পশ্চিম আফ্রিকার ফল মিরাক্যাল বেরী নিয়ে কৌতুহলের শেষ নাই। এই ফল খেতে বিস্বাদ লাগলেও, খাওয়ার ১ ঘন্টার পর পর্যন্ত্য যে কোন খাদ্য - প্রধানত অম্লজাতীয় (ইভেন ভিনিগারও) খাবার খেতেও মিস্টি লাগে। যাদের ডায়বেটিস আছে, তারা এই ফল একটু খেয়ে, চিনি ছাড়া চা খেয়েও মিস্টি স্বাদ পেয়ে থাকেন। নিউইয়র্কে মাঝে মাঝে হাই ক্লাশ সোসাইটিতে মিরাকুলিন পার্টির ও এরেন্জ করা হয়ে থাকে।
সম্প্রতি জাপানিজ সাইন্টিস্টরা বের করেছেন কিভাবে এই ফল মিস্টির স্বাদ দেয় আর এর প্রধান উপাদান হল মিরাকিউুলিন প্রোটিন।
এই প্রোটিন নরমাল কন্ডিশনে আরেকটা প্রোটিনের সাথে লেগে থেকে (হিউমেনের সুইট টেস্ট রিসেপটর) কিন্তু যখনই এসিড জাতীয় কোন খাদ্যের সংস্পর্শে আসে, সে সুইট টেস্টের সিগন্যালকে এক্টিভেট করে দেয় (যেটা সাধারনত চিনি বা মিস্টি জাতীয় খাদ্য দ্বারা এক্টিভেট হয়)
জাপানিজ পেপারটা এখানে
Click This Link
কিন্তু চিনি উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা চায় না এটা বাজারে আসুক।
বিস্তারিত এখানে:
Click This Link
এখন আমার লিখার উদ্দেশ্য হল যে, ছোটকালে আমার মনে আছে বাংলাদেশে কিছু ফল পাওয়া যেত (মনে আমলকি বা হরতকি), যেগুলি খাওয়ার পর, অন্য কিছু খেলে মিস্টি লাগত এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ফল গুলিতেও মিরাকিউুলিন প্রোটিন আছে। হাতের কাছে সেই ফলগুলি পেলে গবেষনাগারে পরীক্ষা করে দেখা যেত। যেখানে আছি, সেখানে আমলকি পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না
আমার বিশ্বাস, আমলকি কে ভিনিগারে ডুবিয়ে খেলে মিস্টি লাগবে। আছেন ব্লগার ভাই/বোন পরীক্ষা করে দেখবেন আমার এই 'ত্বত্ত'টাকে।
যদি মিস্টি লাগে, তাহলে আরো পরীক্ষা করে দেখা যায়, আমলকিতে মিরাকিউুলিন প্রোটিন আছে কিনা বা থালেও পরিমান কত, তাহলে উপরে ছবির মত, আমলকির 'লজেন্স' বানিয়ে স্বাদ কে অল্প মিস্টির খাওয়াকে বেশী মিস্টির স্বাদ দেওয়া যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।