আপনি একটা মেয়েকে বিয়ে করলেন ।
বিয়ের কিছুদিন পর কোন উড়ু তথ্যের সাহায্য জানতে পারলেন আপনার বউয়ের সাথে আরেকজনের গভীর সম্পর্ক ছিল ।
আপনি তখন কি করবেন ?
আসলে সত্যি বলতে একটা মেয়ে অনার্সের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষের আগে কোন পরিনত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না । এর আগের সময়টুকুতে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেয় ।
যেমন স্কুল আর কলেজ জীবনের প্রেম ।
মেয়েরা সাধারনত ছেলেদের সাথে খুব একটা মেশার সুযোগ পায় না এই সময়টায় । সুতরাং জীবনে প্রথম যে পুরুষের সাথে মেশার সুযোগ বেশি পায় তাকে ভালবেশে ফেলে । সেটা প্রাইভেট পড়ানো কোন ভাইয়া হোক কিংবা পাড়ার কোন ছেলে হোক । এসময় তারা ছেলে কি করে কিংবা তার অতীত কি না জেনেই প্রেমে পরে ।
অনার্সে ভর্তি হওয়ার পরও ঠিক একি ধরনের ঘটনা ঘটে ।
অর্থাৎ কারো না কারো প্রস্তাবে সাড়া দেয়ই দেয় । এক্ষেত্রে ছেলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানলেও তার অতীত কিংবা চরিত্র না জেনে প্রেমে পরে ।
এখন প্রশ্ন হল এইসব প্রেম বিয়েতে পরিনত হয় কয়টা ?
উত্তর হল বেশির ভাগ সময়ই বিয়ে পর্যন্ত এই প্রেমগুলো গড়ায় না । কারনটা হল প্রেম হয় সাধারনত দুজনার মনের মিল দিয়ে নয় চরিত্রের মিল দিয়ে । কিন্তু পরে দেখা যায় দুজনের চরিত্র দুই রকম ।
তাহলে ব্রেক আপ তো হওয়াই স্বাভাবিক ।
এখন আপনিও যদি কোন মেয়ের সাথে প্রেম করে থাকেন এবং ব্রেক-আপ করেন তবে ব্রেক-আপ হওয়া একটা মেয়ের সাথে সংসার করতে আপনার আপত্তি করার কোন যুক্তি নেই ।
এখন আবারও একি প্রশ্ন আপনি কারও সাথে প্রেম করেন নাই কিন্তু বিয়ের পর আপনার বউয়ের পূর্বের সম্পর্কের কথা জানলেন ।
আপনি কি করবেন ?
আমার মতে বিয়ের আগেই এসব ব্যাপারগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত । নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া কেমন হবে সেটাও দেখা উচিত ।
আর বিয়ের আগ পর্যন্ত যতই কিছু হোক কোন ছেলের সাথে কোন মেয়ের অনৈতিক কাজে জড়িত হওয়া উচিত নয় ।
কারন একটা ছেলে হয়ত তার বউয়ের পূর্বের সব কিছু ক্ষমা করে দিবে কিন্তু কোন অনৈতিক কাজ কখনই দিবে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।