ষষ্ঠ শতাব্দীতে বালি পাথর কেটে গান্ধার শিল্প পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছিল ৫৩ ও ৩৫ মিটার উচ্চাতার বৈরোচন ও শাক্যমুনির দু'টি মূর্তি। কুষাণ সম্রাটদের উদ্যোগে তৈরি গৌতম বুদ্ধের এই মূর্তি দু'টি আফগানিস্তানের সবচেয়ে বিখ্যাত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন।
রাজধানী কাবুল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে থাকলেও প্রাচীন রেশম পথের নৈকট্যের জন্য এই দুই মূর্তির খ্যাতি ছড়িয়েছিল সর্বত্র।
সম্প্রতি বৈরোচন ও শাক্যমুনির মূর্তি দু'টি ইউনেস্কোর বিনা অনুমতিতেই 'সংরক্ষণ' করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে এক জার্মান সংস্থা। ইউনেস্কোর শিল্প বিষয়ক সহকারী অধিকর্তা ফ্রানসিস্কো বানদারিন অভিযোগ করেছেন, অনুমতি ছাড়াই সারাতে গিয়ে মূর্তি দু'টির অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়েছে।
লোহার রড, কংক্রিট ও পাথরের চাঙড় দিয়ে বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি দু'টি 'সারাইয়ের' চেষ্টা শুরু হয়েছিল।
শাক্যমুনির (আকারে ছোট) মূর্তি দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন জার্মান সংস্থা ইকোমোস'র অন্যতম প্রধান বিশেষজ্ঞ মিখাইল পেজেট। পায়ের পাতা ও একটি পা সারানোর কাজ শুরু হয়েছিল আফগানিস্তানে। একাধিক পুরাতাত্ত্বির নিদর্শনে বেশ কয়েক বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে পেজেটের।
কিন্তু ইউনেস্কো ঘোষিত 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট'-এ কাজ করার জন্য অত্যাবশ্যকীয় অনুমতি আদৌ ছিল না ওই জার্মান বিশেষজ্ঞর।
অন্তত এমনই দাবি করেছেন ইউনেস্কোর ফ্রানসিস্কো বানদারিন। এমনকি আফগান সংস্কৃতি দফতরের কাছ থেকেও নাকি প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার দরকার বোধ করেনি ওই জার্মান সংস্থা।
যদিও ইকোমোস দাবি করেছে তারা আফগান সরকারের অনুমতি নিয়েছিল।
খবর পেয়ে ক্রুদ্ধ ইউনেস্কো বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি দু'টিতে ওই সংস্থার সংরক্ষণের কাজ বন্ধ করিয়ে দিয়েছে। ইকোমসর 'সংরক্ষণ' প্রচেষ্টাকে ইউনেস্কো 'ক্ষমার অযোগ্য' ও 'জঘন্যতম অপরাধ' বলে উল্লেখ করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।