মঙ্গলবার ৩৪তম শতকে পৌঁছে লারাকে স্পর্শ করেন সাঙ্গাকারা। বুধবার নবম দ্বি-শতকে পৌঁছে আবারো লারার পাশে দাঁড়ান তিনি। ৩১৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পথে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করে এবার পেছনে ফেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং কিংবদন্তিকে।
১১ হাজার রান করেছিলেন ২১৩ ইনিংস খেলেছিলেন লারা। তার চেয়ে ৫ ইনিংস কম খেলে এই কৃতিত্ব দেখান সাঙ্গাকারা।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাঙ্গাকারা বলেন, “আমার মনে হয় আমি খুব একটা ছাড়িয়ে (লারাকে) যেতে পারিনি। হতে পারে দ্রুততম ১১ হাজার রান করেছি তবে এটা বিশেষ কিছু নয়। ”
সাঙ্গাকারা মনে করেন না লারার সঙ্গে তার তুলনা হতে পারে।
“তিনি স্পর্শাতীত, স্যার ভিভের খেলা দেখে বেড়ে উঠেছি। পরে আইডল হলেন লারা।
তিনি জাদুকরী ক্রিকেটার। তার পাশে আসতে পেরে আমি গর্বিত। আমি যাদের দেখেছি, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন পর্যায়ে। ”
ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে খুশি সাঙ্গাকারা। তবে দেশকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আরো উপরে দেখতে চান তিনি।
“অনেক ম্যাচ জিততে চাই বিশেষ করে দেশের বাইরে। আশা করি, আমি বিদায় নেয়ার আগে বড় কোনো দলকে তাদের মাটিতেই হারাতে পারবো। ”
আরাধ্য ত্রি-শতক নয়, সাঙ্গাকারা মনে করেন তার সেরা ইনিংস, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে করা ৯৮ রান।
“ঐ ইনিংস আমাকে শিখিয়েছে টেস্ট খেলোয়াড় হতে গেলে কি করতে হবে। তারপর থেকে যা করেছি সেই ইনিংসটিই তার ভিত গড়ে দিয়েছে।
”
অরবিন্দ ডি সিলভা, সনাৎ জয়াসুরিয়ার কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন জানিয়ে সাঙ্গাকারা বলেন, “নেটে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। যখনই খেলি যতটা পারি শেখার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করি। শুধু স্কিল নয়, ফিটনেস ও স্ট্রেংথ লেভেল নিয়েও কাজ করতে হয়। ”
দশ নম্বর ব্যাটসম্যান সুরঙ্গা লাকমল বিদায় নেয়ার সময় ত্রি-শতকে পৌঁছাতে ২৩ রান প্রয়োজন ছিল সাঙ্গাকারার।
এ সময়ে নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, “সীমানায় নয় জন ফিল্ডার থাকায় রান নেয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। শেষ ব্যাটসম্যানকে রক্ষা করে খেলতে হয়েছিল। এ সময় যত দ্রুত সম্ভব ৩০০ করতে চেয়েছিলাম। ”
“দিলরুয়ান ও মেন্ডিস থাকার সময় ব্যাটিং সহজ ছিল। তবে সাকিব ডানহাতিদের বিপক্ষে ভালো অ্যাঙ্গেল পাওয়ায় আমাকে মেন্ডিসকে রক্ষা করে খেলতে হয়েছে।
তার বিদায়ের পর কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। ”
তিনি জানান, রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং থাকায় সহজেই এক-দুই রান নেয়া গেছে।
"উইকেটে গতি না থাকায় আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে খেলার সুযোগ পেলে কাজে লাগিয়েছি। এক-দুই রান নেয়ার সুযোগ থাকলে কাজে লাগিয়েছি।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।