পরীক্ষাগারে কৃত্রিম ফুসফুস বানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞান শাখা। খবর সিএনএন। বলা হচ্ছে বিশ্বে এই প্রথম এধরনের কাজ হলো। সেখানকার গবেষক জন নিকলস বলেন, কৃত্রিম ফুসফুস বানানো গেলেও এটি রোগীর প্রতিস্থাপন যোগ্য হয়নি। এর জন্য আরো এক যুগ অপেক্ষা করতে হবে।
তবে কৃত্রিম ফুসফুস যে বানানো যায় এটাই প্রমাণ হলো এখন। পরীক্ষামুলক কৃত্রিম ফুসফুস প্রথমে শুকরের ওপর প্রয়োগ করা হবে। তারপর সেখানে সফল হলে মানুষের দেহে পরীক্ষা করা হতে পারে।
বিশ্বে মানবদেহের বহু অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এখন গবেষণাগারে তৈরি হচ্ছে। এর আগে শ্বাসনালী ও যকৃৎ গবেষণাগারে তৈরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মানব দেহের অঙ্গ দানকারী লোকের সংখ্যা স্বল্পতার কারণে কৃত্রিম অঙ্গ বানানোর গবেষণার দিকে ঝুঁকছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ষোলশতের অধিক রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য কৃত্রিম ফুসফুস দরকার।
কৃত্রিম ফুসফুস বানানো দুই জন মৃত শিশুর ফুসফুসের সাহায্যে নেওয়া হয়েছে। এক গাড়ী দুর্ঘটনায় মারা যায়। তাদের ফুসফুসে সবকিছু খুলে ফেলা হয়।
তারপর সেখান থেকে সুস্থ সবল টিস্যু সংগ্রহ করে এক বিশেষ তরল চেম্বারে প্রবেশ করানো হয়। যেখানে ফুসফুসের টিস্যু গুলো বৃদ্ধি পায়। চার সপ্তাহ পর সেখান থেকে কৃত্রিম ফুসফুস বের হয়ে আসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।