চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা কার্পাসডাঙ্গার বাজারে অবস্থিত এম এম ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল মালেককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে নগত ১০ লাখ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।
গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় ডাকাত দল চারটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। অন্যদিকে গৃহকর্তা ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক ডাকাতদের লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়লে আহত হন তার দুই কর্মচারী সোহাগ (২৫) ও রবিউল ইসলাম (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রবিবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের হাজী ফকির মোহাম্মদের ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি রওনা হন। বাড়ির দরজায় পৌঁছানোর সাথে সাথে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা ১০ থেতে ১২ জনের একটি ডাকাতদল তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। সেই সাথে আব্দুল মালেককে কুপিয়ে আহত করে তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগটি কেড়ে নেয়।
পরে তাদেরকে জিম্মি করে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। সেখান থেকে ১০ ভরি স্বার্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়ে চারটি শক্তিশালি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
আব্দুল মালেক মুক্ত হয়ে তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে তার ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী দুর্গাপুর গ্রামের শফিউলের ছেলে রবিউল ইসলাম ও কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকীর ছেলে সোহাগ গুলিবদ্ধি হয়ে আহত হয়।
দামড়ুহুদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই কার্পাসডাঙ্গার খাবলিপাড়ার নূর ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের হিরক ও মৃত সামসুল ইসলামের ছেলে আজগার আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।