উপজেলা নির্বাচনের কয়েক দিন বাকি থাকলেও বড় ধরনের কোনো সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন না মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় ভোটবাঙ্, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে কর্মকর্তাদের বিতর্কিত করার প্রয়াস চালানো হতে পারে বলে ধারণা করছে কমিশন। কমিশন বলেছে, আসন্ন নির্বাচনে শুধু ব্যালট বাঙ্ নয়, ভোটারদেরও সুরক্ষা দিতে হবে।
বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে কোনো কর্মকর্তার গাফিলতি বা অনিয়ম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে কমিশন। এদিকে নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে হয়রানি বা বৈষম্য মূলক আচরণ না করতে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সব জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা) ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কমিশনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে। বেলা ১১টা থেকে পৌনে দুই ঘণ্টা এ বৈঠক চলে। একাধিক সূত্র জানায়, বৈঠকে একাধিক কর্মকর্তা ভোটবাঙ্, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বৈঠকে গাজীপুর ও যশোর জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, ফরিদপুরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন বক্তব্য দেন। যশোরের জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ভোট গ্রহণের দিন মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার সুপারিশ করেন।
জানা গেছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভুল তথ্য সরবরাহ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয় বলে তিনি এ পরামর্শ দিয়েছেন। বৈঠকে তিনি অস্থায়ী বুথ নির্মাণে কমিশনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা কামনা করেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম বক্তৃতায় বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ আসার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোনো কোনো উপজেলার চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে।
এ বিষয়ে কমিশনের দিকনির্দেশনা চান তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান। তিনি উপজেলা নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিতর্কিত করার প্রয়াস চলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি নির্বাচনকালে সড়ক ও জনপথ, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ নির্দেশনাসহ ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের বলেছেন তারা কোনো ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছেন না। তবুও আমরা জেলা প্রশাসকদের সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব। বৈঠকে নির্বাচন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, নির্বাচনী কাজে কোনো ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশা করি গাফিলতি ও অনিয়মের কারণে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এ সময় তিনি সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাবেদ আলী বলেন, সংসদ নির্বাচনে আপনারা ব্যালট বাঙ্রে সুরক্ষা করেছেন। উপজেলা নির্বাচনে ব্যালট বাঙ্রে পাশাপাশি ভোটারদেরও সুরক্ষা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন, আল্লাহকে স্মরণ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবেন।
বৈঠক শেষে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশের বিষয়ে বলেন, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কেউ চাইলে সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা শীঘ্রই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে হলফনামা দিয়ে দেব। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে হয়রানি বা বৈষম্য মূলক আচরণ না করতে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
চতুর্থ ধাপের উপজেলা ও টাঙ্গাইল উপনির্বাচনের তফসিল আজ : চতুর্থ ধাপে ৯২ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে আজ। এ নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোট গ্রহণের তারিখ ২৫ মার্চের পরিবর্তে ২৪ মার্চ নির্ধারণ করা হতে পারে। একই সঙ্গে টাঙ্গাইল-৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ২৩ মার্চ। ইসির কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে উপজেলা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে গতকাল। এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল আজ ঘোষণা করা হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, ধাপে ধাপে উপজেলা নির্বাচন শেষ করার লক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারি প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। এ নির্বাচন হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ২৩ জানুয়ারি ঘোষণা করে ভোট গ্রহণ ঠিক হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। তৃতীয় ধাপের তফসিল ৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করে ভোট গ্রহণ নির্ধারণ হয়েছে ১৫ মার্চ। এবার চতুর্থ ধাপে ৯২ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ তা ঘোষণা করা হবে। এ নির্বাচন ২৫ মার্চ করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
কিন্তু ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হবে। এ উপলক্ষে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এ কারণে তাদের পক্ষ থেকে ২৫ মার্চ চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণে আপত্তি জানানো হয়। এরপর নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা ২৪ মার্চ ভোটের দিন প্রস্তাব করে কমিশনের অনুমতির জন্য নথি উত্থাপন করে। আজ এসব উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২২ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ মার্চ নির্ধারণ হয়েছে। এদিকে, দশম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত এমপি শওকত মোমেন শাহজাহান ২০ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি টাঙ্গাইল-৮ সংসদীয় আসনের সরকারদলীয় এমপি ছিলেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ।
