শুরু হয়ে গেলো আজকের মুত!, থুক্কু ভুত এফেম। আমি আছি আপনাদের সাথে আর, জে রাসেল" ভাই। তো আজকে আমাদের সাথে আছেন ডান দিক থেকে পরিচয় করিয়ে দেই। আমার ঠিক দানে আছেন ফিরোজ ভাই, তার পরে আছেন কামরান ভা... আরে কামরান ভাই কোই গেলো? রাসেল ভাই, উনি একটু মুততে গেছেন। চিন্তা নিয়েন না অক্ষুনি চইলা আইবো! ওকে ওকে, আমরা নেক্সটে যায়।
তার পর, আমার
বাম দিকে আছেন আজকের বিশেষ অতিথি শিকদার ভাই। প্রিয় লিসেনার, আপনাদের সেই সাথে আরেকটি কথা জানিয়ে রাখি, সেটা হচ্ছে এই শিকদার ভাই হচ্ছে আমাদের সেই খান জুবায়ের ভাইয়ের খুবই ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু। আজকে জুবায়ের ভাই আমাদের মাঝে আসতে পারিনি একটি বিশেষ কারনে সেটি হচ্ছে গত কিছুদিন আগে উনি আমাদের শো' থেকে ফেরার পথে রাস্তায় নাকি কয়েকটি ভুত তাকে ধাওয়া করে এবং তার যাবতীয় পার্টস, টাকা-পয়সা ছিন্তায় করে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই
ওনার ডায়রিয়া জ্বর শুরু হয়ে যায়। উনি আপনাদের কাছে দোয়া চেয়েছেন আর তার
খুবই ঘনিষ্ঠ' শিকদার ভাইকে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তো দেরী না করে আমরা সরাসরি মুল অনুষ্ঠানে চলে যায়। আমরা শুরুতে চলে যাচ্ছি শিকদার ভাইয়ের কাছে তো শিকদার ভাই, আপনার কি সব এক্সপেরিয়েন্স আছে নাকি জুবায়ের ভাই বলতেছিল যদি আমাদের সাথে সেগুলি শেয়ার করতেন। একটু বলবেন কি, একচুয়ালি
আপনার সাথে কি কি ঘটে ছিল? হ্যাঁ.. রাসেল ভাই বলছি, আমার লাইফে অনেক ঘটনায় ঘটছে তার মইধ্যে থেইকা একটা ঘটনা আপনার কাছে বলতেছি। বেশীদিন আগের ঘটনা না, এই সেদিনের একটা ঘটনায় বলি। আম্লিগের নির্বাচনের আগের রাত্রের ঘটনা।
মোটামুটি ঠাডা! পড়া ঠাণ্ডার রাইত ছিল সেদিন। ভাই কি যে কমু? এ কথা কইতে কইতে, এই দ্যাহেন রাসেল ভাই, আমার গা তো অহনি ঠাণ্ডা বরফ হয়ে যাইতেছে! আপ্নে মিয়া এই ঠাণ্ডায় দরজা জানলা খুইলা দিয়া বইছেন? হের লেগায় তো কোই আমার গা বরফের মত ঠাণ্ডা হবার লাগছে ক্যা! জলদি দরজা, জানলা লাগান। নইলে কিন্ত মুই কোন ঘটনা কমুনা রাসেল ভাই! ওকে ওকে শিকদার ভাই আপনি ঠাণ্ডা হয়ে বসুন আমি এখুনি সব লাগিয়ে দিচ্ছি।
কি কোইলেন, রাসেল ভাই! আমি তো সেই কহন ধইরাই ঠাণ্ডা হইয়া বইয়া রইছি। আরও ঠাণ্ডা হইয়া ক্যামতে বসুম।
ক্যারে এতো ঠাণ্ডা কোই রাখুম আমি? এতো
ঠাণ্ডা হইতে কইতাছেন ক্যারে?
ওকে কুল... সরি, আপনি এম্নেই বসেন, আমি দেখতেছি।
এই ফিরোজ ভাই, দরজা জানলা টা একটু লাগায় আসেন তো।
ধুর, মিয়া। চাদর মুড়ি দিয়া একটু গরম হইয়া বস্লাম কেবল, এখন আর ওঠা সম্ভব না। আপনই পারলে যান, রাসেল ভাই।
ওকে ওকে আমিই যাচ্ছি।
হ্যাঁ শিকদার ভাই সব লাগালাম এবার ঠিক আছে?
না এবার তাহলে ঘটনা বলেই ফেলি আপনাকে। সেদিন রাতে বিদ্যুৎ ছিলোনা, আমি আর জুবায়ের মিটিং শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ রাস্তার মাঝে আমার আর জুবায়েরের খুব বেগ চাপলো আমি রাস্তার এক পাশে আর জুবায়ের আরেক পাশে বসে গেলাম। এর মাঝে দেখলাম চারিদিকে ছুটাছুটি বেধে গেছে।
আমার তো ভয়ে গলা শুকিয়ে আসলো! রাত বাজে দেড়টা! এই রাতে অন্ধকারে কারা ছোটে? ভুত টুত নাতো? এসব ভাবতেছিলাম আর প্রসাবের বেগ আপডাউন করতেছিলাম। এর মাঝেই
ঘটলো আসল ঘটনা! দিড়িম' দিয়ে #বিকট শব্দে কি যেন ফুটলো! তারপর আমার আর কোন হুশ ছিলোনা। জ্ঞান ফেরার পর আমি নিজেকে আবিস্কার করি আমার বাড়িতে।
বেডে শোয়া, আর আমার চারপাশে সব মানুষ জন। তারপর বেশ ক' দিন আমার গায়ে জ্বর ছিল।
অনেক পানি পড়া আর কবিরাজ দেখিয়ে তাই সুস্থ হয়েছি। জুবায়েরের কাছে শুনেছিলাম কি হয়েছিল, ও বলছিল শব্দ শোনার পর ও নাকি সেখান থেকে পালিয়ে গেছিলো পরে এসে দেখে আমি রাস্তার পাশে ড্রেনে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছি।
এরপর আমাকে কয়েকজন মিলে তুলে নিয়ে বাসায় আনছিলো।
ওকে ওকে, তো শিকদার ভাই আপনি কি পড়ে জানতেই পারেননি ওটা একচুয়ালি কিসের শব্দ ছিল? হ্যাঁ, জেনেছিলাম। জুবায়ের নাকি কিছু লোকজনের কাছে শুনেছিল
পরেরদিন যেয়ে।
তারা বলছিল ওটা নাকি ককটেলের আওয়াজ ছিল। কারা নাকি ককটেল মেরে পালিয়ে গেছিলো। তবে সেটা জুবায়ের ও বিশ্বাস করেনি আর আমিও না। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম এটা কোন ভূতেরই কাজ হবে।
ওকে ওকে, কি ভয়ানক একটা ঘটনা শুনলাম আমরা #এতক্ষন শিকদার ভাইয়ের কাছ থেকে।
ডিয়ার লেসেনার আমরা চলে যাচ্ছি ছোট্ট একটা ব্রেকে। ব্রেকের পর আবার ফিরে আসছি, শিকদার ভাইয়ের পরবর্তী ঘটনা নিয়ে। কোঁথাও যাবেন না সঙ্গেই থাকুন।
ফিরোজ ভাই, কামরান ভাই কোই?
রাসেল ভাই, উনি তো বাথ্রুম থেকে এখনো বের হয়নি!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।