আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
খেলাটা ভালোই জমেছে। খেলোয়াড়রা খেলবেনই। এতে আম জনতার আপত্তি করবার কিছু নাই।
কিন্তু সে খেলায় যদি আম জনতার জীবন বিপন্ন হবার আশঙ্কা থাকে, তখন বিষয়টা আলাপের জায়গায়।
বলছি জওহরি না ফাওহরির অডিও ক্লিপটার কথা। বাংলাদেশে মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে ইসলামি রাষ্ট্র না। হবার সম্ভাবনাও নাই।
কারণ এখানকার ইসলামী দলগুলো আম্রিকার পোষ্য। মুসলমানিত্ব হেফাজতকারীর ভারতীয় দর্শনে আসক্ত। কারো কারো যোগাযোগ পাপিস্তানে। এ সব এখানকার মানুষ জানে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন নামীয় একটি অসাধারণ মঞ্চ নাটকের মহড়াকে আমজনতা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মেনে নিতে বাধ্য বা সচেতনভাবে মেনে নেবার পর তাদের জীবনেকে ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাওয়া আম্লীগের জন্য একটা মানবিক বিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
কোনোভাবেই সন্দেহ করছি না যে, জওহরির অডিও ক্লিপটার পেছনে আম্লীগের হাত আছে। তবে আমি এটা ঠিক জওহরি বার্তা বাঙালি মুসলমানের মনের কথা হতে পারেনা।
আমি নিশ্চিত করে এটা বলতে পারি। জওহরির জেহাদে বা ইন্তিফাদায় সাড়া দেবার মত বোকা মানুষ এখন নেই। এটা এক সময় থাকতে পারতো যে সময়টা অভাব অনটন ছিল।
পকেটে টাকা পয়সা জমেছে। মানুষ নির্বিঘ্ন, আনন্দময় এবং সম্পদ জমানোর সংগ্রামে ব্যস্ত, সেখানে জওহরির আহবানে সাড়া দেবার সময় আমাদের নাই। এটা জওহরি ভালোই জানার কথা। না জানলে কান পরিষ্কার করে শুনে নিতে হবে, তার খায়েশ বাস্তবায়নের লোক এ দেশে পাও্য়া যাবে না। এটা আফঘানিস্তান , পাপিপস্তান কিম্বা ইরাক না।
জওহরি ও আল কয়েদারা যে সব অঞ্চলে তাদের অবস্থান পোক্ত করেছে, সে সব অঞ্চল অনেক পেছনে। তারা সভ্যতার আলো বাতাস থেকে দূরে। জীবন চালাতেই কষ্ট তাদের, নারীর সাথে সময় কাটানো-খুনসুটির সময় বা সামর্থ কোথায়!
এ রকম অনগ্রসর, উগ্র গোষ্ঠীর বিস্তার ঘটে সে সব এলাকায় যারা জীবন-জীবিকা নারী সংসর্গ সম্পর্কে অজ্ঞ অথবা এ সবে মোহ নেই। বাংলার হিস্ট্রি এটা প্রমাণ করেনা।
কালনী নদীর তীরে শাহ আবদুল করিম গায়- গ্রামের নও জযোয়ান, হিন্দু মুসলমান, মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম ।
আবার চট্টগ্রামে শেফালী ঘোষ গায়- ও রে সাম্পান অলা তুই আমারে করলি দেওয়ানা। কিম্বা কাঙালি সুফিয়া গায়- কোনবা পথে নিতাই গঞ্জ যাই।
সেই দেশে উগ্রবাদের বিস্তারে চেষ্টা হতে পারে বা হয়েছে তবে তা সফল হবার কোনো নজির কি আছে?
কেন নাই? কারণ হলো ভাটি বাঙলার এ দেশে মানুষ ধর্ম কর্মও করে, একটু আধু স্পিরিট, ছোলা মদও খায়, সাথে বিড়ি, হুঁকো কিম্বা সিগ্রেট। আবার টাকা হলে একটু নারী শরীরের স্বাদও নেয়। মদের দোকানে যায়।
আবার হজের মৌসুমে সৌদি যায়। সেখানে জওহরিদের এই অডিও ক্লিপ ফালতু আলাপ ছাড়া আর কিচ্ছু না।
বাংলাদেশের মানুষ শিখছে, পড়ছে, উপার্জন করছে এবং ভালোভাবে বাঁচার লড়াই করছে। যেখানে প্রিয়জনের সঙ্গ দেবার সময় মিলছে না, সেখানে জওহরির ইসলাম উদ্ধার অভিযানে এ দেশের মানুষ ছুটবে। এটা আমি বিশ্বাস করি না।
তবে সবার আগে নিাশ্চিত হওনের কাম হলো - এ অডিও বার্তা আদৌ জওহরির নাকি । তবে আমি জওহরির বলেই বিশ্বাস করে এ সব কথা বলেছি।
একটা কথা অবশ্য মনে আছে সবার বুশের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচরে আগে ওসামা বিন লাদেনের একটা ভিডিও বার্তা নিয়ে পুরা জুজুর ভয়ে কাতর ছিল আম্রিকা। বুশ দ্বিতীয়বার নির্বাচিত। এখন তো আম্লীগ নির্বাচিত ।
তাই কারা এ জুজ ডাকছে। আম জনতার জীবন বিপন্ন করা কতটা যৌক্তিক, তা ভাবতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।