২৩ মার্চ ভোট গ্রহণ হবে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর_
সিলেট : সিলেটে বিদ্রোহী প্রার্র্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগেই এদের দল থেকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু বিদ্রোহী প্রার্থীই নয়, দলসমর্থিত প্রার্থীর বিপক্ষে যেসব নেতা-কর্মী কাজ করবেন নির্বাচনের পর তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ একজন করে প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে।
যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের শীঘ্রই বহিষ্কার করা হবে।
ভোলা : লালমোহন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় জেলা বিএনপির সদস্য আক্তারুজ্জামান টিটবকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। লালমোহন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হচ্ছেন শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত।
বরিশাল : দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী চেম্বার সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু দোয়াত-কলম এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন বাচ্চু পেয়েছেন আনারস প্রতীক; ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শাহনেওয়াজ শাহিন উড়োজাহাজ এবং বিএনপি সমর্থিত মো. আনোয়ার হোসেন টিউবওয়েল; মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত রেহানা বেগম হাঁস, বিএনপি সমর্থিত জান্নাতুল ফেরদৌসি কলস এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা আতিয়া বেগম প্রজাপতি প্রতীক পেয়েছেন।
নাটোর : দ্বিতীয় তফসিলে চার উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে গতকাল প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রমজান দোয়াত-কলম, বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রহিম নেওয়াজ আনারস, বিএনপির সাবেক জেলা সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ঘোড়া, জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী কাপ-পিরিচ, জাপার হাদিউল ইসলাম মোটরসাইকেল ও বিকল্পধারার খন্দকার জুবায়ের হোসেন উড়োজাহাজ পেয়েছেন। লালপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির থানা সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার আনারস, বিএনপি নেতা হারুনার রশীদ পাপ্পু কাপ-পিরিচ, জামায়াতের অধ্যাপক আবদুল ওয়াহাব দোয়াত-কলম ও আওয়ামী লীগের মাহমুদুল হক মুকুল মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন। গুরুদাসপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার মোহাম্মদ আলী মোটরসাইকেল, মিজানুর রহমান সুজা দোয়াত-কলম, বিএনপির আবদুল আজিজ ঘোড়া, বিএনপির বিদ্রোহী আয়নাল হক তালুকদার আনারস, থানা জামায়াতের আমির আবদুল খালেক মোল্লা টেলিফোন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মুন্সি শহীদুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক পেয়েছেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান দোয়াত-কলম, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা নয়ন ঘোড়া, আওয়ামী লীগের শরীফুল ইসলাম শরিফ কাপ-পিরিচ, তার ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল মোটরসাইকেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী রুহুল আমিন পেয়েছেন আনারস প্রতীক। এখানে ১৯ দলের একক প্রার্থী বিএনপির হাফিজুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দিন সরকার এবং মহিলা জামায়াত নেত্রী শাবানা আক্তার ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ২৭ ফেব্রুয়ারি সরাইল উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জয়নাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মুখলেছুর রহমান, জামায়াতের উপজেলা আমির মাওলানা কুতুব উদ্দিন, নির্দলীয় প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা ওসমান উদ্দিন আহমেদ খালেদ, বিলকিস বেগম, মো. তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং মো. এস এ এম আল-আমীন আরেফিন; ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শের আলম মিয়া, বিএনপির আবু সুফিয়ান সিদ্দিকী, মো. জয়নাল আবেদীন এবং জহির উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের লাল বাদশা, মো. ইসহাক ও নির্দলীয় ইসলাম উদ্দিন; মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রোকেয়া বেগম, বিএনপির তাহমিনা আক্তার, জাতীয় পার্টির শামীমা আক্তার ও নির্দলীয় শিরিনা আক্তার।
কুমিল্লা : গতকাল লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও দেবিদ্বার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮_ এই ৩১ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। লাকসামে চেয়ারম্যান পদে আবদুর রহমান বাদল দোয়াত-কলম, অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূঁইয়া কাপ-পিরিচ, প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা আনারস; ভাইস চেয়ারম্যান পদে অধ্যাপক সৈয়দ এ কে এম সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী উড়োজাহাজ, মহব্বত আলী তালা, শহিদুল ইসলাম টিয়া পাখি; মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আফরোজা আক্তার বেবী হাঁস ও রাশিদা বেগম ফুটবল।
মনোহরগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন কাপ-পিরিচ, ইলিয়াছ পাটোয়ারী দোয়াত-কলম, শফিকুর রহমান টেলিফোন, আক্তার হাসান মাইনু আনারস; ভাইস চেয়াম্যান এস এম সাখাওয়াত হোসেন তালা, হাজী আজীম উদ্দিন উড়োজাহাজ, কামাল হোসেন ভুলু চশমা, মিজানুর রহমান বৈদ্যুতিক বাল্ব; মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নুরজাহান বেগম কলস ও আফরোজা কুসুম ফুটবল এবং দেবিদ্বারে চেয়ারম্যান পদে এ কে এম শফিকুল আলম কামাল আনারস, এ এফ এম তারেক দোয়াত-কলম, হাজী জালাল উদ্দিন ভূইয়া কাপ-পিরিচ, রুহুল আমিন টেলিফোন; ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোস্তফা কামাল চৌধুরী চশমা, আবুল হোসেন লিপু মাইক, আবদুল হক খোকন তালা, সাইফুল ইসলাম সহিদ টিউবওয়েল, এস এম ইমরান হাসান বই; মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট নাজমা বেগম প্রজাপতি, মহিমা আক্তার কলস, সুফিয়া বেগম হাঁস ও নাজমা বেগম ফুটবল প্রতীক পেয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।