২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পেলেও আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি।
ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও টেস্ট খেলার সুযোগ বেড়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দশম পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশের।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসির সভা থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি বলেন, “এ বছর ও আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসবে ভারত। আর ২০১৬ সালের অগাস্টে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে আবার বাংলাদেশে আসবে ভারত।
এ ব্যাপারে দুই বোর্ডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ”
২০১১ থেকে ২০২০ সালের ভবিষ্যত সফরসূচি পরিকল্পনা (এফটিপি) অনুযায়ী ২০১৪ সালের জুলাইয়ে তিনটি ওয়ানডে এবং ২০১৫ সালের জুনে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ভারতের।
শনিবার আইসিসির খোলনলচে পাল্টে ফেলতে তিন প্রভাবশালী দেশ অর্থাৎ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ প্রস্তাব পাস হয়েছে।
এই প্রস্তাব পাশ হওয়ায় দ্বি-পাক্ষিক সফর নির্ভর করবে দুই দেশের চুক্তির ওপরে। গত মাসের শেষ দিকে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসির আরেকটি সভা থেকে ফিরে পরবর্তী সভায় কয়েকটি বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আশাবাদ জানিয়েছিলেন নাজমুল হাসান।
এফটিপি অনুযায়ী, ২০১৫ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। আর ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতি সফরে যাওয়ার কথা।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, “২০১৫ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। আর ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে বাংলাদেশ। ”
এফটিপি অনুযায়ী ২০১৬ সালের অক্টোবরে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ইংল্যান্ডের।
নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের সফর আরেকটি বেড়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে দুবার বাংলাদেশে আসবে তারা।
নতুন চুক্তির ফলে বাংলাদেশের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, “সিরিজ বাড়ায় বরং অর্থনৈতিকভাবে আমরা লাভবানই হবো। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।