প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী জুলাইতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান হবেন, এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু আইসিসিতে ত্রিশক্তির প্রস্তাব পাস হওয়ায় সে সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল গতকাল। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসির সভায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশসহ আইসিসির আটটি পূর্ণ সদস্য দেশ সমর্থন দেওয়ায় প্রস্তাবটি পাস হয়ে যায়। তবে প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ভোটদানে বিরত ছিল। এ প্রস্তাব পাস হওয়ায় আগামী জুলাই থেকে আইসিসিতে চেয়ারম্যানের পদ অলঙ্কৃত করছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি এন শ্রীনিবাসন।
আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গতকাল।
ভয় ছিল বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের বলয় থেকে বাদ পড়তে পারে। এ ভয়টা কেটে গিয়েছিল আগেই। ত্রিশক্তির নতুন প্রস্তাবে আইসিসির ১০টি পূর্ণ সদস্য দেশের টেস্ট ক্রিকেট থেকে বাদ পড়ার কোনো ভয় নেই। তবে নতুন করে টেস্ট মর্যাদা পেতে পারে সহযোগী সদস্য দেশ।
আইসিসির বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের পরবর্তী ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয় করতে হবে। এ কাপে বিজয়ী দল টেস্ট র্যাংকিংয়ের ১০ নম্বর দলের সঙ্গে প্লে-অফ ম্যাচ খেলে জয় পেলে টেস্ট স্ট্যাটাস পাবে। পরাজিত হলেও ১০ নম্বর দলের টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। বর্তমানে র্যাংকিংয়ের তলানিতে থাকায় বাংলাদেশকেই খেলতে হবে প্লে-অফ। টেস্টে অবশ্য আরেকটি পরিবর্তন আসছে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিবর্তে ২০১৭ ও ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে এরই মধ্যে যেসব টুর্নামেন্টে নাম ঘোষণা হয়ে গেছে ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে তা ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত হবে। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে আয়োজনের সুযোগ থাকছে। এ সূচি দ্রুত নির্ধারণ করতে হবে দলগুলোর পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে। টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে টেস্ট ক্রিকেট ফান্ড গঠিত হচ্ছে।
এ ফান্ড থেকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ছাড়া আইসিসির বাকি সাতটি পূর্ণ সদস্য দেশকে সহযোগিতা দেওয়া হবে। তবে আইসিসির রাজস্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে ক্রিকেটে বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের অবদানকে। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে অর্থনৈতিক অবদানকে মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ ভারত সুবিধা পাবে সবচেয়ে বেশি। ভারতই আইসিসিকে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সমর্থন দিয়েছে।
অবশ্য টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০-তে দলগুলোর পারফরম্যান্সও সামনে থাকবে এ ক্ষেত্রে। আইসিসির বোর্ডে ব্যাপক রদবদল আসছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আইসিসির বর্তমান বোর্ডটা ঠিকই থাকবে। আগামী জুলাই থেকে এ বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন এন শ্রীনিবাসন। পাশাপাশি শক্তিশালী নির্বাহী কমিটি (এঙ্কো) গঠিত হচ্ছে।
এ কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি (সিএ) ওয়ালি এডওয়ার্ডস। এঙ্কোর ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি গিলস ক্লার্ক। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির স্থায়ী তিন সদস্য হবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। বাকি দুই সদস্য বোর্ডের পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হবে। আইসিসির বাকি সাতটি পূর্ণ সদস্য দেশ থেকে এ দুই সদস্য নির্বাচিত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।