Set sail, ye hearts~ into the sea of hope..
গতবছর ফাল্গুনের কথা। আমি সেই পুরাতন ছন্নছাড়া রুটিন অনুযায়ী সকালের নাশতা করে ভার্সিটি গেট থেকে হলের দিকে ফিরছি। সাথে আসফি ছিলো। সে তখন সবে ক্যামেরা হাতে নিয়েছে। রাজন আর সে মিলে ফটোগ্রাফির নতুন নতুন সব ট্রিক আবিষ্কার (!) করছে, আর তাই নিয়ে দুইজন দিনরাত পার করে দিচ্ছে।
হাতে সময় থাকলে গেট থেকে ফেরার পথে আমরা মাঝে মাঝেই রেললাইনের পথ ধরে যেতাম। তাতে রাস্তাটা আর একটু লম্বা হতো, আর সবুজ আর পাহাড়ের মাঝে হলের একঘেয়ে জীবন থেকেও কিছুটা মুক্তি মিলতো।
তো..রেললাইন ধরে কিছুটা এগুতেই আমরা দাঁড়িয়ে গেলাম।
হঠাৎ করেই আমরা আবিষ্কার করলাম শীতের আমেজ আর কোথাও নেই। বসন্ত চলে এসেছে, চারপাশে সবুজের সমারোহ।
বাতাসে ফাল্গুনের মিষ্টি সুবাস। সামনের বিশাল বিশাল গাছগুলো, কিছুদিন আগেও যাতে কিছু ডালপালা ছাড়া আর কিছুই ছিলো না, তাতে নতুন পাতা এসেছে, আর তাতে ধরে আছে থোকা থোকা সাদা ফুল।
ছবি: Asfi Kabir
আমি অবাক আসফির দিকে তাকিয়ে বললাম, দেখছিস? সে মাথা নাড়লো, দেখেছি। সে অবশ্য দেখছিলো ফটোগ্রাফারের দৃষ্টিতেই, এই ফুল পাতা সবকিছুই অবজেক্ট। দ্রুত ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করে কয়েকটি স্ন্যাপ নিয়ে ফেললো সে।
খুব সামান্য একটা স্মৃতি। তবে এটাই ছিলো ভার্সিটিতে আমার শেষ বসন্ত। বসন্তে তো দূরের কথা অন্য কোনো সময়েও আর কখনো যাওয়া হবে কিনা..কে জানে!
আজ সকালে উঠে আসফিকে ফোন দিলাম। জিজ্ঞেস করলাম সেদিনের ছবিগুলোর কথা। তার কাছে কয়েকটা স্ন্যাপ পেলাম।
পরে মনে পড়লো, সেদিন আমার ভাঙ্গাচোরা নোকিয়া মোবাইল দিয়েও কিছু ছবি তুলেছিলাম। সেগুলোও ঘাঁটলাম বসে বসে।
হঠাৎ পুরনো স্মৃতি, পুরনো ছবি নিয়ে পড়লাম কেন? ফাল্গুনের উতলা বাতাসের কারণেই কি?
হতে পারে, শীতনিদ্রা শেষে প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার করা এই বাতাস সম্ভবত মানুষের মনকেও রেহাই দেয়না। বাতাসের ঝাপটায় ওলটপালট করে দেয় আমাদের স্মৃতির ডায়রি, সেখান থেকে তুলে আনে হারিয়ে যাওয়া অনেক স্মৃতি, পুরানো সব দিনের কথা।
সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা।
শুভ ফাল্গুন
--
ভালোবাসা দিবসে রং-বেরং এর কার্ড
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।