আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাটুরিয়া উপজেলার নির্বাচনী প্রচারনার হাল-চাল



সাটুরিয়া উপজেলার নির্বাচনী প্রচারনার হাল-চাল
মানিকগঞ্জ জেলাধীন সাটুরিয়া থানার সর্ব সাধারন এখন উপজেলা নির্বাচনের আমেজে আনন্দঘন সময় কাটাচ্ছে। পথে-প্রান্তরে, মাঠে-ঘাটে সবত্রই একই আলোচনা; কাকে ভোট দেওয়া যায়? কে বেশী যোগ্য প্রাথী ? কে জিদবে? ইত্যাদি ইত্যাদি।
সরজমিনে তদন্ত করে জানা গেছে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছে। তাদের মধ্যে তিন জন প্রার্থীর নাম আলাপ-আলোচনায় মাঠ-ঘাট সরগরম। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জনাব আব্দুল মজিদ ফটো আনারস মার্কায়, বিএনপির প্রার্থী জনাব বছির উদ্দিন ঠান্ডু হোন্ডা মাকায়, ও জামাতের প্রার্থী মওলানা দেলুয়ার হোসেন দোয়াত-কলম মার্কায় প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।


ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সফিউল আলম জুয়েল, বিএপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন উড়-জাহাজ মাকায়, মুক্তিযুদ্ধা সংসদের হাসান ঘোড়া মার্কা এবং আব্দুর রাজ্জাক (জাসদ) মাইক মার্কায় নিবাচন করছেন
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়াশী লীগের প্রার্থী হিসাবে দুইজন-জনাবা মমতাজ বেগম- হাঁস, ও আলপনা গোস্বামী কলসী মার্কায় নির্বাচন করলেও একক প্রার্থী হিসাবে বিএনপি সমর্থীত বদুন্নেছা জিনুক প্রজাপতি মার্কা নিয়ে অনেকটা সুবিধাজনক আবস্থায় আছেন বলে স্থানীয় জনসাধারনের ধারনা।
বিগত দশম জাতীয় সংসদে ভোট না দেওয়ার অক্ষেপ, এই উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আবর্তিত হতে পারে এমন ধারনা স্থাণীয় বিজ্ঞজনদের। ক্ষমতাসীন দলের সাবেক চেয়ারম্যান বিগত পাচঁ বছরে জনগনের আশা-আকাংঙ্খা তেমন একটা পূরন করতে পারেন নাই বলে অনেকে মনে করেন। নবাগত বিএনপির প্রার্থী জনাব বছির উদ্দিন ঠান্ডু ইতির্পূবেও একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু ৮/৯ মাসের মাথায় বিএনপি সরকার কতৃর্ক উপজেলা পরিষদ রহিত হলে তিনি ক্ষমতা হারান। তবে গরিব-দুঃীখদের বন্ধু হিসাবে তার সুখ্যাতি আছে।

তাছাড়া তিনি পরপর দুইবার হরগজ ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যানও ছিলেন। এরাকাবাসীর মতে, জামাতের মওলানা দেলুয়ার হোসেনও সৎ , যোগ্য প্রার্থী।
বর্তমান সরকারের জামাত বিরোধী অপরাজনীতির স্বীকার বলে তিনি দাবি করেন। বিগত পাচঁ বছরে অধিকাংশ সময়ই জেল-হাজতে আটকা থাকলেও হঠাৎ করে নির্বাচনের আগ মূর্হুতে তাকে ছেড়ে দেওয়া এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহন অনেকটা সরকারী দলের কৌশরগত পদক্ষেপ বলে চিন্তাশীলদের ধারনা। একথা অনেকাংশেই সত্য যে, বর্তমান সরকারের প্রতিমন্ত্রী স্থ্ানীয় এমপি জাহিদ মালেক স্বপন এলাকায় রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করা সত্যেও জনমত অনেকাংশেই বিএনপি ঘেষা।

বিগত পাচঁ বছরে থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সেক্রেটারীর অক্লান্ত পরিশ্রম সত্যেও স্থানীয় লুটেরাদের কারনে বর্তমান সরকারের সফলতার ফল সাধারন জনগন তেমন একটা পায়নি। উপজেলা চেয়ারম্যানের নিস্কৃয়তায় ক্ষমতাসীন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইতি মধ্যে জিরো থেকে হিরু বনে গেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ ‘তার নেতৃত্বাধীন গুটি কযেক ব্যাক্তির কারনে আওয়ামী লীগ দলটি ক্রমে ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। তিনি সুকৌশলে মন্ত্রী মহোদয়কে ম্যানেজ করে জনমত নয়, এলাকা দখলে তৎপর রয়েছেন।
ইতি মধ্যে সাটুরিয়া থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাটুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাসার-সহ প্রায় ২৩ জন নিরিহ নেতাকর্মীর নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হযেছে।

অজ্ঞাত রাখা হয়েছে অসংখ্যক। আসামী গ্রেফতারে হ্যন্ন খোজেঁ ফিরছে থানা পুলিশ। এলাকাবাসীর ধারনা বিএনপির প্রার্থীকে ঠেকানোর লক্ষ্যেই ক্ষমতাসীন দলের এই তেলেসমতি খেলায় ক্রমে ক্রমেই অস্তির হয়ে উঠেছে সাটুরিয়া উপজেলার নিবাচর্নী প্রচারনা। ।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।