জেডআসাদ'স
খবরঃ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী বলেছেন,ইংরেজরা ভারত বর্ষকে দুই ভাগে বিভক্ত করলেও হৃদয় বিভক্ত করতে পারেনি। হৃদয়ের টানে ভারত একাত্তরে রক্ত দিয়ে পাকিস্তানিদের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে দিয়েছে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের এ ঋণ কোনদিন শোধ করা যাবে না। '
--------------------------------------------
ইংরেজরা ভারত বর্ষকে দুই ভাগে ভাগ করেছিল । সেক্ষেত্রে আমাদের তো পাকিস্তানিদের প্রতি হৃদয়ের টান থাকার কথা।
কারন আমরা ভারতের নয় পাকিস্তানের অংশ ছিলাম। ভালো কথা, আমি যদি রাজাকার না হই সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রতি টান থাকা অসম্ভব।
৭১ এ সংগ্রামের পূর্বে যেহেতু আমরা পাকিস্তানের অংশ ছিলাম, সেহেতু ভারতের আমাদের প্রতি এত দরদ বা টান দেখানো টা কতটা ভ্রাতৃত্ব বোধ থেকে সে দিকে নাই বা গেলাম। বিপদের দিনে সাহায্য নিয়ে এখন যদি সাহায্যকারীর মতলব খুঁজা শুরু করি সেটা ভাল দেখাবে না।
মন্ত্রীর(মহসীন আলী) কাছে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়।
ভারত যদি এত রক্ত দিল তবে বাঙ্গালীরা কি গরুর রক্ত গায়ে লাগাইয়া ছিল, আর শহিদ হওয়ার ভান করছিল?? ৩০ লক্ষ শহিদ, ওরা কোন দেশী ছিল? ৭১ এ কি ইন্ডিয়ান মহিলারা র্যাপ হইছিল?? এই প্রশ্নের উত্তর যেমন আওয়ামিলিয়ন দিতে পারবে না তেমনি আমি ভারতের ঋন অস্বীকার করতে পারব না। তবে ঋন শোধ করতে গিয়ে এত টান দেখানো যে ভাল না সেটা ভালোই টের পাইতেছি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের দানের মহিমা বুঝতে পেরেছিলেন বলেই ইন্দিরা গান্ধী কে টেবিল ছাপরে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "তোমাদের সৈন্য আমার দেশ ছেড়ে কবে যাবে??"
সেটা আমাদের প্রধান মন্ত্রী বা তার চামচিকারা কখোনোই বুঝতে পারেন নাই!! কারন প্রধান মন্ত্রী হওয়া সহজ। কিন্তু নেতা সহস্রাব্দে একবার ই জন্মে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।