আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোরোচাষে কৃষকদের ‘পর্যাপ্ত’ ঋণ দেওয়ার নির্দেশ

বুধবার ব্যাংকগুলোর নির্বাহী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এই নির্দেশনা দেন।

পরে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক।

তিনি বলেন, “বোরো মৌসুমে কৃষকরা যাতে চাহিদামত ঋণ পায় সেজন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর। ”

এজন্য বৈঠকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে কৃষি ও পল্লী ঋণের জন্য আলাদা বিভাগ চালু করে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের নির্দেশও দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রভাষ।

তিনি বলেন, কৃষিঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি আঞ্চলিক অফিসে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক শাখার কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘মোটিভেশন’ সভা করবে।

কৃষি ও পল্লী ঋণ কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন উপমহাব্যবস্থাপক আব্দুল হাকিম এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী ও কৃষি ঋণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারা।

কৃষি ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের কৃষি খাতে বিতরণ করা মোট ঋণের ৬০ শতাংশ শষ্য ঋণে বিতরণের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে বোরো চাষ অন্যতম।

চলতি অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত সাতমাসে আট হাজার ৮২০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো, যা লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বৈঠকে গভর্নর ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের বলেন “এই সাত মাসে আদায়যোগ্য কৃষি ঋণের মাত্র ৩১ শতাংশ আদায় হয়েছে। তাই শুধু বিতরণ নয়, কৃষি ঋণ আদায়েও আপনাদের তৎপরতা দেখাতে হবে।

পাশাপাশি এনজিওদের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ না করে ব্যাংকের নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানো, মসলা চাষে ভর্তুকি সুদে ঋণ বিতরণ ও এসএমই খাতের জন্য দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।  

আতিউর বলেন, “আমদানি নির্ভর ডাল, মসলা, তৈলবীজ ও ভুট্টা জাতীয় পণ্যগুলো আমাদের দৈনন্দিন চাহিদার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে বিধায় এ খাতে ঋণ বিতরণ খুবই জরুরি। এ খাতে আপনারা অধিক হারে ঋণ বিতরণ করে এসব পণ্যের মূল্য সর্বসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সহায়তা করবেন বলে আমি আশা করছি। ”

চলতি অর্থবছরের এসব খাতে ৯০ দশমিক ৯৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এর বিপরীতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ বা ৪৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

নতুন ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণ

নতুন অনুমোদিত ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগ এবং তিনটি বিদেশি ব্যাংক এখনো পর্যন্ত একেবারেই কৃষি ঋণ বিতরণ না করায় বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেন গভর্নর।

লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত অনুযায়ী, এই ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের পাঁচ শতাংশ কৃষি খাতে বিতরণ করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে গভর্নর বলেন, “নতুন ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি বাদে ৮টি ব্যাংক এই সাত মাসে কোনো কৃষি ঋণ বিতরণ করতে পারেনি।

“তাহলে কি আমরা ধরে নেব, এই সাত মাসে নতুন ৮টি ব্যাংক অন্যান্য খাতেও কোনো ঋণ বিতরণ করেনি?”

প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, “নতুন ব্যাংকগুলো আমাদের জানিয়েছে, তাদের অনেকেই গত নভেম্বরে কার‌্যক্রম শুরু করেছে। এজন্য তারা কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ করার সুযোগ পায়নি।

“তবে আমরা তাদের সতর্ক করে বলেছি চলতি অর্থবছরের পর এ বিষয়ে তাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হলে নতুন শাখা খোলার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.