিশ্ব ফোরামে ভারতের পণ্য ও সমর্থন প্রায়ই চায় বিভিন্ন দেশ। ভারতীয় কূটনীতিকেরা যখন সেসব দেশকে অনুরোধ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে একটা লোকদেখানো অভিনন্দন পাঠাতে তখন তারা সহজেই রাজি হয়ে যান।
বিদেশীরা পরামর্শ দিচ্ছে অবিলম্বে একটা ভদ্রলোকের নির্বাচন করতে। ভদ্রলোক হতে গেলে ভদ্র ভাষায় কথা বলা শিখতে হয়।
কূটনীতিকেরা সে জন্য মুখোমুখি সংলাপের পরামর্শ দিচ্ছেন, দাবি জানাচ্ছেন। ৫ জানুয়ারির পর পরই মনে হচ্ছিল যে বেকায়দায় পড়ে বুঝি গণভবনে সুবুদ্ধির জাগরণ ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করলেন, তার আগে খালেদা জিয়াকে তার আন্দোলন ও অবরোধ বন্ধ করতে হবে। অন্যরা দাবি করলেন, খালেদা জামায়াতের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ না করলে সংলাপ হবে না। এসবকে সংলাপে সম্মতির লক্ষণ বলেই বিবেচনা করা হচ্ছিল।
ভারত ছাড়া অন্য বিদেশীরা এখন আর জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল বিবেচনা করে না। তবুও রাষ্ট্রদূতেরা একের পর এক গুলশানে গেলেন, খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করলেন, তাকে বোঝালেন সরকার যখন জেদ ধরেছে নতুন নির্বাচনের স্বার্থে খালেদা জিয়ার উচিত জামায়াতকে দূরে রাখা। খালেদা কিছু দিন ধরে সেটাই করে আসছেন। তিনি আন্দোলন, হরতাল আর অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করার ডাক দিলেন। দেশের গ্রামগঞ্জে আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের গণতন্ত্রকামীরা প্রমাদ গুনেছেন।
এখন এরা অধৈর্য হয়ে উঠেছেন। আবার সরকারপক্ষ খালেদা জিয়াকে অপমান করতে এবং টিটকারি করতে শুরু করে দিয়েছেন। লক্ষণটা অবশ্যই এই যে, এসবের পর হাসিনার সাথে এক বৈঠকে বসতে খালেদা জিয়ার গা ঘিন ঘিন করবে, তিনি আর সংলাপের কথা বলবেন না। কিন্তু আওয়ামী নেতাদের একেকজনের একেক সুর। তাদের কেউ বলছেন সংলাপের আগে বর্তমান সরকারকে বৈধতা দিতে, স্বীকার করে নিতে হবে খালেদা জিয়াকে।
কেউ বলছেন, সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। একজন বলেছেন, খালেদাকে নিজের থু থু গিলে খেতে হবে, নাকে খত দিয়ে উপজেলা নির্বাচনে যেতে হবে। হাছান মাহমুদ খালেদা জিয়ার জন্ম নিয়ে কথা বলেছেন। বলেছেন, জন্মসূত্রে খালেদা ভারতীয় আর চেতনায় পাকিস্তানি, তাই তাকে পাকিস্তানে চলে যেতে হবে।
সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে তোফায়েল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সাথে দেখা করে এসেছেন।
দেশে ফিরে তোফায়েল যেন আকাশ থেকে পড়লেন। তিনি বললেন, কিসের সংলাপ? কিসের নির্বাচন? আমরা তো সংলাপ কিংবা নির্বাচনের কথা বলিনি, বলেছে বিদেশীরা। অবশ্যই দিল্লি তাকে সবক দিয়েছে, সংলাপ আর নতুন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কবর শানবাঁধাই হয়ে যাবে।
এসব ডামাডোলের আড়ালে ৫ জানুয়ারির পর থেকে প্রায় দিনই দু-চারটি গলাকাটা লাশ পাওয়া যাচ্ছে, অভিযোগ উঠেছে বন্দুকযুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ-র্যাব ধরে নিয়ে যাওয়ার পর কর্মীদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে, আর পুলিশ বলছে ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধে মারা যাচ্ছে এরা।
প্রায়ই ভীতিকর পরিসংখ্যান ছাপা হচ্ছে পত্রিকায় : ২২ দিনে ৮৮ গলাকাটা লাশ, ৪৩ দিনে ৫৯ জামায়াত নেতাকর্মী নিহত, ২৪ ঘণ্টায় ১৮ খুন প্রভৃতি। কোনো কোনো পত্রিকার খবর অনুযায়ী, গত বছর সরকারের দলীয়কৃত পুলিশ, র্যাব আর সশস্ত্র ক্যাডারদের হাতে জামায়াতের ১৮৩ জন এবং শিবিরের ৭২ জন নেতাকর্মী খুন হয়েছিলেন। বিচ্ছিন্ন এবং টুকরো টুকরো খবরগুলো থেকে অব্যশই মনে হবে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনী তামাশার পর থেকে ১৯-২০ দিনে সেসব সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বের ইতিহাস যে শিক্ষা দেয়
আওয়ামী লীগ এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা বিশ্বের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে অস্বীকার করছে। পাকিস্তানে মানুষকে গণতন্ত্র দিতে অস্বীকার করা হচ্ছিল।
ফলে সে দেশে গণতন্ত্রের রাজনীতি দুর্বল হয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম প্রধান রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। আমেরিকার ইন্ধনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জমিয়তকে ধ্বংসের অভিযান চালায়। সে দেশে গড়ে ওঠে জমিয়তের চেয়েও শতগুণ হিংস্র আলকায়েদা আর তালেবানের প্রভাব। পাকিস্তান আর আফগানিস্তানে তারা একাকার হয়ে আছে। ১২ বছর যুদ্ধ করে মার্কিনিরা আর তাদের পশ্চিমা মিত্ররা তাদের পরাস্ত করতে পারেনি।
