আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“শারিয়া আইন” কোরান এবং আধুনিক রাষ্ট্রের বিপক্ষে যায়।



“শারিয়া আইন” কোরান এবং আধুনিক রাষ্ট্রের বিপক্ষে যায়।
লেখক-হাসান মাহমুদ
প্রকাশক-আঃ হাকিম চাকলাদার (লেখকের অনুমোদন ক্রমে)


INTERNATIONAL BUSINESS TIMES
Hasan Mahmud: Sharia Law Betrays Modern State and Koran
By-Ludovica lacino date-February 18, 2014 11:20 AM GMT
পত্রিকাটিতে বিস্তারিত এখানে দেখুন-
Click This Link


আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন “ইন্টারন্যাশনাল বিজিনেছ টাইমস” পত্রিকায় “Muslims Facing Tomorrow” নামক আন্তর্জাতিক সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল জনাব হাসান মাহমুদ গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০১৪ “শারিয়া আইন” সম্পর্কে নিম্ন সাক্ষাৎকার টি দেন। সংগৃহিত By-Ludovica lacino.
তার বক্তব্যের সার মর্ম নিম্নরুপ-
“শারীয়া” কোরান এবং আল্লাহর নবীর জীবনাদর্শ হতে লওয়া হয়েছে ,যা মানুষের সাধারণ বিশ্বাষ, এটা ভূল। দেখুন এখানে।
Click This Link


শারীয়া আইন কোরান হাদিছ হতে লওয়া হয়েছে এটা শুধুমাত্র একটা প্রচলিত কথা বা MYTH.
তার কারণ?
কারণ, অধিকাংশ হানাফী ও শাফেয়ী মাজহাবের শারীয়া পুস্তকে অন্ততঃ ৬০০০ এর উর্দ্ধে শারীয়া আইন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।


অথচ এত আইন সমগ্র কোরান হাদিছ ঘাটাঘাটি করলেও কোথাও পাওয়া যায়না।
সমগ্র কোরান ঘাটলে পাওয়া যায় মাত্র ১৩টি আইন এবং সমগ্র হাদিছ ঘাটলে পাওয়া যায় বড় জোর কয়েক ডজন মাত্র।
তাহলে শারীয়া বইয়ে এই যে হাজার হাজার আইন কোরান হাদিছ এর নাম দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হল, কোথা থেকে এল?
তাহলে আপনারা এখন অতি সহজেই অনুমান করে লইতে পারেন-এগুলো মানুষের নিজস্ব বানানো আইন-কানুন যা কিনা স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সৃষ্টি করা হয়েছে।
এবং মানুষের ধর্মানুরাগের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহন করে মানুষের উপর কোরান হাদিছের দোহাই দিয়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাজেই সাবধান!!
হাসান মাহমুদ আরো বলেন, “ শুধু তাইই নয়, শারীয়ার কিছু কিছু আইন কোরানকেও লঙ্ঘন করে।

বিচারক বিচার করার সময় কখনোই কোরানের পাতাটা উল্টে দেখেননা, তিনি কেবল মাত্র শারীয়া বইয়ের পাতা উল্টিয়ে দেখতে থাকেন, সেখানে কী লেখা আছে। “
তিনি বলেন, “শারীয়া শব্দটি কোরানে মাত্র ৩ বার উল্লেখ হয়েছে। ১ বার বিশেষ্য পদ ও ২ বার ক্রীয়া পদ হিসাবে।
শারীয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ হল, পশুদের দ্বারা জলপানের স্থানে যাইতে তৈরী হওয়া পথ। আর কোরানে এর ভাবার্থ হল শারীয়া মানুষের একটা নৈতিক আত্মসুদ্ধির মাধ্যমে শান্তি ও জান্নাতের দিকে যাওয়ার রাস্তা।


মুলতঃ মানুষেরা শারীয়াকে কোরানের বর্ণিত মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ কে পরিবর্তন করিয়া “শারীয়া” কে “রাস্ট্রীয় শাসনতন্ত্রে” রুপান্তরিত করিয়া কোরানের ১নং পরিপন্থি কাজ করেছে। “
হাসান মাহমুদ বিশ্ববাসীকে শারীয়া আইনের বিপদ্জ্জনকতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আধুনিক একটি রাষ্ট্রকে পরিচালনা করা শারীয়া আইনের ক্ষমতার সম্পূর্ণ বাইরে।
এটা করতে গেলে রাস্ট্রটি অবশ্যই একটি ব্যর্থ রাস্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, “শারীয়া আইন” শুধু মাত্র কোন একটি দেশের “শাসনতন্ত্র” কে বুঝায়না, বা নির্দিষ্ট কোন দেশের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চায়না এটা বরং সারা বিশ্বের শাসনতন্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে উত্তেজিত করায়। এটা সারা বিশ্বের উপর কর্তৃত্ব ও বিস্তার করতে উদ্বুদ্ধ করায়।


হাসান মাহমুদ শারীয়ার উপর ৩টি ভিডিও নির্মান করেছেন।

এর মধ্যে “DIVINE STONE” ভিডিও টি ১৩ বৎসরের সোমালিয়ান বালিকা আয়েশা ইব্রাহীম এর নামে উৎসর্গ করেছেন, যে আয়েশা ইব্রাহীম ধর্ষিত হওয়ার পর সোমালিয়ার ইসলাম প্রতিষ্ঠার দল তাকে শারীয়ার নির্দেশ অনুসারে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করেছিল।
DIVINE STONE ভিডিও টি এখানে দেখুন।
Click This Link

তিনি আরো বলেন, এটা বলা হয়ে থাকে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হতে বিশ্বে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা যাচ্ছে। কিন্ত শারীয়া যেটা করতেছে,তা আরো ভয়ংকর-মুসলিম দেশ গুলীতে শারীয়া প্রয়োগ করে করে ছদ্মবেশী দুষ্ট শক্তিকেই সাহায্য করিতেছে


২০০৯ সালে সোমালী মহিলাকে অবৈধ সম্পর্কের কারনে পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছিল।




লেখক ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেসের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, দ্বীন রিসার্চ সেন্টার হল্যাণ্ড-এর রিসার্চ এসোসিয়েট, মুসলিমস ফেসিং টুমরো'র জেনারেল সেক্রেটারী, ফ্রি মুসলিমস কোয়ালিশন-এর ক্যানাডা প্রতিনিধি, আমেরিকান ইসলামিক লিডারশীপ কোয়ালিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং খুলনা'র “সম্মিলিত নারীশক্তি”র উপদেষ্টা। শারিয়ার ওপরে বই "শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি" ও আন্তর্জাতিক প্রশংসিত ডকু-মুভি DIVINE STONE "হিল্লা", "নারী" ও "শারিয়া প্রহেলিকা" - লণ্ডন ও টরন্টো'র স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষাক্লাসে দেখানো হয়।
লেখকের নিজস্ব সাইটঃ http://www.hasanmahmud.com/2012








সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।