ব্রিটিশরা এ বছরে সৈন্য সরিয়ে আনছে আফগানিস্তান থেকে, মার্কিনিরা সরিয়ে নেবে আগামী বছর। তালেবান আর আলকায়েদারা এখন আমেরিকার সরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
মিসরের জনতা তিন বছর আগে বিপ্লব করে হোসনি মোবারকের তিন দশকের সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান ঘটায়। মিসরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এরা মোহাম্মদ মুরসিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে। মুরসির সরকার গোড়া থেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল।
আমেরিকার অর্থ-সাহায্যপুষ্ট মিসরীয় সেনাবাহিনী মুরসিকে গদিচ্যুত করে তার ‘বিচার’ করছে; কিন্তু ওদিকে সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা আলকায়েদা প্রভাবিত মিসরীয়রা এবং তাদের সহযোগী বিদেশীরা এখন মিসরে সন্ত্রাস শুরু করেছে। গত কয়েক দিনে তাদের বিস্ফোরিত বোমায় অর্ধশতাধিক মানুষ মারা গেছে। মোবারকের গোয়েন্দা প্রধান এবং বর্তমানে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি নিজেকে ফিল্ড মার্শাল করেছেন, রাষ্ট্রপতি হওয়ার আয়োজন করেছেন। প্রায় সুনিশ্চিত বলা যায়, মিসরের ইতিহাসের পরবর্তী অধ্যায় হবে সহিংস প্রতিবাদ আর রক্তের অক্ষরে লেখা।
সিরিয়ার বংশানুক্রমিক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তিন বছর ধরে গণতন্ত্রের আন্দোলনকে পরাভূত করার লক্ষ্যে নিজ দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেশটা ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিরোধের ছলে ম্যধপ্রাচ্যের সর্বত্র এবং আফ্রিকা-ইউরোপ থেকেও যেসব মুজাহিদ এসেছেন সিরিয়ায় এরা উগ্র ইসলামপন্থী। প্রেসিডেন্ট আসাদ এখন ভীত ও আতঙ্কিত। খুবই বিলম্বে তার সরকার এখন জেনেভায় গণতান্ত্রিক বিরোধীদের সাথে আলোচনায় বসেছে।
ইউক্রেনের গরিষ্ঠ জনতা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছিল; কিন্তু আধিপত্যবাদী রাশিয়ার চাপে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ বিপরীতমুখী চুক্তি করেছেন মস্কোর সাথে।
দুই মাস আগে রাজধানী কিয়েভের জনতা সেই যে লাগাতার প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছে, সেই আন্দোলন এখন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে আরো বহু শহরে-নগরে। ইয়ানুকোভিচ প্রতিবাদ আন্দোলন নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছিলেন; কিন্তু প্রতিবাদ তাতে বেড়েই গেছে। বাধ্য হয়ে সেই আইন এখন তিনি বাতিল করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মাইকোলা আজারফ পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন প্রেসিডেন্টের কাছে। আগামী দিনগুলোতে আরো অনেক কিছু তাকে ছাড় দিতে হবে।
খালেদা জিয়াকে এখন যা করতে হবে
ভিয়েতনাম থেকে শুরু করে ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ভুল পক্ষকে সমর্থন দিয়ে আমেরিকা এখন খেসারত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে আরো খেসারত তাকে দিতে হবে। বাংলাদেশে ২০০৭ সালে ভারতের চাপে বর্ণচোরা সামরিক সরকারকে সমর্থন দিয়ে এবং ২০০৮ সালে একটা মাস্টারপ্ল্যানের নির্বাচনে মদদ দিয়ে মারাত্মক ভুল করেছে আমেরিকা। এখন যদি কারো চাপে ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচনের নামে বিতর্কিত সরকারকে বৈধতা দেয়, তাহলে আরো মারাত্মক ভুল করবে এরা। সাংবিধানিক পন্থায় গণতন্ত্রের দাবির পথ রোধ করা হলে বাংলাদেশ অতি দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধের পথে ধাবিত হবে। সেই যুদ্ধ বিদেশী মিত্র খুঁজবে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি বিদ্রোহী রাজ্যের কাছ থেকে সমর্থনের প্রসারিত হাত প্রত্যাশা করবে।
কূটনৈতিক চাপে পড়ে খালেদা জিয়া কিছু ভুল করেছেন। সে ভুল তাকে এখন শোধরাতে হবে। জিরিয়ে জিরিয়ে এবং পথের ধারে বসে পান-তামাক খেয়ে আন্দোলনে যে কাজ হয় না, ইউক্রেনের কাছ থেকেও সে শিক্ষা তিনি নিতে পারেন। বিদেশী মুরব্বিরা অবশ্যই চাইবে শুধু ১৮ দলের জোটই নয়, বিএনপিও ভেঙে খান খান হয়ে যাক। শঠের কথায় পিছল পথে চলতে যাওয়া কিছুতেই উচিত হবে না।
খালেদা জিয়া দেশ সফরে বেরোচ্ছেন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। সেই সফরে তাকে অবিরাম কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। দেশবাসী অবশ্যই আশা করবে কার্যকর কর্মসূচি, সরকার বিরোধী দলের শক্তি হানি করার কৌশল হিসেবে সব সময়ই সময় চায়। সময় নিয়ে তারা নিজেদের দুর্গ শক্তিশালী করতে সব রকমের চেষ্টা করবে। তাদের সে সুযোগ দেয়া কোনো বিচক্ষণ রাজনীতিবিদের পক্ষে মারাত্মক হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।